৫ বছর ধরে চালু আছে জিমেইলের বেটা ভার্সন। ওয়েব ইন্ডাস্ট্রিতে এখন এটা একটা কৌতুকের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে বেটা কে জিমেইলের নামের অংশ হিসেবেও ভাবা শুরু করেছিলেন। তবে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে “চালু” হয়েছে জিমেইলের ফুল ভার্সন!!! দীর্ঘ ৫ বছরের বেটা অবস্থায় জিমেইলে সংযোজন করা হয়েছে অনেক যুগান্তকারী ফিচার। শুরুতে ১ম বারের মত ১গিগাবাইট ফ্রী স্টোরেজ দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি কাঁপানো জিমেইল এখন বাংলাসহ ৫৩ টি ভাষায় পাওয়া যায়। সংযুক্ত চ্যাটিং, মোবাইল অ্যাপস, ভিডিও চ্যাটিং, ফ্রী IMAP অ্যাক্সেস, ৫০ টিরও বেশী অসাধারণ ল্যাবস ফিচার সহ অনেক কিছুই জিমেইলকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তবে যারা “বেটা” শব্দটার মায়ায় পড়ে গেছেন তারা ল্যাবস থেকে “Back to BETA” এনাবল করে দিলে বেটা লেখা দেখতে পারবেন এখনও!!!
মনে পড়ে ৫ বছর আগে জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য কতই না চেষ্টা করেছি। ইনভাইটেশন পাঠানোর মত কেউ নেই। ইনভাইটেশন “কার্ড” হাতেগোণা কিছু ইউজারকে দেয়া হত খুবই সীমিত সংখ্যায়। যারা পেত রাতারাতি নিজেদের ভিআইপি মনে করত। ফোরামে কেউ একবার ঘোষণা করলেই হইছে যে আমার কাছে জিমেইল ইনভাইটেশন কার্ড আছে, প্রাইভেট ম্যাসেজের বন্যা বয়ে যেত। আমি আমার ইনভাইটেশন কার্ড যোগাড় করেছিলাম মেয়ের নাম ব্যবহার করে!!! ঐ লোক যখন আমার খোলা আইডি দেখেছে সে যে কি ভেবেছে!!! হঠাৎ যখন একদিন লগইন করে দেখলাম আমাকে ৭টা ইনভাইটেশন কার্ড দেয়া হয়েছে, মনে হয়েছিল আমি ইনভাইটেশন কার্ড না গুগলে ৭ টা চাকরীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়েছি বিলানোর জন্য!!! বন্ধুমহল আমার সেকি খাতির! যক্ষের ধনের মত আগলে রাখতাম! পরে আবশ্য যখন আরও বেশী করে কার্ড দেয়া শুরু হল তখন ঘোষণা দিয়ে ইনভাইটেশন পাঠাতাম। অন্তত ২৫০ জন আমার ইনভাইটেশনে অ্যাকাউন্ট খুলেছে wapbangladesh সাইটের মাধ্যমে। বছর দুয়েক আগে যখন জিমেইল লগইন পেইজে “Signup for Gmail” লিংক দেখলাম তখন ভেবেছিলাম জিমেইল বেটা মনে হয় বাদ হল। পরে দেখলাম না। আজ হঠাৎ জিমেইল ব্লগে দেখলাম জিমেইল আর বেটা নয়।