গতকাল এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান নামক এক ব্যাক্তির মুখোশ টান দিয়ে খুলে দিয়েছিলাম ব্লগে এবং ফেসবুকে। আজকে ঘুম থেকে উঠেই দেখি আমার ফেসবুক তিন দিনের জন্য ব্লকড। যার মানে দাঁড়াচ্ছে ফেসবুকের যে নিঝুম মজুমদার প্রোফাইল দিয়ে আমি লিখি সেটি আপাতত ৩ দিন বন্ধ। ব্যাক্তিগত মেসেজ ছাড়া আর কিছুই করা যাচ্ছেনা। সুতরাং বাধ্য হয়েই আমার নিজের নামে খোলা আমার এই পেইজের শরণাপন্ন হলাম। এই পেইজের তিনজন এডমিন এখন পর্যন্ত। তিনটি-ই আমার নামের (নিঝুম মজুমদার) আইডি। যে আইডি গুলো আমার নামে হলেও এগুলো থেকে আমি একেবারেই ফেসবুকে লিখিনা। সুতরাং সেসবের একটি থেকেই এখন লিখছি।
আমার গতকালের লেখার পর ওয়াহিদ আরো একটি স্ট্যাটাস প্রসব করেছেন। দ্বিচারিতা, মিথ্যে তথ্য, মিথ্যে ইতিহাসে যথারীতি ভরপুর। ওয়াহিদকে আমি বুদ্ধিমান ভেবেছিলাম। ভেবেছিলাম কালকের লেখার পর উনি এই ব্যাপার নিয়ে আর ঘাঁটাবেন না, কেননা ঘাঁটালে উনার এবং উনার দলের-ই বিপদ। কিন্তু আফসোস, আমার লেখাতে ফেসবুকের একজন পাঠকের মন্তব্য থেকেই উনি সম্ভবত এই উৎসাহ পেয়েছেন। এটলিস্ট লেখার প্যাটার্ন ও কন্টেন্ট দেখে সেটি-ই বোধগম্য হয়ে ওঠে।
আমি ওয়াহিদের সেসব প্রশ্নের উত্তর দেব। ইতিমধ্যেই লিখবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। বাঁ পায়ের একটি আঙ্গুলের নখ একেবারেই ফেটে গেছে একটা দূর্ঘটনায়, আমার ছেলেটার হেইফিভার, সব কিছু মিলিয়ে খানিকটা সময় নিয়ে লিখছি। তবে আজকের মধ্যেই লেখাটা আনতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।
এরি মধ্যে ওয়াহিদের কয়েকটি বক্তব্যের জবাব আমাকে এই স্ট্যাটাসেই দিতে হচ্ছে। ওয়াহিদ লোকটা কেমন কিংবা সে ব্যাক্তিগত জীবনে কোন আদর্শ ধরে রাখবে এটা একান্তই তার ব্যাপার। আমার আপত্তি ছিলো তার মিথ্যে ইতিহাসের চর্চা ও তার বিকৃতি নিয়ে। এন্টি আওয়ামীলীগার হলেই যে হাসিনার পিন্ডি চটকাতে হবে তা নয়। এন্টি আওয়ামীলীগার হলেই যে সারাক্ষন আওয়ামীলীগ কে নিয়ে মিথ্যের চর্চা করতে হবে তা নয়। আমি নিজেও রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করি। তাদের ভুল ভ্রান্তি গুলো নিয়ে লিখে অনেকের চক্ষুশুল হয়েছি। কই, কখনো তো ইতিহাস বিকৃতির মত ধৃষ্ঠতা দেখাইনি!!! তবে একজন শিক্ষক হয়ে ওয়াহিদ এই গর্হিত কাজটি কেন করছে।
ওয়াহিদ তার লেখায় বলেছে যে আমি নাকি সাভারের জন্য উত্তোলিত অর্থ মেরে দিয়েছি। আমি ঠিক বুঝলাম না একটা কথা। এই বিষয় নিয়ে এত লেখা, এত প্রামাণ্য দলিল থাকবার পর এই অসভ্য লোকটা কেন আমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে? সাভারের অর্থ উত্তোলন করবার মূল দায়িত্বে ছিলো যুক্তরাজ্য গণ জাগরণ মঞ্চ। আমি তাদের কর্মী হয়ে ফেসবুকে সবাইকে সাহায্যের আবেদন করেছিলাম এবং সে উত্তোলিত পাউন্ড সুন্দর ভাবে ডিস্ট্রিবিউট করা হয়েছে স্নেহা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে।
সে লেখার লিঙ্ক
এছাড়াও ওয়াহিদ আমাকে ফ্রিডম পার্টি, ব্লা ব্লা ব্লা বলে যেটি নিয়ে আমার বলবার কিছু নেই গত ২৮ মে তারিখের আমার এই বিষয়ক ব্লগের পর। এইসব ফালতু কথা বার্তা হচ্ছে আমাকে আর কিছুতে না পেরে ব্যাক্তিগত ভাবে দূষিত করবার চেষ্টা। আমার পাঠক, শুভানুধ্যায়ীরা বোকা না কিংবা অন্ধ নন। সুতরাং এসব নিয়ে আপনি আপনার যত ইচ্ছে, তত বলেন আমার আপত্তি নেই। আমি আমার লেখা চালিয়ে যাব। একজন ইতিহাস বিকৃতিকারী অন্যকে কিছুতে না পেরে ট্যাগ দিচ্ছে, এটা একই সাথে হাস্যকর এবং বেদনার। আফসোস...দেশ যাচ্ছে কোথায়?
এদিকে ওয়াহিদ দাবী করেছে যে সে নাকি আমাকে তার পেইজে মন্তব্য থেকে ব্লক করেনি। কত বড় মিথ্যুক হলে সে এ কথা বলে কিংবা বলতে পারে? আমি তার পেইজে মেসেজও পাঠাতে পারছিলাম না দেখে তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট খুঁজে বের সেখানে আমি আমার গতকালের লেখার লিঙ্ক পাঠাই। কেননা ওয়াহিদ বলেছিলো গতকাল তারই পেইজে যে, আমার লেখা হলে যেন তাকে লেখাটার লিংক পাঠাই তাহলে সে তার পেইজে আমার লেখাটার লিঙ্ক দিয়ে দিবে। অথচ আজ সে বলছে সে যদি আমাকে তার পেইজ থেকে ব্লকই করত তবে আমি তাকে মেসেজ পাঠালাম কি করে? একটা মানুষ কি করে এতটুকু মিথ্যুক আর ভন্ড হয়? কি করে?
এ প্রশ্ন আমি পাঠকের কাছেই রেখে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫