ভাগিনা "জয়" তথা আপা "শেখ হাসিনা" এর ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল কখনই বাংলার সাধারণ জনগন বা ছাত্রলীগ কাজে লাগাতে পারে নাই। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধামত ব্যবহার করেছে এবং করছে একমাত্র শিবির এবং তাদের সমমনা গ্রুপগুলি।
ডিজিটাল বাংলাদেশে অনলাইনের সুশীলরা হন বিভক্ত, আর শিবির টাইপ সংগঠন গুলো হয় সংঘবদ্ধ। কোনো একটা ব্যাপারে আমি, আপনি মতামত দেই আমরা কিন্তু সবসময়ই বিচ্ছিন্ন এবং অ-নিরাপদ। আর তারা সবসময়ই সংঘবদ্ধ এবং আড়ালে।
আমার যতদুর মনে পরে মুক্তমনা প্রথমে ইয়াহু গ্রুপ ছিল। সেই সময়ে আমিও যুক্ত ছিলাম এই গ্রপের সাথে। কোনো একটা টপিকে কারও লেখার উপর মেইল আসতো তাতে থাকতো নানান মন্তব্য। এটি অতি উচ্চপর্যায়ের চিন্তা-ভাবনা, মত প্রকাশের গ্রুপ ছিলো। তাল মিলাতে না পেরে আমি মাঝে মাঝে পড়তাম, বেশির ভাগই ডিলিট করতাম।
আমি যখন নদী নিয়ে কাজ করছিলাম, আমার ভবনা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। আশ্চর্য্যের ব্যাপার অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, গাম্বিয়া, ভারত থেকে অনেক উচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশি স্কলারদের মতামত পেয়েছিলাম। এই গ্রুপের মাধ্যমেই আমার কাছে ইমেইল আসে ভারতীয় নদী গবেষক Dr. Shrikant LIMAYE এর। তার পরামর্শেই ২০০৮ সালে বুড়িগংগা নদীর পানি পরিক্ষা করেছিলাম বুয়েট থেকে। ২০০৯ সালের ২৬-২৯ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত GeoDEV Congress এ তার আসার কথাও ছিলো কিন্তু শেষ মুহুর্তে ভিসা জটিলতায় আসতে পারেন নি, আমাদের আর দেখাও হয়ন
পোস্টটির প্রায় দুই মাস পরে আমার সেই নদী বিষয়ক গবেষণা তথা প্রোগ্রামটির খুটি নাটি কিছু ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলেন অভিজিৎ। আমি অবাক হয়েছিলাম পোস্টের এতদিন পরে তার এ বিষয়ে সময় দেওয়ায়। আমি তাকে জানিয়েছিলাম আপাতত এইটা বন্ধ রাখছি। ২০১০ সালে ডেনমার্ক চলে যাওয়ার কারনে অনেক স্বপ্নের মত এই স্বপ্নও চাপা পরে যায়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পরাজয় ঘটলো জঙ্গিমনা'র কাছে মুক্তমনা'র......