...গত কয়েকদিন ধরে দেখছি পুলিশের একটি জলকামান ও একটি সাঁজোয়া যান স্থির দাঁড়িয়ে আছে কারখানটির সামনে। ডান্ডা আর রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে আছেন ডজনখানেক পুলিশও।
প্রতিদিন এ পথ ধরেই আমাকে অফিসে যেতে হয়, আবার ফিরতে হয় এ পথ ধরেই।
কারখানিটর সামনে পৌঁছতেই গাড়ির কাঁচ বেধ করে আমার দৃষ্টি আটকে যায় পুলিশের জলকামান, সাঁজায়া যান আর রাইাফেলের বাঁটের উপর।
কেন আজ ক'দিন ধরে এভাবে পুলিশ জলকামান, সাঁজোয়া যান আর রাইফেল হাতে সুসজ্জিত অবস্থায় কারখানাটির সামনে অবস্থান করছে?
জানতে পারলাম, কারখানার ভিতর বকেয়া মজুরির দাবিতে অনশনরত শত শত শ্রমিককে দাবিয়ে রাখতেই সাঁজোয়া যান জলকামান আর পুলিশের এই নিষ্ঠুর আয়োজন।
আমি "তোবা" গার্মেন্টস-এর কথা বলছি। এই ঈদেও পরিবার পরিজন হতে দূরে থাকা বকেয়া মজুরির দাবিতে আমরণ অনশনরত হতভাগা শ্রমিকদের কথা বলছি-
আজ এতগুলো দিন অতিবাহিত হলেও দেখা মেলেনি কোনো সরকারি কর্তাব্যক্তির, সহানুভূতির পরশ নিয়ে এগিয়ে আসেন নি কোন বিরোধী দলীয় নেতা- আাসেন নি বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষও।
এদের কেউই কি পারতেন না ঈদের দিন অন্তত একচামচ সেমাই মুখে দিয়ে হতাভাগা এ শ্রমিকগুলোর অনশন ভাঙাতে? মিছেমিছি হলেও তাদের মাথায় খানিক শান্তনার পরশ বুলাতে?
পারতেন নাা কি?
মাঝে মধ্যে আমাদের নিষ্ঠুরতা সত্যিই "বুশ" "ওবামা"কেও হার মানিয়ে যায়। হার মানিয়ে যায় সীমারকেউ.....।