somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওয়াহিদের মুখোশ টেনে খুলবার পর...

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‎গতকাল‬ এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান নামক এক ব্যাক্তির মুখোশ টান দিয়ে খুলে দিয়েছিলাম ব্লগে এবং ফেসবুকে। আজকে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমার ফেসবুক তিন দিনের জন্য ব্লকড। যার মানে দাঁড়াচ্ছে ফেসবুকের যে নিঝুম মজুমদার প্রোফাইল দিয়ে আমি লিখি সেটি আপাতত ৩ দিন বন্ধ। ব্যাক্তিগত মেসেজ ছাড়া আর কিছুই করা যাচ্ছেনা। সুতরাং বাধ্য হয়েই আমার নিজের নামে খোলা আমার এই পেইজের শরণাপন্ন হলাম। এই পেইজের তিনজন এডমিন এখন পর্যন্ত। তিনটি-ই আমার নামের (নিঝুম মজুমদার) আইডি। যে আইডি গুলো আমার নামে হলেও এগুলো থেকে আমি একেবারেই ফেসবুকে লিখিনা। সুতরাং সেসবের একটি থেকেই এখন লিখছি।



‪আমার‬ গতকালের লেখার পর ওয়াহিদ আরো একটি স্ট্যাটাস প্রসব করেছেন। দ্বিচারিতা, মিথ্যে তথ্য, মিথ্যে ইতিহাসে যথারীতি ভরপুর। ওয়াহিদকে আমি বুদ্ধিমান ভেবেছিলাম। ভেবেছিলাম কালকের লেখার পর উনি এই ব্যাপার নিয়ে আর ঘাঁটাবেন না, কেননা ঘাঁটালে উনার এবং উনার দলের-ই বিপদ। কিন্তু আফসোস, আমার লেখাতে ফেসবুকের একজন পাঠকের মন্তব্য থেকেই উনি সম্ভবত এই উৎসাহ পেয়েছেন। এটলিস্ট লেখার প্যাটার্ন ও কন্টেন্ট দেখে সেটি-ই বোধগম্য হয়ে ওঠে।

আমি ওয়াহিদের সেসব প্রশ্নের উত্তর দেব। ইতিমধ্যেই লিখবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। বাঁ পায়ের একটি আঙ্গুলের নখ একেবারেই ফেটে গেছে একটা দূর্ঘটনায়, আমার ছেলেটার হেইফিভার, সব কিছু মিলিয়ে খানিকটা সময় নিয়ে লিখছি। তবে আজকের মধ্যেই লেখাটা আনতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।

এরি মধ্যে ওয়াহিদের কয়েকটি বক্তব্যের জবাব আমাকে এই স্ট্যাটাসেই দিতে হচ্ছে। ওয়াহিদ লোকটা কেমন কিংবা সে ব্যাক্তিগত জীবনে কোন আদর্শ ধরে রাখবে এটা একান্তই তার ব্যাপার। আমার আপত্তি ছিলো তার মিথ্যে ইতিহাসের চর্চা ও তার বিকৃতি নিয়ে। এন্টি আওয়ামীলীগার হলেই যে হাসিনার পিন্ডি চটকাতে হবে তা নয়। এন্টি আওয়ামীলীগার হলেই যে সারাক্ষন আওয়ামীলীগ কে নিয়ে মিথ্যের চর্চা করতে হবে তা নয়। আমি নিজেও রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করি। তাদের ভুল ভ্রান্তি গুলো নিয়ে লিখে অনেকের চক্ষুশুল হয়েছি। কই, কখনো তো ইতিহাস বিকৃতির মত ধৃষ্ঠতা দেখাইনি!!! তবে একজন শিক্ষক হয়ে ওয়াহিদ এই গর্হিত কাজটি কেন করছে।

ওয়াহিদ তার লেখায় বলেছে যে আমি নাকি সাভারের জন্য উত্তোলিত অর্থ মেরে দিয়েছি। আমি ঠিক বুঝলাম না একটা কথা। এই বিষয় নিয়ে এত লেখা, এত প্রামাণ্য দলিল থাকবার পর এই অসভ্য লোকটা কেন আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে? সাভারের অর্থ উত্তোলন করবার মূল দায়িত্বে ছিলো যুক্তরাজ্য গণ জাগরণ মঞ্চ। আমি তাদের কর্মী হয়ে ফেসবুকে সবাইকে সাহায্যের আবেদন করেছিলাম এবং সে উত্তোলিত পাউন্ড সুন্দর ভাবে ডিস্ট্রিবিউট করা হয়েছে স্নেহা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে।

সে লেখার লিঙ্ক

‪এছাড়াও‬ ওয়াহিদ আমাকে ফ্রিডম পার্টি, ব্লা ব্লা ব্লা বলে যেটি নিয়ে আমার বলবার কিছু নেই গত ২৮ মে তারিখের আমার এই বিষয়ক ব্লগের পর। এইসব ফালতু কথা বার্তা হচ্ছে আমাকে আর কিছুতে না পেরে ব্যাক্তিগত ভাবে দূষিত করবার চেষ্টা। আমার পাঠক, শুভানুধ্যায়ীরা বোকা না কিংবা অন্ধ নন। সুতরাং এসব নিয়ে আপনি আপনার যত ইচ্ছে, তত বলেন আমার আপত্তি নেই। আমি আমার লেখা চালিয়ে যাব। একজন ইতিহাস বিকৃতিকারী অন্যকে কিছুতে না পেরে ট্যাগ দিচ্ছে, এটা একই সাথে হাস্যকর এবং বেদনার। আফসোস...দেশ যাচ্ছে কোথায়?

‪এদিকে‬ ওয়াহিদ দাবী করেছে যে সে নাকি আমাকে তার পেইজে মন্তব্য থেকে ব্লক করেনি। কত বড় মিথ্যুক হলে সে এ কথা বলে কিংবা বলতে পারে? আমি তার পেইজে মেসেজও পাঠাতে পারছিলাম না দেখে তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট খুঁজে বের সেখানে আমি আমার গতকালের লেখার লিঙ্ক পাঠাই। কেননা ওয়াহিদ বলেছিলো গতকাল তারই পেইজে যে, আমার লেখা হলে যেন তাকে লেখাটার লিংক পাঠাই তাহলে সে তার পেইজে আমার লেখাটার লিঙ্ক দিয়ে দিবে। অথচ আজ সে বলছে সে যদি আমাকে তার পেইজ থেকে ব্লকই করত তবে আমি তাকে মেসেজ পাঠালাম কি করে? একটা মানুষ কি করে এতটুকু মিথ্যুক আর ভন্ড হয়? কি করে?

এ প্রশ্ন আমি পাঠকের কাছেই রেখে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×