somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই স্রোতে ভেসে যাবে আমাদের তরী

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হায়! এই রাত্রির সময়টা যে অপ্রতুল
জেনেও সেটা কেউ জানছে না
ধেয়ে আসা প্রবাহ পাতাদের সাথে সংগম লিপ্ত হয়েছে
তাই আমি আশংকা করছি! খুব।
রাত্রির স্বল্পতায় শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়


আচ্ছা, তুমিও কি আঁধারের নিঃশ্বাস শুনতে পারছো?
আমার মতোই সুখানূভুতিগুলো পাচ্ছো!
হ্যাঁ,
এখনো সকাল হয়নি!
আমার মতো তুমিও কি ভেতরের হতাশায় বুঁদ হয়ে যাচ্ছো?
খুব বেশি করে, ক্রমাগত?


হে
তোমাকে বলছি,
আঁধারের ফিসফিস শুনতে পারছো?
অন্ধকারে প্রবাহমান সময়ের বিষাদ যাত্রা শুনতে পাচ্ছো?


জানো? এই রাত্রিতে,
জ্বলজ্বল চাঁদ রক্তিমাভ হয়ে গেছে,
সে নাকি অধীর হয়ে আছে!

তবে এই আয়োজন যেকোন সময় স্তদ্ধ হয়ে যেতে পারে
মেঘেদের দিকে দেখো, এরা এখনই শোক পালন করতে চলে এসেছে!
মনে হয় ওরা সহস্র ফোঁটা বৃষ্টি চাইছে।


হে!
জেনে রেখো,
এই বিশাল যবনিকা সরে যাবে একবারের জন্য,
তুমি দেখবে, এরপর হয়তো কিছুই নেই।
জানো? সেই রাতে শিহরণ তোমাকে জড়িয়ে ধরবে
পুরো পৃথিবীটা একবারের মতো থমকে দাঁড়াবে।

তুমি কি জানো?
পর্দার ওপাশে কেউ যেন চিন্তিত!
তোমাকে নিয়ে
আমাকে নিয়ে।


হে সতেজ,
তোমাকে বলছি
ধেয়ে আসা এ আলোয় তোমার হাত বাড়াও,
মোহগ্রস্থ অধর থেকে তোমার ওষ্ঠ সরাও
ঐ ওষ্টে ছড়িয়ে আছে উষ্ণ অনূভবের প্রহেলিকা।
তাড়াতাড়ি নেমে আস,
তোমাকে ক্ষমা করবে না সময়,
জাগো!
জেগে ওঠো!!
ভোর হতে আর কখনো হয়নি, দেরী!
তুমি জেনে রেখো,
এই স্রোতে ভেসে যাবে তরী
অবশ্যই
এই স্রোতে ভেসে যাবে আমাদের তরী।


(ফরোগে ফারুখাজাদের কবিতা The Wind Will Carry Us এর বাংলা অনুবাদ। কিছুটা পরিমার্জিত ও সংযোজিত।)

জীবন গতিময়, সময়ের বিভিন্ন পরিমাপকে যদি আমরা স্থানাংক হিসেবে মাপি তাহলে একসময় সেটার একটা সমাপ্তি আছে। প্রতিবছরই একটা করে দিন আসে, সে দিনটা হলো জন্মদিন। আমার মনে হয়, এই দিন আসে আসলে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য-

❓কি কাজ করা হয়েছে?
❓কি করা উচিত?
❓কি করা হচ্ছে?


আমি কি সচেতন, আমার সীমিত এ সম্পদ খরচ করার ব্যাপারে? আসলে প্রতিটি সেকন্ডই তিলে তিলে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। আর এ জীবনের সার্থকতা ঠিক কি করতে পারলে হবে সেটা নিয়ে কি ভাবা উচিত নয়? এ খেল তামাশা হাসি, অভাবমুক্ত চাহিদা পুর্ণ করা জীবনই কি সার্থক জীবন?



একই শিরোনামে কবিতাটিকে নিয়ে একটি ছবি আছে। বিঃখ্যাত পরিচালক আব্বাস কিয়রোস্তামি এটা নির্মাণ করেছেন। সেটা দেখতে পারেন, আপনার বোরিং লাগার সম্ভাবনা প্রবল। তবে আমার ভালো লেগেছে।
পারস্যের ক্ষণজন্মা কবি ফরোগে ফারুখাজাদের এই কবিতাটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছিলাম গত বছর। কোন এক কারণে আজ-ই সেটা পোস্ট করতে ইচ্ছে হল।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫
২২টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×