একজন মা যখন তার নবজাতক সন্তানকে অতি যত্নে লালনপালন করেন ভাবেন একসময় এই সন্তান হয়তো তার যত্ন নিবে এটা তার "বিশ্বাস"।
একটা ছেলে বা মেয়ে যখন প্রেম করে তখন সে চিন্তা করে এই ছেলেটি বা মেয়েটি হয়তো তার ভাললাগা ও অনুভূতি গুলোর মূল্য দিবে এটা তার "বিশ্বাস"।
একজন অপরিচিত ছেলেমেয়ে যখন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এখানে থাকে এক অজানা এক "বিশ্বাস"।
আসলে "বিশ্বাস" শব্দটার মধ্যে একটা আলাদা মাহাত্ব আছে ।
আমরা বিভিন্ন ধমর্ের মানুষেরা তাদের নিজ নিজ ধমর্ গ্রন্থের আলোকেই সৃষ্টিকতর্ার অস্থিত্বকে বিশ্বাস করি ।সৃষ্টিকতর্ার নাম আল্লাহ,ভগবান,ইশ্বর যে নামই হোক তিনি একজন আছেন এবং তিনি একজন এটাই বিভিন্ন ধমর্ের বিশ্বাস ।এবং স্রষ্টা যদি একের অধিক হতো তাহলে ক্ষমতার দাপটে একজন বলতো এখন রাত হবে সে রাতের পক্ষে থাকত আর একজন বলতো না এখন দিন হবে তাই সে দিনের পক্ষে থাকতো তাহলে প্রকৃতির কোন চিরন্তন নিয়ম থাকতো না,দিন কখনো কখনো ২০ ঘন্টা কখনো ২৪ ঘন্টা হতো
আওয়ামী বিএনপি সরকারের মত নীতিগত ভেদাভেদ থাকত তাই বলা যায় ইশ্বর এক।
আর যারা কোটি কোটি মানুষের বিশ্বাসকে শুধু যুক্তি দিয়ে ভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে তারা একটা কথা বার বার বলে থাকেন "আচ্ছা এ মহাবিশ্ব না হয় ইশ্বর সৃষ্টি করেছেন তাহলে ইশ্বরকে কে করেছে ? এই অবান্তর প্রশ্ন করে তারা ইশ্বরকে অবিশ্বাস করে ।তারা শুধু বস্তুবাদে বিশ্বাসী যা চোখে দেখে যা প্রমাণ করা যায় তারা তাই বিশ্বাস করে আর সবমানুষের বিশ্বাসকে এড়িয়ে চলে ।
কারণ ধর্মগ্রন্থগুলোকে বিশ্বাস করলে স্রষ্টাকে স্বীকার করতে হবে যে তিনি আছেন এবং তিনি যে তাকে সৃষ্টি করেছেন তার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আরাধনাতো করতে হবে আরএটাই পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ যে কারো কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হয়তো একারণেই ইশ্বর যে বিশ্বাসেই অবস্থান করেন তা অবিশ্বাস করেন ।
তারা ভাবেন শুধু বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে স্রষ্টার অস্থিত্ব প্রমাণ হয় না।
তারা আসলে "বিশ্বাস" শব্দটাকেই অবিশ্বাস করেন ।
এরা মায়ের ঐ অকৃতজ্ঞ সন্তানের মত মা তার জন্মের পরে যে বিশ্বাস নিয়ে তাকে লালনপালন করেছিল ।বড় হয়ে সেই সন্তান তার দায়িত্বের প্রতি ফিরেও থাকায় না বরং কর্তব্য পালনের ভয়ে তার মাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে।
আপনারা যারা বিশ্বাস শব্দটিকে অবিশ্বাস করে যুক্তির মাধ্যমে আমাদের স্রষ্টার অস্থিত্বকে ভ্রান্ত প্রমাণে নিযুক্ত তাদের বলি আচ্ছা আপনি যে কাগজে কলমে আপনার বাবার পরিচয়টি লিখেন আমরা কিভাবে বুঝব সে যে আসলেই আপনার বাবা আপনার মা যে আপনার বাবার পরিচয় মিথ়্যে দেয়নি তার কি প্রমাণ আছে ?আপনিতো আপনার মায়ের কথা উপর বিশ্বাস করেই আপনার বাবাকে বাবা পরিচয় দিচ্ছেন এই বিশ্বাস শব্দটা যদি না থাকত আপনি কি করে প্রমাণ করতেন যে আপনার মা অন্য কারো সাথে অবৈধ সম্পর্ক করে আপনাকে জন্ম দেন নাই ?বিশ্বাস শব্দটা অবিশ্বাস করলে আমাদের যেমন ইশ্বর থাকে না তেমন আপনি যে বৈধ তাও প্রমাণ হয় না ।
তার মানে কি আপনি জারজ?
যারা তাদের পূর্বপুরুষ ও ধর্মগ্রন্থগুলোর বানীকে মেনে স্রষ্টার অস্থিত্বকে বিশ্বাস তাদের এই বিশ্বাস নিয়ে আপনাদের এত চুলকানি কেন আপনি থাকেন না আপনার বিশ্বাস নিয়ে অহেতুক বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করে কেন বিশৃঙ্কলা সৃষ্টি করেন?
এটা কোন ধরনের মানবিক সুশীলতা?এটা কোন ধরনের সভ্যতা?