চৌমুহনী বাজারের যানজট নিরসনে সমন্বয় সভার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি
গোলামমহিউদ্দিন নসু ,বেগমগঞ্জ(নোয়াখালী)ঃ
নোয়াখালী জেলার বহৎ বানিজ্যিক শহর চৌমুহনী বাজারের যানজট সমস্যা আবারো প্রকোট হয়ে উঠেছে। সাংবাদিক,সংলিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি।
চৌমুহনী বাজারের যানজট সমস্যা দীর্ঘদিনের। উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় একাধিকবার আলোচনাসহ চৌমুহনী প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সেমিনার করেও এ সমস্যা সমাধান করা যায়নি। সব শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আহব্বানে গত ১৬ ফেব্রয়ারী চৌমুহনী পৌর অডিটরিয়ামে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পরিবহন ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক-শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ সভা করা হয়। সকলের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, প্রধান সড়কের পাশের ফুটপাতে কোন হকার বসবে না। স্থায়ী দোকানীরা দোকানের বাহিরে কোন মালামাল রাখবে না।বড় পোল এলাকাসহ রাস্তায় কোন মাছ-তরকারীর দোকান বসবে না। চৌমুহনীর পূর্ব বাজারের তারা মঞ্জিল থেকে ডেল্টা গেইট পর্যন্ত রাস্তায় কোন যাত্রী উঠা নামা করানো হবে না।মূল রাস্তায় কোন সিএনজি অটো ট্যাক্্ির ষ্ট্যান্ড না করে পোষ্ট অফিস রোড দিয়ে ঢুকে ষ্টেশন রোড দিয়ে বের হবে। কোন রিক্সা বা অটো রিক্সা রাস্তায় থামানো অবস্থায় থাকবে না। এসব সিদ্ধান্তবলী কার্যকর করতে ট্রাপিক পুলিশ,ফাঁড়ি পুলিশ,চৌমুহনী পৌরসভার কমিউনিটি পুলিশের সাথে বিভিন্ন সমিতির কমিউনিটি পুলিশ সহায়তা দিবে। থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ টহল করবে এবং সহকারী কমিশনার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরাসরি বিষয়টি মনিটরিং করে প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে । উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রথম সাপ্তাহে ২/৪ দিন এ বিষয়ে কাজ করলেও মূল অবস্থার স্থায়ী কোন উন্নতি ঘটেনি। বেগমগঞ্জের ট্রাপিক সার্জেন্ট জয়দেব নারায়ন বলেন, ট্রাপিক ছাড়া এ কাজে কোন সমিতি সহায়তা দেয়নি এবং সিদ্ধান্ত মোতাবেক নেতারাও কথা রাখেছে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন কিছু কাজ করেছেন,সিএনজিগুলিও সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
সম্প্রতি নোয়াখালী জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী; বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এক চিঠিতে জানায়,চৌমুহনী বাজারের যানজট নিরসনের উদ্যোগ হিসাবে ফোর লেন রাস্তা নির্মানের পর ফুটপাত হকার মুক্ত করন, রেল গেইট এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সা,ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার অবৈধ ষ্ট্যান্ড থাকায় যানজট চরম আকার ধারন করছে। এ অবৈধ ষ্ট্যান্ডটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিলেও কোন কার্যকারিতা নেই। প্রশাসনের এমন উদাসিনতায় সংলিষ্টরা হতাশা ব্যক্ত করছেন।
কয়েকটি পরিবহনের শ্রমিকরা অভিযোগ করে বলেন,ট্রাপিক ও প্রশাসনের লোকেরা আন্তরিক হলে চৌমুহনী বাজারের যানজট থাকে না।এ বিষয়ে প্রশাসন তৎপর হওয়া খুব জরুরী।
এ ছাড়া চৌরাস্তা সহ চৌমুহনী বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে কমিিিনট পুলিশের পোষাক পরে বা সাদা পোষাকে যানবাহন থেকে পৌর টোল,মালিক সমিতি, শ্রমিক সমিতির নামে রাস্তায় গাড়ী দাঁড় কয়িয়ে টাকা আদায় করা হয়। যাতে যানজট সমস্যা বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি রীতিমত প্রকাশ্য হলেও কেউ এ নিষেধ করছে না। নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ,চৌমুহনী পৌর সভার সাবেক মেয়র মামুনুর রশিদ কিরনের সাথে এ নিয়ে আলোচনা করতে বহুবার তাঁর মোবাইল ফোনে চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।