যেকোন শিল্প কলকারখানা অনেক অনেক মানুষের কাজ করার সুযোগ বাড়িয়ে দেয়। কাপড়শিল্পে ২০০১ সালে ৩ মিলিয়ন মানুষ কাজ করত। ২০১৪ সালে এর সংখ্যা ৪ মিলিয়নে এসে দাড়িয়েছে। এখানে এখন শুধুমাত্র কাপড়ই সেলাই করা হয়না; যেটি করেই এই শিল্প শুরু হয়েছিল। এখন এই শিল্পকে কেন্দ্র করে অসংখ্য ছোট বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। অনেকে শুধু প্যাকেট বানাচ্ছে। অনেকে শুধু পরিবহনের কাজ করছে।
কিন্তু পুরো বাংলাদেশের মানুষকে এই শিল্পের আওতায় আনা সম্ভব হবে না। এই দেশে টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং ই পড়ানো হয় না। এখানে স্থাপত্যবিদ্যা, কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এও আমরা পড়াশুনা করি। ন্যাচারাল সায়েন্স যেমন পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অংক; কমার্স; আর্টস ও এখানে পড়ানো হয়। একটা সময় ছিল যখন কেউ একটি বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ খুললে ন্যাচারাল সায়েন্স বা কমার্স বা আর্টস এর বিভাগগুলো নিয়ে শুরু করতেন। এখন সময় বদলে গেছে। এখন ইন্জিনিয়ারিং এর উপর বেশি জোড় দেয়া হচ্ছে।
তাই ইন্জিনিয়ারিং এর যেকোন একটি শিল্প কলকারখানা এখনই তৈরি করতে হবে। প্রাথমিক ভাবে হয়তো ২ শত লোক এখানে কাজ শুরু করবে। কিন্তু ১০ বছরের মধ্যে এখানে ২ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের টাকায় আমরা পড়ছি। অথচ আমরা কাজ করছি ইউরোপ আমেরিকায়। ফলটাও ইউরোপ আমেরিকা ভোগ করছে।
সফ্টও্য়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিজনেস এপ্লিকেশন তৈরীর মধ্যেই আটকে আছে। অথচ এর ব্যাপ্তি মহাকাশ যান পর্যন্ত। (বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি রাশিয়া বানিয়ে দিয়েছে ) আমাদের ফিন্যান্স হাউস/ব্যাংক গুলো আমাদের নিজেদের চাইতে ভারতীয় দাদা দের তৈরি সফ্টও্য়্যার কেই বেশি ভরসা করছে। যেহেতু নীতি নির্ধারকদেরকে ভারতীয় দাদারা পড়াশুনা করিয়েছেন, ট্রেনিং দিয়েছেন। গাড়ি শিল্প এখান থেকে আমাদেরকে বের করে আনতে পারবে। ট্রেন ইন্ডাস্ট্রি ভারতীয় দাদাদের প্রভাব মুক্ত করে নিজেরা বানানোর মাধ্যমে জয়যাত্রা শুরু করা যেতে পারে।
[ছবি: গুগোল করে]
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৮