somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনি যদি আপনার সন্তানকে পড়া, লেখা, অংক শিখিয়ে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না করেন, তবে সে বদমাঈশ হবে

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যৌন বিজ্ঞান নিয়ে ১৯৩৬ সালে একটা বই বের হয় ৷ সঙ্গত কারনে লেখক এবং বইয়ের নাম বলছি না ৷ বইয়েের একটা অধ্যায়ে শিশু-কিশোরদের নিয়ে আলোচনা এসেছে ৷

সেখানে ষ্টেকেল বলেন, "পিতামাতার সঙ্গে এক ঘরে বা এক বিছানায় শয়নকালে পিতামাতার মিলন লক্ষ্য করে শিশুরা নানাভাবে প্রভাবান্বিত হয় ৷"

ডাঃ গ্রাসেল বলেন, "পাখি, গরু, কুকুর ইত্যাদির দৈহিক মিলন ছেলেমেয়েদেরকে উদ্দীপিত করতে পারে ৷"

লিপম্যান নামক একজন গবেষক তার ছাত্রের উক্তি থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তার ছাত্র সাত বৎসর বয়সে পাঁচ বৎসরের মেয়ের সাথে প্রথম মিলনের সুখ ভোগ করেছে ৷

ডাঃ গিরীন্দ্রশেখর বসু তার এক ছাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সে ১০ বৎসর বয়সে তার তিন মামাত বোনের সাথে মিলিত হয়েছে ৷

এধরনের সমস্যাগুলো সমাধানে যৌন বিজ্ঞানীরা যে পরামর্শগুলো দিয়েছেন তা হলো- পিতামাতাদের সন্তানের বিষয়ে সতর্ক হওয়া ৷ ছেলেমেয়েকে ভিন্ন ভিন্ন বিছানায় ঘুমানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া ৷ গুরুজনের অসাক্ষাতে ছেলেমেয়েদের মেলামেশা করার সুযোগ না দেওয়া ৷

অনেক পরিশ্রম, অনেক পড়ালেখা, অনেক গবেষণা করে মাত্র কিছুদিন পূর্বে বিজ্ঞানীরা যে সিদ্ধান্তগুলোতে উপনীত হয়েছেন, ১৪০০ বছর পূর্বে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সেসব বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন -

"যখন সন্ধ্যা হয়, তখন তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে বাড়ির বাইরে যেতে দিও না । কারণ সেই সময় শয়তান ছড়িয়ে পড়ে ৷ (বুখারী)"

"তোমাদের ছেলেমেয়েদেরকে সাত বছর হলে নামাজের আদেশ প্রদান কর এবং তারা দশ বছর বয়সে উপণীত হলে এজন্য তাদেরকে প্রহার কর (যদি তারা নামাজ না পড়ে) এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও । (আবু দাউদ)"

বালেগ হওয়ার পর থেকে পর্দা ফরয হলেও সাহাবীগণ ছোটবেলা থেকেই তাদের সন্তানদের পর্দার বিষয়ে লক্ষ্য রাখতেন ৷ সন্তানদের কিভাবে সৎ এবং চরিত্রবান করে গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়ে রাসূল (সাঃ) এর অনেক হাদীস আছে, যেগুলো মেনে চললে শুধু মুসলমানরা নয় অমুসলিমরাও উপকৃত হতেন ৷

আজকাল আমরা মুসলমানরাই রাসূল (সাঃ) এর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করি না, অমুসলিমদের বিষয়টাতো অনেক দূর! ফলে আমাদের জীবনটা হয়ে গেছে পশুপাখির মত ৷ ক্ষুধার মত পৃথিবীর সকল প্রাণীর জৈবিক চাহিদাও আছে ৷ এর মাঝে অন্যান্য প্রাণীর জৈবিক কার্য সচরাচর দৃষ্টিগোচর না হলেও, ভাদ্র মাসে কুকুরের কর্মটা মোটামুটি সবার চোখে পড়ার মত ৷

আমাদের অনেক মুরুব্বী ছিলেন ৷ ছোটবেলায় আমরা যখন বিস্মিত হয়ে কুকুরের কর্ম অবলোকন করতাম, তখন মুরুব্বীগণ হয় কুকুরকে তাড়িয়ে দিতেন, না হয় আমাদের ৷ এখন মানুষেরা কুকুরের মত কর্ম করলেও দেখার কেউ নেই ৷ মুরুব্বীরা হয় আত্মসম্মানের ভয়ে, না হয় লাওয়ারিশ পাগলা কুকুর ভেবে পাশ কাটিয়ে যান ৷

আমাদের সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাওয়ারিশ পাগলা কুকুর নিধনের অভিযান চলতো ৷ আর এখন প্রশাসনের মানবিক মূল্যবোধ যাচাইযের জন্য প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষক হতে হবে ৷ এদের মাঝে যদি মানবিক চিন্তাবোধ থাকত, তাহলে আজ আমাদের মত আম জনতাকে ক্লোজ আপের রিক্সা শো বন্ধ করার জন্য লেখালেখি করতে হতো না ৷ এ ধরনের অনৈতিক কাজতো প্রশাসন নিজ দায়িত্বেই বন্ধ করার কথা!

প্রশাসনের লোকজন হয় অন্ধ অথবা প্রকাশ্যে মেলামেশা করা প্রাণীদের সমগোত্রীয় বলে এটি তাদের কাছে দৃষ্টিকটু মনে হচ্ছে না ৷ তাদেরকে অন্ধ বা পশুতে রূপান্তর করার বীজ বপন করা হয়েছে অনেক আগে, ধর্মীয় জ্ঞান বিবর্জিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ৷ শিক্ষক সমাজ যদি অন্ধ বা পশু তৈরির কারিগর না হতেন, তাহলে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাকের ডগায় কিভাবে এসব শো অনুষ্ঠিত হয়?

দেশের শিক্ষক সমাজদের উদ্দেশ্য আহমেদ ছফা তাঁর "গাভী বিত্তান্ত" উপন্যাসে বলেন, "এখন শিক্ষক সমাজ বলতে কিছু নেই ৷ আছে লাল, হলুদ, ডোরাকাটা দল ৷" আমাদের প্রশাসন, শিক্ষা ব্যবস্থা, মিডিয়া সবকিছু এখন ধর্মহীন, দলদাস, বদমাঈশদের দখলে ৷ এদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা বোকামী ৷

মনীষী স্ট্যানলি হল বলেন, "If you teach your child 3R, and leave the 4th R, you will get another R. আপনি যদি আপনার সন্তানকে পড়া, লেখা, অংক শিখিয়ে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত না করেন, তবে সে বদমাঈশ হবে ৷" যেহেতু আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাপারে উদাসীন তাই পারিবারিকভাবে বাচ্চাদের ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে ৷ ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত প্রজন্মই পারবে একদিন এসব নষ্টদের কবল থেকে দেশ এবং দেশের মানুষকে মুক্ত করতে ৷

#সংগৃহীত
কর্টেসি:
Shawal Ahmad Kamrul / ফেসবুক
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫১
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×