খুব ছোটবেলায় আমতলীর মঠবাড়িগুলো দেখে
আমার বালকমন কেঁপে উঠতো অজানা এক ভয়ে।
শ্মশানঘাটের ওপারে সারি সারি পুরনো মঠ,
মঠ পেরিয়ে সুধীন্দ্রচন্দ্রের পুঁজো মন্ডপ
কীর্তনের আসর ফেরা মানুষ যখন ফিরতো রাত বিরেতে
কারা যেন ডেকে উঠতো পেছনে অদ্ভুত ঘুংরানো শব্দে
সেই ভয় দাঁনা বেঁধেছিল দিনের পর দিন।
চৈত্র সংক্রান্তি এলে বারুনির দিন বাবার পান্জাবি ধরে
চোখ বন্ধ করে পার হতাম মঠবাড়ির খাঁ খাঁ ময়দান।
সুরেশ গোয়ালার উঠোনে এসে চোখ খুলে বাবাকে
কলের জলে আমার ঘর্মাক্ত মুখ ধুয়ে দিতে বলতাম।
যতীনবাবুর কামার দোকানে বাবার বাৎসারিক দা বটি শান দেবার সময়
আমার মন ছুটে যেত সেই রসালো সন্দেশে
লোহাপেটানোর শব্দে আমি খেয়ে নিতাম অমৃত সন্দেশ।
[আমতলীর দিন/ হাসান ইকবাল]