ভারত ও তার মিত্ররা প্রচার চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী নাকি তালেবানসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠিকে মদদ দেয়। যদিও পাকিস্তান সেনাবাহিনী সব সময়ই তা অস্বীকার করে থাকে।
পাকিস্তানে অবস্থা যাই হোক, সেনাবাহিনীকে জঙ্গি লেবেল পরানোর খেলা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুরু করেছে ভারত। বাংলাদেশের রাজনীতি ও সার্বভৌমত্ব পুরোপুরি দিল্লির হাতে নিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন একমাত্র বাধা। এর প্রমাণ পাওয়া যায় গত বছরের শেষ থেকে এ বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর পেছানো। এর প্রধান কারণ ছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে রাজি ছিল না।
সামনে নির্বাচন আসছে। ভারত চাইবে দিল্লির দাস শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আবার আনতে। কিন্তু হাসিনা আবার ক্ষমতায় এলে প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারত করিয়ে নিতে পারে। সেনাবাহিনী তা ঠেকাতে পারবে না। এ কারণ আওয়ামী লীগের একাংশ ও ভারত চায় নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনীতে শুদ্ধি অভিযান হোক। যাতে নির্বাচনকালীন মাঠে সেনা মোতায়েন করতে সরকার বাধ্য হলেও আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় পরিস্থিতি।
অন্যদিকে জাতিসংঘ মিশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম রয়েছে। সেনাবাহিনীর এলিট ফোর্স এসএসএফ’কে জঙ্গিবাদে জড়াতে পারলে তা বিদেশে ইমেজ ক্ষুন্ন করতে সহায়ক হবে। এতে চাপে থাকবে সেনাবাহিনী।
আবার আগে থেকে জঙ্গিবাদের তকমা লাগিয়ে দিতে পারলে ভবিষ্যতে কোনোভাবেও ইসলামপন্থী বা মুসলমানদের পক্ষে যায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাববেন সেনা কর্তারা।
এসব দিক বিবেচনায় নিয়েই ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক সুবীর ভৌমিককে দিয়ে প্রচারণা শুরু করলো। এই মুহুর্তে এই প্রচারণার আরেকটি দিক হলো, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ত হওয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। ভারত নিজে চাচ্ছে রোহিঙ্গাদেরকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে। সেখানে বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করছে। তাও আবার সেনাবাহিনী নামিয়ে তাদের ভালমন্দ তদারক করছে! এমতাবস্থায় দিল্লির পক্ষে রোহিঙ্গাদেরকে বহিষ্কার কষ্টকর হবে। http://banglamail71.info/archives/3479
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪০