somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা' গ্রুপের অ্যাডমিন থেকে আমাকে কে বাদ দিল, কেন বাদ দিল?

১২ ই মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশ কিছুদিন ধরেই 'বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা' গ্রুপের একজন অ্যাডমিন হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করছি। অ্যাডমিন হিসেবে আলাদা কোনো পারদর্শিতা দেখাতে না পারলেও যারা এই গ্রুপের সদস্য হতে চান, তাদেরকে নিয়মিত অ্যাকটিভ করার কাজটা অন্তত আমি করছিলাম। এ কাজে অন্য অ্যাডমিনদের আমি কখনও সক্রিয় দেখি নি। অ্যাডমিন হিসেবে তাঁদের উপস্থিতিও খুব একটা চোখে পড়ে নি আমার। সম্প্রতি হঠাৎ করেই আবিষ্কার করলাম, এই গ্রুপের অ্যাডমিনের বদলে আমাকে শুধু 'সদস্য' করা হয়েছে, অর্থাৎ অ্যাডমিনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, 'বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা' গ্রুপের প্রবর্তক সর্বদাবেলায়েত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে গ্রুপের জন্য মডারেটর খুঁজছি, কেউ কি আছেন? শিরোনামে গ্রুপে একটি উন্মুক্ত বিজ্ঞাপন দেন। তাঁর আহ্বানে আমি, একরামুল হক শামীম এবং শফিউল আলম চৌধূরী- এই তিনজন সাড়া দিই। তিনি প্রথমে একজন মডারেটর নেওয়ার কথা বললেও আমি প্রস্তাব করি একাধিক মডারেটর নেওয়ার মাধ্যমে যৌথ মডারেশনের। এই পরিপ্রেক্ষিতে ১ মার্চ তারিখে সর্বদাবেলায়েত একরামুল হক শামীম, শফিউল আলম চৌধরী ও অনিশ্চিত-এর দৃষ্টি আকর্ষণ শিরোনামে তিনজনকেই মডারেটর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানান। কিন্তু শফিউল আলম চৌধূরী কোনো সাড়া না দেওয়ায় ২ মার্চ ২০০৮ তারিখে তিনি একরামুল হক শামীম ও আমাকে মডারেটর হিসেবে মনোনীত করেন (দেখুন একরামুল হক শামীম ও অনিশ্চিতকে বলছি )। এরপর থেকে আমি মোটামুটি নিয়মিত মডারেটর বা অ্যাডমিন হিসেবে কাজ করছিলাম। এর মধ্যে ১ জুন ২০০৮ তারিখে তিনি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি শিরোনামে জানান যে শামীম ভাইকে মডারেশনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে আমি মন্তব্য করি- "আমার মনে হয়, অ্যাডমিন থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আগে শামীম ভাইয়ের সাথে আলোচনা করার দরকার ছিলো। কারণ তাঁর সাহায্য পেলে গ্রুপটি এগিয়ে যেতে পারতো।

ব্যক্তিগতভাবে আমিও খুব একটা সময় দিতে পারছি না। সেক্ষেত্রে আরো দু'একজনকে অ্যাডমিন হিসেবে নেওয়া যায় কি-না, ভাবতে পারেন।"

এই পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন এই গ্রুপের মডারেটর বা অ্যাডমিন হিসেবে আমি একাই কাজ করছিলাম। সর্বদাবেলায়েত ভাইকে খুব একটা দেখি নি। অন্য কাউকেও কাজ করতে দেখি নি। কিন্তু গতকাল হঠাৎ গ্রুপে প্রবেশের পর দেখি আমাকে অ্যাডমিনের বদলে সদস্য করা হয়েছে। সর্বদাবেলায়েতের একটি লেখায় আমি এর ব্যাখ্যা চাইলেও তিনি এখন পর্যন্ত এর কোনো ব্যাখ্যা দেন নি।

গ্রুপের অ্যাডমিন থাকা বা না থাকায় কিছু আসে যায় না, পরিচিত কয়েকজনকে গ্রুপের সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ার আহ্বান, সদস্যদের গ্রুপ সদস্যপদ নিশ্চিতকরণ আর নিয়মিত পোস্ট দেওয়া ছাড়া আর নতুন কোনো কাজ আমি করি নি। কিন্তু অ্যাডমিন হিসেবে অব্যাহতি দেওয়ার পূর্বে উন্মুক্তভাবে কিংবা আমাকে মেইল করেও কি এটা জানানো যেতো না?

আমি ঠিক জানি না এই কাজটি কে করেছেন। সর্বদাবেলায়েত নিজে করেছেন নাকি অন্য কাউকে অ্যাডমিন করেছেন যিনি হয়তো এটা করতে পারেন। বিষয়টি জানার জন্য সামহোয়্যার কর্তৃপক্ষকে একটা ইমেইল পাঠাই। তাঁরা জানান - dear blogger,

we have seen your mail and can confirm that we do not change anything in any group after it has been created it is done by the group admins. so please contact the other group admins of your group, maybe write a post and publish it in your group alone. sorry we cannot help you with this as group is a separate entity all together.happy blogging.

regards
blog team

তার মানে, কর্তৃপক্ষ এখানে নাক গলান নি। তাহলে এটা কে করলো?

যিনিই এ কাজটি করুন না কেন, এতোদিন কাজ করার পর কেন আমাকে অ্যাডমিন থেকে বাদ দেওয়া হলো সেটা জানানোর সাধারণ সৌজন্যতা 'বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা' গ্রুপের অ্যাডমিনের কাছ থেকে আশা করেছিলাম।

এই আশাটুকু কি অন্যায় ছিলো?
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×