নিজে মুসলমান ধর্মে বিশ্বাসী তবে অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধার চোখে দেখি। ধর্ম নিয়ে যে বিষয়টি আমাকে মাঝেমাঝে পীড়ায় ফেলে তা নিয়ে আজকে আমার মনোভাব প্রকাশ করার জন্য ব্লগে ঢু মারা।
ধর্ম কি,? যা মানুষকে সভ্য হতে শিক্ষা য় বা যা মানুষের জন্য কল্যান বয়ে নিয়ে আসে। সুতরাং বলা যায় সব মানুষকে সুস্থ, সুন্দর , মঙ্গলময় জীবন দান করে তাকে ধর্ম বলে। কিন্তু আমরা বর্তমানে ধর্মের দোহায় দিয়ে নিজের ফায়দা নিয়ে ব্যস্ত। পৃথিবীর সব ধর্মীয় বইগুলির বা ধর্মের মূল কথাগুলি ৮০ ভাগ এক ও অভিন্ন। যেমন
১।সব ধর্মে মিথ্যা বলা পাপ।
২। সব ধর্মে আল্লাহ( সৃষ্টিকর্তা) এক ও অভিন্ন। শুধু নাম আলাদা। সবাই আল্লাহকে স্বীকার করে । শুধু জৈন ধর্ম ছাড়া
৩। সব ধর্মে পরোপকার এর কথা বলা হয়েছে।
৪। সব মানুষের সমান অধিকার এর কথা সব ধর্মে বলা হয়েছে
৫। আত্তা অবিনশ্বর তা সবাই বিশ্বাস করে।
তাহলে আমাদের ধর্ম নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি কেন,?
পৃথিবীর ৭৫০ কোটি মানুষ। কিন্তু এক জনের সাথে আরেক জনের মিল যেমন খুজে পাওয়া দুষ্কর তেমনি সব ধর্মে এক রকম মিল খোজা দুষ্কর। আমাদের প্রভাবে তা দিনে দিনে বিবর্তিত হয়েছে। তাই মূল জিনিস এক হলেও তা আমাদের প্রভাবে আজ অনেক ফেরকায় বিভক্ত।
এখন আসি মুল আলোচনায়।
যেহেতু আমাদের কল্যানের জন্য ধর্মের আবির্ভাব,তাই শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ যাকাত পালন করলেই যে সে বেহেশত পাবে, এমন নিশ্চয়তা কোথায় নাই। তেমনি সনাতন ধর্মে কেউ শুধু পুজা অর্চনা পালন করলে স্বর্গে যাবে মনে হয় না। মানুষের ভালবাসা, কল্যান, উপকার করলেও সে জান্নাতে যেতে পারে। এ বিষয় আমাদের ধর্মের একটি কাহিনী বলে ইতি টানব।
একটি কুকুর পানি পিপাসায় ছটপট করছিল। এমন সময় একজন নষ্টা মহিলা ঐ পথে যাচ্ছিল। কুকুর কে দেখে তার মনে দয়া হয়। সে কুপ থেকে পানি তুলে কুকুরের তৃষ্ণা মেটায়। বিনিময় আল্লাহ তার জীবনের সব গুনাহ মাফ করে তাকে বেহেশত নেয়ান সুসংবাদ দেন।
তাই আমরা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নাথেকে মানুষের কল্যানের জন্য , যা সবার জন্য ভাল তা পালন করি, ধর্মী য় ভেদাভেদ ভুলে মিলেমিশে চলি। এর মাঝে আমাদের কল্যান নিহিত। ভুলত্রুটি মার্জনীয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০