somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কানাডার নিউজ পেপার বা টিভি খুললেই মেজাজ গরম হয়ে যায়..

৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কানাডার নিউজ পেপার বা টিভি খুললেই মেজাজ গরম হয়ে যায়। একটা হত্যাকান্ড ঘটলে বা রোড এ্যাকসিডেন্ট হলে কখনো আগে বলে না যে সে লিবারেল পার্টির লোক নাকি কনজারভেটিভ পার্টির লোক। অথবা বলে না যে ব্লগার ছিল নাকি নাস্তিক ছিল নাকি হেফাজতি ছিল! আরে ভাই, বাংলাদেশী বাঙালী হিসেবে আমাদেরও একটা রিএ্যাকশন দিতে টিতে হবে নাকি। হয় খুশী হবো, না হলে দু:খ পাবো, একটাতো কিছু পাবো নাকি! যদি নাই জানলাম যে সে মুসলমান নাকি হিন্দু তাইলে কেমনে আমি আমার হাসি কান্নার নাটক গুলো চিত্রায়িত করবো! ধ্যুর আর ভাল্লাগেনা... এই দেশে।

আজও টরন্টোর প্রধান নিউজগুলো হলো:

*Man shot to death in Rexdale was hearing impaired
*Toronto police say a man who was shot to death in Rexdale on Monday night was a stay-at-home dad who was hearing impaired.

*Woman airlifted to hospital with critical injuries after King City crash

*One of two brothers sought in murder of Etobicoke teen arrested in Mississauga

*Small child badly burnt in two-alarm fire in Etobicoke

বাংলাদেশে রাষ্ট্র, সরকার, বিরোধী দল, মিডিয়া, রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠি ও ব্যাক্তি প্রত্যেকে যেন আজ এক অসু্স্হ্য উস্কানি মুলক প্রতিযোগীতায় নেমেছে যাতে রক্ত দিয়ে কেনা এই স্বাধীন রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে পড়ে। একজন কেউ মারা গেলেই তার মানুষ পরিচয়ের পরিবর্তে আগেই বলা হয় যে সে একজন ধর্মপ্রান হেফাজতি ছিল। যাতে সকল হেফাজতিরা ক্ষেপে যেয়ে রাস্তায় বের হয়ে ভাংচুর শুরু করে দেয়, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। অথবা অন্য সকল পরিচয় বাদ দিয়ে বলা হয় একজন ব্লগার বা নাস্তিক বা হিন্দুকে মেরে ফেলা হয়েছে, সুতরাং ওহে ব্লগারগন, হিন্দু ভাইয়েরা, তাড়াতাড়ি হাতের কাছে যা আছে তাই নিয়ে বের হয়ে পড়, আইন নিজের হাতে তুলে নাও। অনেক সময় বিচার বা তদন্ত হবার আগেই জাজমেন্টাল হয়ে বলে ফেলি, এটা অমুকের কাজ, সুতরাং ধর শালাদের। এই যে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত উস্কানি মুলক সমাজ গঠন চলছে শক্তিশালী মহলগুলোর দুরভিসন্ধিমুলক প্ররোচনায় এর কারন কি? সম্ভবত অন্য আনেক কারনের মাঝে আরো একটা বড় কারন হলো, রাষ্ট্র পরিচালনায় যে চরম ব্যার্থতা, জনগনের জানমাল রক্ষার যে অমার্জনীয় ব্যার্থতা সেটাকে আড়াল করতেই এগুলো করা হয়। কিন্তু কথা হলো, বাপুরে সেটারও কি খুব দরকার আছে? যখন যে ক্ষমতায় এসেছে তার কি কখনো জনমতের দরকার হয়েছে? বালাই ষাট! নানা নামে এসেই তো সকল শক্তি ব্যবহার করে চালিয়েই তো যাচ্ছেন। তাহলে আবার জনগনের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার দরকার কি? জনগন আবার কোন পন্চদাস!

একজন লোককে যখন খুন করা হয়, তখন সরকার বা রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেই খুন হওয়া লোকের রাজনৈতিক বা পেশাগত পরিচয় নির্বিশেষে খুনিকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা। এমন কঠিন শাস্তি হওয়া যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ সেটা করার দু:সাহস না দেখায়। এখন যদি মুখ দেখে দেখে কোনটা করা হয়, কোনটা এড়িয়ে যাওয়া হয়, তাহলে সেটা কোনভাবেই সুস্হ্য সমাজ, সুস্হ্য দেশ হতে পারে না। দুটো পয়সার লোভে, দুটো প্লটের লোভে, দুটো দেশ ভ্রমনের লোভে, দু বেলা পোলাও মাংসের লোভে এইসব মেন্টাল সিকনেস যারা মেনে নিচ্ছেন তাদের জন্য শুধুই একটা বিখ্যাত কবিতার শেষ লাইন উদ্ধৃত করতে পারি, '..... সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি'!




নীচের লিংকে ক্লিক করে আজকের টরন্টোর খবরগুলোর হেডলাইন দেখুন:

http://www.cp24.com/new
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০৪
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×