somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চাকমা স্মৃতিকথায় ইসলামী ও মুসলিম ঐতিহ্য

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চাকমা স্মৃতিকথায় ইসলামী ও মুসলিম ঐতিহ্য
আতিকুর রহমান

এটা বিস্ময়কর যে অতীতে চাকমা রাজ পরিবার ও তাদের আত্মীয়দের অনেকে নাম, খেতাব ও আচরণে মুসলিম পরিচিত ছিলেন। আরবি বর্ণ ও ভাষা সংবলিত নয়টি সীলমোহরে তাদের অভিজাতদের নাম-পদবি, গোষ্ঠী-গোত্রদের তালিকা, আরবি, ফার্সি ও তুর্কী ভাষাজাত শব্দ, বাক্য ইত্যাদির বিপুল ব্যবহার এটা প্রমাণ করে যে, তাদের বহুসংখ্যক লোক এককালে স্থানীয় মুসলিম সমাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। আজকাল সে সম্পৃক্ততা একটি অপসৃয়মান ঐতিহ্য। এ সমাজের পন্ডিতরা আজকাল ওই ঐতিহ্যকে, অতীতের মুসলিম প্রভাবের ফল বলে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। তবে প্রভাবগুলো এতো ব্যাপক ও গভীর যে, তা তাদের ব্যাখ্যা মতো এত হাল্কা ভাবা যায় না। সীলমোহর ও দলিলপত্রের দ্বারা প্রমাণিত নিন্মোক্ত চাকমা প্রধানরা কোনমতেই অমুসলিম বলে নির্ণিত হোন না। যথা- ১. আদি রাজা আখ্যায়িত শের মস্ত খাঁ ১৭৩৭ খ্রি., ২. প্রথম মহিলা প্রধান সোনা বি (বিবি) ১৭৪০ খ্রি., ৩. প্রথম আনুষ্ঠানিক দলীয় প্রধান শের জব্বার খাঁন ১৭৪৯ খ্রি., ৪. উত্তরাধিকারী পুত্র নুরুল্লা খাঁন ১৭৬৫ খ্রি., ৫. উত্তরাধিকারী ভাই ফতেহ খাঁন ১৭৭১ খ্রি., ৬. উত্তরাধিকারী ভাই শের দৌলত খাঁন ১৭৭৩ খ্রি., ৭. উত্তরাধিকারী পুত্র জান বখশ খাঁন ১৭৮৩ খ্রি., ৮. উত্তরাধিকারী পুত্র তব্বার খাঁন ১৮০০ খ্রি., ৯. উত্তরাধিকারী ভাই জব্বার খাঁন ১৮০১ খ্রি., ১০. উত্তরাধিকারী পুত্র ধরম বখশ খাঁন ১৮১২ খ্রি.।
এখানে উল্লেখ্য যে, রাজা ভূবন মোহন রায় স্বীয় পুস্তিকা চাকমা রাজ পরিবারের ইতিহাসে আরো অধিক মুসলিম স্বজনদের নাম উল্লেখ করেছেন, তবে তা স্মৃতিকথাভিত্তিক অপ্রামাণ্য।
১২তম চাকমা প্রধান হরিশচন্দ্র রায় নামে ও পদবিতে পিতা ও ব্রিটিশ সূত্রে পরিষ্কার অমুসলিম হলেও তার পিতৃ পুরুষদের অনেকে মুসলিম নাম, পদবিতে পরিচিত, যথা- ১. হরিশচন্দ্র রায়, ২. পিতা গোপিনাথ দেওয়ান, ৩. পিতা মল্লাল খাঁ, ৪. ভাই বল্লাল খাঁ, ৫. ভাই জালাল খাঁ, ৬, পিতা চন্দর খাঁ, ৭. ভাই রতন খাঁ, ৮. পিতা বুন্দার খাঁ, ৯. ভাই রণু খাঁ ও অন্যান্য বিবি ও খান তুর্কি ভাষাজাত উপাধিমূলক মুসলিম শব্দ। এগুলো চাকমা সমাজ ও ভাষায় মুসলিম সংশ্লিষ্টত্য প্রসূত মিশ্রণ।
বাংলায় সুলতানী আমল তুর্কীদের দ্বারাই শুরু। ১২০৪ খ্রি. সালে তুর্কী সুলতান ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজি হলেন সে সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা। কিন্তু এই সালতানাত শুরুর অনেক পূর্ব থেকেই বাংলায় ইসলাম ও মুসলমানদের প্রসার ঘটে গেছে ও তা স্থানীয় সমাজ এবং সংস্কৃতিতে সম্পৃক্ত হয়ে উঠেছে। তবে ভাষা ও জীবনাচারে ইসলামী ও মুসলিম প্রভাব কেবল মুসলিম সমাজেই সীমাবদ্ধ ছিল, যথা- মুসলমানরা যাকে বলেন হুজুর, হিন্দু ও বৌদ্ধরা তাকে বলেন কর্তা। মুসলমানদের পাক-নাপাককে হিন্দু-বৌদ্ধরা বলেন শুচি-অশুচি। মুসলমানরা অভিবাদনে বলেন সালাম। চাকমারাও বলেন তাই। তবে স্থানীয় অন্যান্য অমুসলিমরা বলেন নমস্কার বা আদাব। এভাবেই হুজুরের স্ত্রী বাচক বিপরীত শব্দ বিবি হলো মুসলিম অভিজাত সম্বোধন। চাকমারা ঐতিহ্যগতভাবে রাজাদের সম্বোধন করে হুজুর, আর রাজ মহিষীদের বিবি। তাদের একদল অভিজাত সম্বোধিত হোন দেওয়ান ও খিশা (খেশ>খেশাঁ : আত্মীয়-কটুম)। বিস্ময়কর হলো- চাকমা লোকগীতি রাধা মোহন ধনপতিতে একটি গোটা আরবি বাক্যই উদ্ধৃত হয়, যথা- লবিয়ৎ সবিয়ৎ থুম (তাম)। তাতে আরো একটি বাক্য হলো- অইয়ম গাভুর মর্দে আধা লাঙ্গ্যা, আধা নেক অর্থাৎ আধা উপপতি ও আধা স্বামী। (নেক- ছদ্মবেশী স্বামী, নেকামি>স্বামীর ছদ্মবেশ ধারণ)। একজন চাকমা প্রসূতির আহাজারিও এখানে উল্লেখ্য, যথা : ও খোদা, ও খোদা বান্দা। মুই তোরে সাজ্জি করোঙ্গর, তুই মে খালাস গর। অর্থাৎ ও খোদা ওয়ান্দ। তোমাকে আমি সিজদা করছি, আমাকে তুমি খালাস করো। এগুলো হলো মুসলিম গৃহকোণের ভাষা। কোন অমুসলিমের দ্বারা এটি রপ্ত হতে পারে না।
তৃতীয় চাকমা প্রধান শের জব্বার খাঁন নিজ সীলমোহরে আল্লাহু রাব্বি আর আরাকান উল্লেখ করে নিজেকে খাঁটি মুসলিম ও আরাকানবাসী বলে প্রমাণ করেছেন।
দশম চাকমা প্রধান ধরম বখশ খাঁই প্রথম ব্যক্তি যিনি মুসলিম সমাজ বহির্ভূত চাকমা মহিলা কালিন্দিকে বিবাহ করেন। তার দুই সতিন হারি বি আর আতক বিও ঐ একই সমাজভুক্ত মহিলা ছিলেন। তাদের তিনজনেরই নামের শেষে মুসলিম মহিলা পদবি বি তথা বিবি যুক্ত পাওয়া যায়। ধরম বখশ খাঁর একমাত্র সন্তান চিকন বিবিও একই মুসলিম পদাবিতে পরিচিত। তার স্বামী গোপিনাথ হলেন প্রথম অমুসলিম ও ব্যতিক্রম। তাদের পুত্র ১২তম চাকমা প্রধান হরিশচন্দ্রকে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ রায় উপাধি প্রদান করেন। এ থেকেই পরবর্তী চাকমা রাজ পরিবার রায় উপাধির অধিকারী এবং রাজ মহিয়ষীরাও বিবি উপাধি থেকে মুক্ত। তবু অধিকাংশ চাকমা মহিলা এখনো বি তথা বিবি উপাধি ব্যবহারে অভ্যস্ত। তাদের সামাজিক ভাষাটিও বিস্ময়করভাবে মুসলিম ভাষা-পরিভাষা সমৃদ্ধ। খোদা, দোজখ, সাজ্জি (সিজদা), হায়াত, মৌত (মৌতা), তালাক, সদর (সতর) ইত্যাদিতে ভরপুর। এসব নাম, পদবি ও ভাষা ঐতিহ্য প্রমাণ করে, এককালে এই সমাজটি ইসলাম ও মুসলিম সম্পৃক্ততাতে অবশ্যই আবদ্ধ ছিল। এর ইতিহাস তালাশ করলে দেখা যায়, বিষয়টি মোটেও অনুমানভিত্তিক ভ্রান্ত ধারণা নয়। চাকমাদের বহুল চর্চিত লোকগীতি বলে
ঘরত গেলে মগে পায়,
ঝারত গেলে বাঘে খায়,
বাঘে ন খেলে মগে পায়,
মগে ন পেলে বাঘে খায়,
এলে মৈসাং লালচ নেই,
ন এলে মৈসাং কেলেস নেই,
চল ভেই লোগ চল যেই,
চম্পকনগর ফিরি যেই।
এই ঐতিহাসিক বর্ণনায় জানা যায়, তারা ছিল আরাকানে মগদের দ্বারা আক্রান্ত ও বন-বাদাড়ে বাঘের ভয়ে অতিষ্ঠ। তাদের দলীয় প্রধান মৈসাং-এর দ্বারা তাদের উদ্ধার পাওয়ার লালসা ও উদ্ধারে তার না আসাতেও কোন ক্লেশ অনুভবের কারণ নেই। সুতরাং চলো ভাই লোকেরা চলো আদি স্বদেশ চম্পকনগর ফিরে যাই। এই হলো গানটির ভাষ্য। আরেক গানের বক্তব্য হলো, ‘আদি রাজা শের মস্ত খাঁ রোয়াং ছিল বাড়ি।’
এতে বুঝা যায়, এই আত্মরক্ষা অভিযানে তারা আরাকান ত্যাগ করে নিকটবর্তী চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রবেশ করে। সম্ভবত, সে অঞ্চলটি হলো সীমান্তবর্তী আলীকদম, যেখানে স্থানীয় সামন্ত খোদা বখশ খাঁনের বংশধরদের জমিদারী ছিলো। মগ তাড়িত
চাকমারা প্রথমে সেখানে তাদের আশ্রয় গ্রহণ করে। কিন্তু স্বদেশ চম্পকনগর, দীর্ঘ অতীত স্মৃতির কথা, যার ঠিকানা ও পথ-ঘাটের হদিস তাদের স্মৃতি বহির্ভূত। সুতরাং আপাতত, আলীকদমেই তাদের অবস্থান স্থির থাকে। এখানকার জমিদার পরিবার ও তাদের স্বজনরা আশ্রয় গ্রহণকারী চাকমাদের নিজেদের অঞ্চলে সাদরেই স্থান দেন। উভয়ের মাঝে সৌহার্দ্য ও সহযোগিতা স্থাপিত হয়। চাকমাদের দ্বারা নিজেদের জনবল বৃদ্ধি পাওয়ায় মুসলিম জমিদার শ্রেণীও আশ্বস্তবোধ করেন।
এই মুসলিম জমিদার শ্রেণীর লোকেরা ছিলেন মোগল ও পাঠান শ্রেণীভুক্ত লোক। তারা আরাকানমুখী সীমান্তের পাহাড়ে আশ্রয় নিয়ে ঐ খাস অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করেছিলেন। এখানে আগে পাঠানদের আগমন ঘটে। পরে শাহ সুজার অনুসারী মোগল সৈন্যরাও আরাকান নিরাপদ মনে না করে এই অঞ্চলে থেকে যান। এই দু’দল লোক খোদা বখশ খাঁ বংশীয়দের সাথে সখ্য গড়ে তুলে গোটা মাতামুহুরি উপত্যকাতে নিজেদের আধিপত্য সুপ্রতিষ্ঠিত করেন। তাদের জনবল বৃদ্ধিতে চাকমাদের আগমন সহায়ক হয়। এই পাঠান ও মোগল যোদ্ধারা ছিলেন স্ত্রীলোকহীন। সম্ভবত, তারা নিজেদের এই অভাবকে চাকমা মহিলাদের দ্বারা পূরণ করা শুরু করেন এবং ফলশ্রুতিতে এ মহিলারা ধারণ করেন বিবি উপাধি এবং মুসলিম অভিজাতেরা হয়ে পড়েন চাকমা রাজা। এই সংমিশ্রণের প্রভাব পড়ে চাকমা সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ধর্ম বিশ্বাসে। এর বৈপরিত্য শুরু হয় রাণী কালিন্দির আমল থেকে। হিন্দু ও বৃটিশদের সহায়তায় তারা প্রথমে হিন্দু ধর্মে ও পরে বৌদ্ধধর্মে আকৃষ্ট হয়। গরিব স্থানীয় মুসলিম ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতিদের ঐ চাকমা সামন্তবাদীরা জিম্মি করে নেয়। শুরু হয় চাকমা আধিপত্যের ধারা, যার শেষ পরিণতি হলো, বর্তমানকার রাজনৈতিক উচ্চাশা।
তবু অতীত ইতিহাসকে নিশ্চিহ্ন করা যায়নি। রাণী কালিন্দির চাকমা সর্দার পদবি ও স্বীকৃতি লাভের পর তার শ্বশুর বংশের জনৈক মীর্জা হোসেন খাঁ রাণীর উত্তরাধিকারকে কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে বসেন, যার রায় চাকমা উত্তরাধিকারের বিপক্ষে যায়। এরই ফলশ্রুতিতে তারা রাজানগর ও চট্টগ্রামে অবস্থিত ২২ পরগনা ও অন্যান্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হন। তবু ইংরেজ কর্তৃপক্ষীয় মদদে চাকমা সমাজপতিরূপে ধরম বখশ খাঁর নাতি হরিশচন্দ্র রায় রাঙ্গামাটিতে পুনর্বাসিত হন। সর্দারী ও উত্তরাধিকার সংক্রান্ত মামলা উভয় পরিবারে দীর্ঘদিন যাবৎ চলে। হোসেন বংশীয়রা এখনো রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর পার্শ্ববর্তী খিলমঙ্গল মোগলহাটের অধিকারী ও বাসিন্দা হয়ে আছেন। পরে পাকিস্তান আমলে জমিদারী উচ্ছেদ সম্পন্ন হয়, এবং দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পরিবারও হয়ে পড়েন সম্পদ-সম্পত্তিহীন দুর্বল। সুতরাং, মামলাবাজিরও আর কোন প্রয়োজন ও সামর্থ্য থাকে না।
আরাকানের থেক সমাজ আসলে চাকমাদেরই এক বিচ্ছিন্ন অংশ। তারা আরব-ইরানের বণিক শেখদেরই স্থানীয় স্ত্রীজাত বংশধর। উচ্চারণগত পার্থক্যে শেখ শব্দটি আরাকানে থেক রূপ ধারণ করেছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে তারা চাক অভিহিত। এরা যে চাকমাদের সাথে অভিন্ন, তার শক্তিশালী প্রমাণ হলো তারা নিজেদের সাঙমা উপাধিতে ভূষিত করে, যে উপাধিটি চাংমার প্রতিশব্দ। চাকমারা নিজেদের চাঙমা অভিহিত করে। সম্ভবত গারোদের সাঙমা ও চাকদের সাঙমা জনগোষ্ঠীও চাকমাদের বিচ্ছিন্ন অংশ। বৃহত্তর চাকমা সমাজ অতীতে হিমালয় পাদদেশের কথিত চম্পকনগর থেকে দেশান্তরিত হয়ে, গারো অঞ্চল ও ত্রিপুরা হয়ে আরাকানে গিয়ে স্থির হয়। পরে মগদের দ্বারা বিতাড়িত হয়ে, দক্ষিণ চট্টগ্রামে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে। তাদের এই দেশান্তরকালের বিচ্ছিন্ন অংশ হলো গারোভুক্ত সাঙমা এবং আরাকানের থেকভুক্ত সাঙমা খ্যাত লোকজন।
দক্ষিণ চট্টগ্রামে মুসলিম আধিপত্যের প্রবর্তক ছিলেন জনৈক খোদা বখশ খাঁন, যিনি ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের দখলাধীন ঐ অঞ্চলের সুলতানী শাসক। আরাকানী দখলের পরে তার বংশধরেরা এই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখেন। পরে ওদের সাথে মিলিত হন বাংলা থেকে বিতাড়িত মোগল পাঠানরা। এ ত্রয়ী শক্তির শরণাপন্ন হন মগ তাড়িত চাকমা সমাজ। এই চাকমা ও মুসলিম সংমিশ্রণের ফলে গড়ে ওঠে মিশ্র ভাষা ও নামকরণ ব্যবস্থা। দাজ্যা (দাঁড়িওয়ালা), চেককাবা (খতনাকৃত), লস্কর ইত্যাদি নামের গোত্র-গোষ্ঠীগুলো হলো চাকমা সমাজভুক্ত মুসলিম প্রজন্ম। ওদের মুসলিম পরিচিতি, রাণী কাঁলিন্দির আমল থেকে পরবর্তী বিরূপ প্রভাবে বিলুপ্ত হতে শুরু করে। তবু ভাষা, ঐতিহ্য ও নামকরণে মুসলিম পরিচয়ের অবশেষ এখনো চাকমা সমাজে অব্যাহত আছে। এখনো চাকমা রাজপরিবার অভিষেক ও পুন্যাহ উপলক্ষে মোগলাই সাজপোষাক ও আড়ম্বর অনুসরণ করে অতীতের ইসলামী ও মুসলিম সংশ্লিষ্টতাকে ধারণ করে আছেন। চাকমা মহিলারা এখনো বিবি, খাতুন, বানু ইত্যাদি খেতাবে নিজেদের ভূষিত করে থাকেন। ইসলামী পরিভাষা, খোদা, দোজখ, তালাক, সতর, সিজদা (সাজ্জি) ইত্যাদি এখনো চাকমা ভাষায় অঙ্গিভূত হয়ে আছে। এটা ইসলামী বিশ্বাসের অবশেষ।
লেখক : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষক ও কলামনিস্ট
উৎস
১১টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×