ঝাঁকুনি বা দুলুনির সাথে পরিচয় নতুন কিছু নয়। জীবনের নানাবিধ ক্ষেত্রে শারীরিক বা মানসিক ঝাঁকির শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত। ছোটবেলা দোলনায় বসে দোল খেতে ভালো লাগতো। তখন একটা বিশাল সমস্যা ছিলো। সবাই দোলনায় বসতে চাইতো। দোল দেওয়ার মানুষের বড় অভাব।
এর পর বাস ট্রেনের ঝাঁকুনি তো আছেই। প্লেনেও নাকি ঝাঁকুনি আছে। বাসের ঝাঁকুনি বিরক্তিকর হলেও ট্রেনের ঝাঁকুনি উপভোগ্য। অন্য রকম এক মাদকতা আছে। নৌকার দুলুনিও মন্দ লাগে না। অনেকের আবার ঝাঁকুনিতে পেটের নাড়ি উল্টে বমি আসে। পরিবেশ পরিস্থিতি তারা মুহুর্তেই বদলে দেয় মুহু;মুহু: ওয়াক ওয়াক শব্দে। বমি সংক্রামক!
আজ অফিসে বসে আছি। হঠাৎ মনে হলো আমি দুলছি। সামনের কম্পিউটারও দুলছে। পাশে বসা কলিগ বলছে তার মাথা ঘুরছে। দুজনের মাথা একসাথে ঘুরছে মানে এটা ভুমিকম্প। প্রথমেই মাথার মধ্যে হর্ষ বিষাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া হলো। পরক্ষণেই হতবুদ্ধি হয়ে গেলাম। আমাদের অফিস দোতলায়। তিন দিক থেকে বেরোনোর দরজা আছে। কোন দিক দিয়ে বেরোবো পথ পাচ্ছি না। মুহুর্ত বাদেই দুজন মিলে সব ফেলে দে ছুট। এক্কেবারে বাইরে। কোথায় পড়ে রইলো জুতো কে জানে।
আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে আমি আগে কখনো এভাবে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি প্রগাঢ় ভাবে অনুভব করিনি। মাথার ভিতরটা এখনো দুলছে যেন।