আকাশের গর্জনে কম্পিত সমুদ্র
জলধির উত্তাল উন্মাদনায় বীভৎস চিৎকার
আষাঢ়ের সন্ধ্যা পেরিয়ে এলো দ্বিপ্রহর রজনী
অথচ এখানেই থেমে গেছে নির্জন এ রাত।
আমি অন্ধকারে হেটে যাই দূর হতে দূর
কোথাও নেই কোনো আলোর মশাল
নেই এক চিমটে মৃদু আলোর গন্ধও।
হঠাৎ শরীরে ভার ভার অনুভূতি
পায়ের গোড়ালিতে এলোমেলো টান
আমি শিহরিত হই
লোমগুলো জেগে উঠে কাটার মত
পায়ের নিচে আর মাটি খুঁজে পাইনা
কারা যেন শুয়ে আছে লাশের মতন
ওদের ভেঁজা শরীর, মুখে কোন শব্দ নেই।
আমি আবারও বিচলিত হই
আপন শরীরে বেড়ে যায় কীটপতঙ্গের সবর আনাগোনা
রক্তচোষা কীটগুলো অন্ধকারে চোখে দেখে
ওরা শুধু অন্ধকার ভালোবাসে
অন্ধকারেই রয়েছে ওদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ।
আর আমিতো বেঁচে আছি ডাল ভাত খেয়ে
আমার পায়ের কোনো শব্দ নেই
অন্ধকারে জীবন্ত চোখের কোনো দাম নেই।
তবে আমার সন্ন্যাসী পা
দুটি চোখ আর কন্ঠস্বর
এ কোন আধ্যাত্মিক শহরে আজ কারারুদ্ধ!
যেখানে চিরচেনা পথগুলো হয়ে যায় অজ্ঞাতনামা খুনের শহর
যে শহরে আমার মৃত্যু হয় প্রতিটি নিশ্বাসে
হাইড্রোজেনের সাথে চলে যায় প্রাণ
অক্সিজেনের সাথে ফিরে আসে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১