(গত রাত ১২টার পর অনেকগুলো মিডিয়াতে এই খবরটি পড়ে ভালো লাগলো। এই বিষয়টি অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছিল। কি হবে এই লিবিয়া থেকে প্রত্যাগত বাংলাদেশী অভিবাসীদের। পুনর্বাসনের জন্য সরকারই বা কতটুকু উদ্যোগ নিয়েছিল। এ নিয়ে আমি সামহোয়ারে গতকাল একটা লেখা দিয়েছিলাম। লিবিয়া থেকে প্রত্যাগত বাংলাদেশী অভিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ জরুরী যাই হোক এখন সরকারের এই কর্মসূচীর বাস্তবায়ন জরুরী। )
============================================
লিবিয়া থেকে ফিরে আসা কর্মীদের ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেবে সরকার।
সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি জানান, এ জন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ২৯০ কোটি টাকা) ঋণ দেবে।
"এ অর্থ থেকেই এসব লিবিয়া-ফেরৎ বাংলাদেশি কর্মীর পরিবহণ ব্যয় বাবদ আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) পাওনা পরিশোধ করা হবে।"
মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়ার জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশগুলোর সম্মেলন 'কলম্বো প্রসেস' উপলক্ষে সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
১৯-২১ এপ্রিল ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এশিয়ার জনশক্তি রপ্তানিকারক ১১টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই সম্মেলন হবে। এর মধ্যে প্রথমদিন সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে কিছু বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।
পরদিন সকাল সাড়ে ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক উদ্বোধন করবেন। একই সময় তিনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকও উদ্বোধন করবেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, মন্ত্রী পর্যায়ে দু'দিনের বৈঠকে লিবিয়ার শ্রমবাজারসহ আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং অভিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে করণীয়গুলো নির্ধারণ করা হবে।
লিবিয়া-ফেরতরা অগ্রাধিকার পাবে
লিবিয়া-ফেরৎ ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি অভিবাসীদের পুনর্বাসন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এ সব শ্রমিকের তালিকা সরকারের কাছে রয়েছে। এদের মধ্যে যারা আবারো বিদেশে যেতে চায়, তাদের বাছাই করে আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বিভিন্ন দেশে পাঠানো হবে। এখন দৈনিক এক হাজার পাঁচশ কর্মী বিদেশে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে লিবিয়া-ফেরতরা অগ্রাধিকার পাবে।
মন্ত্রী জানান, অন্যদের মধ্যে ব্যবসা করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে। এতে সুদের হার হবে মাত্র নয় শতাংশ।
"এ জন্য ওয়েজ আর্নার্স তহবিল থেকে ৯৫ কোটি এবং সরকারি মঞ্জুরি বাবদ পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যংকের যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ব্যাংকের কার্যকরী মূলধন ৪০০ কোটি টাকা করা হবে।"
'১০ হাজার যাত্রীর ব্যয় নেবে আইওএম'
লিবিয়া থেকে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রত্যাবাসন ব্যয় মেটানোর বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর দাবি করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, এ জন্য জনপ্রতি এক হাজার দুশ ৬০ মার্কিন ডলার করে আইওএম'কে দেওয়া হবে।
"তবে তারা মাত্র ১০ হাজার কর্মীর পরিবহণ ব্যয় নেবে। বাকি ১৯ হাজারের পরিবহণ ব্যয় তারা নেবে না। সংস্থাটি এ পর্যন্ত ২৯ হাজার কর্মী পরিবহণ করেছে।"
প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আসাদুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
'অন্যদেরও ফেরানোরও কাজ চলছে'
সংবাদ সম্মেলনের আগে বাংলাদেশ সফররত আইওএম'র প্রধান নির্বাহী ও রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম লেসি সুইং প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশি কর্মীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে উইলিয়াম লেসি বলেন, আইওএম এখন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের কর্মীদের লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে।
"সেখানে বাংলাদেশের প্রায় ৬০ থেকে ৮০ হাজার কর্মী ছিল। এর মধ্যে ৩৩ হাজার কর্মী ফিরে এসেছে। অন্যদেরও ফেরানোর কাজ চলছে।"
লিবিয়ায় এখনো আটকা থাকা বাংলাদেশিদের উদ্ধারে পদক্ষেপ প্রসঙ্গে উইলিয়াম বলেন, দেশটিতে এখনো যুদ্ধ চলছে। তাই এখনো তাদের অবস্থান সম্পর্কে আমরা ঠিকমতো কিছুই জানি না। আমাদের সেখানেই কিছুই করার নেই।
"তবে যারা বিভিন্নভাবে সীমান্ত এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে, তাদের প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।"
তথ্য সূএ:
bdnews24.com/bangla
bd-pratidin.com
samakal.com.bd
sonalisangbad.com
roddurbangla.com
joubonjatra.com
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৯:২৩