আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশবাসী ওনাকে অন্যরকম চোঁখে দেখত।ভদ্রলোকের কথাবার্তা,কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও সততা উনাকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল।আশরাফ সাহেবের স্থলাভিষিক্ত হয়ে উনি বেশ চমকও দেখিয়েছিলেন।আমরা খুব গর্বিত ছিলাম যে, উনি ব্যক্তি ইমেজ,ছাত্ররাজনীতি এবং দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে যোগ্যতাবলে আজ এই পর্যায় এসেছেন।তাছাড়া দলমত এর উদ্ধেও গ্রহনযোগ্যতা ব্যাপক ছিল তখন।
কিন্তু ইদানিং ওনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্তব্যগুলো বেশ হাস্যকর।আওয়ামী লীগের মত প্রাচীন দলের একজন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উনার বক্তব্যগুলোর ক্ষেত্রে আরেকটু গঠনমূলক,পরিণীত ও সতর্ক হওয়া দরকার।যে মন্তব্য থেকে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে,ঐ গুলো হানিফ,হাসান বা মখাদের দিয়ে করাইলে তো হয়।সব বিষয় নিয়ে বলতে যাওয়া ঠিক না।দলে অযাচিত কথা বলার অনেকেই আছে।
সব দলের সম্পাদক সাহেব কেই বলতে হবে কেন? !!!
বিএনপি নির্বাচনে যাবে মোটামুটি নিশ্চিত।তাই তাদের নিয়ে যত কম মন্তব্য করা হবে ততই মঙ্গল।সবদিক দিয়ে তাদের চেপে ধরলে জনগণের সহানুভূতি বাড়াবে।প্রতিদিন যে হারে বিএনপির সমালোচনা করা হচ্ছে,এতে বিএনপির আর আলাদা করে প্রচারের দরকার হবে না।দেশের মানুষ এখন আর বোকা নাই।রাজনৈতিক বক্তব্যগুলো আলাদা করে বুজতে পারে।
দলের নবীনদের যেমন আন্দোলনে লাগে তেমনি প্রবীণ নেতাদেরও ভোটের রাজনীতিতে প্রয়োজন বেশি হয়।তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে বেফাঁস কিংবা হাস্যকর কথা না বলাই উচিত।হয়ত,এতে কর্মিরা উজ্জবিত হবে বটে কিন্তু ভোট বাড়বে বলে মনে হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১০:০২