সোমবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি অ্যালেন গোল্ডস্টেইন এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছেন। বিশ্ব ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
লিবিয়ায় চলমান অস্থিতিশীলতার কারণে ফিরে আসা ৩৫ হাজার বাংলাদেশিকে এ অর্থ দিয়ে এককালীন সহায়তা দেওয়া হবে।
লিবিয়াতে ৭০ থেকে ৮০ হাজার বাংলাদেশি কাজ করেন। স¤প্রতি সেখানকার অস্থিতিশীল অবস্থার কারণে ৩৫ হাজারেরও বেশি শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন। এর মধ্যে ১০ হাজার শ্রমিক ফিরেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মাধ্যমে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব ব্যাংকের দেওয়া অর্থ থেকে আইওএমের মাধ্যমে ১০ হাজার শ্রমিকের ফিরে আসার ব্যয় মেটানো হবে। এছাড়া ৩৫ হাজার শ্রমিকের প্রত্যেককে এককালীন ৫০ হাজার করে যে টাকা দেওয়া হবে তাতেও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ ব্যয় হবে।
লিবিয়া ফেরৎ শ্রমিকদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থ ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার প্রায় চার কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ করছে। এছাড়া আইওএমের মাধ্যমে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে আরো তিন কোটি ডলার সংগ্রহ করা হয়েছে।
সোমবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক শক্তির একটি বড় উৎস হলো প্রবাসী শ্রমিকরা। তাই তাদের প্রয়োজনের সময় সহায়তা নিয়ে হাজির হওয়া সরকারের দায়িত্ব।
বাংলাদেশকে চার কোটি মার্কিন ডলারে এ ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। ৪০ বছরের মধ্যে এ ঋণ শোধ করতে হবে। ঋণের জন্য প্রথম ১০ বছর সুদ দিতে হবে না।
Source:
http://www.bdnews24.com/bangla/details.php