''প্রসঙ্গ : ডারইউনের বিবর্তন মতবাদ ও আওয়ার এইম ইন লাইফ''
অনেক অনেক দিন আগে এক বনে বাস করতো এক বানর। সেখানে আর কোন পশু-প্রাণী থাকতো না। বনে ছিল অসংখ্য তৈলাক্ত বাঁশ। সে বনের আশে-পাশে একটি গ্রামে প্রচুর খরা চলছিল। ওসময় বিভিন্ন হেলিকপ্টার থেকে বস্তা ভরে খাবার ফেলা হচ্ছিল। বেখেয়াল বশত খাবারের একটি বস্তা এসে পড়ে সে বনে। একটি তৈলাক্ত বাঁশে বস্তাটি আটকে পড়ে। অতপর অভুক্ত সে বানরটির লক্ষ্য খাবার সংগ্রহ করে খাওয়া।
ঘটনাটা এখানেই শেষ নয়! এর পরের অংশটা-তো ইতিহাসই বটে। সেটা আরেকটু পরে বলছি। আগের অংশটা কারো জানা না থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ এটা কল্পিত। পরের অংশটা বাস্তব! উপরের গল্পের অংশটুকু কোন এক 'শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞব্যাক্তি'র স্বপ্নদৃশ্য হতে পারে।
লোকটা সম্ভবত বানরপ্রিয়ও ছিলেন। একটু খোলাশা করে বলা যাক, আজ থেকে প্রায় দেড়শত বছর আগে ইংরেজ প্রকৃতি বিজ্ঞানী চার্লস রবার্ট ডারউইন তার বিবর্তন মতবাদটি প্রদান করেন। তার ধারণা ছিল বানর ও মানুষের পূর্বপুরুষ একই ছিল। অর্থাৎ মানুষের জন্ম বানর থেকে।
ম্যাডউইনের মতে পাগল হল পৃথিবীর আদিম প্রাণী। কালের বিবর্তনে কিছু পাগল সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং মানসিক বিকৃতির ফলে সভ্যতা সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে মানুষে পরিণত হয়। এদের মধ্য থেকে কিছু মানুষ বিবর্তিত হয়ে অদ্ভুত কার্যকলাপ শুরু করে। এরা সারা দিন গাছে গাছে ঘুরে বেড়াত, গাছের ডালে ঘুমাত এমনকি গাছের উপর দিয়ে হাটাহাটি লাফালাফি করত। এই লাফালাফিতে সুবিধার জন্যে তারা বাঘ, সিংহ ইত্যাদির লেজ কেটে এনে নিজেরা লাগিয়ে নিত। সেই থেকে উৎপত্তি হল বানর। যদিও পরবর্তীতে ডারউইনের এই তত্ত্বটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে তিরস্কিত হয়েছে।
কিন্তু ওই 'শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞব্যাক্তি'টি প্রচুর পরিমাণে ডারউইনকে নিয়ে পড়তেন। তিনি এতটাই বিবর্তনবাদে বিশ্বাসী ছিলেন স্বয়ং জাতিস্বরের মতো ডারইনের ''বানর'' তত্ত্বে কৈ হারিয়ে ফেলেন। বানর ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছিলেন না। একদিন শিক্ষাবোর্ড থেকে বলা হল শিশুদের জন্য একটি অংক তৈরী করতে। 'শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞব্যক্তি'টি চিন্তায় পড়ে গেলেন। কি করা যায়, কি করা যায়? ওইরাতে তার ঘুম ভালো হচ্ছিল না। স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন, ''অনেক অনেক দিন আগে এক বনে বাস করতো এক বানর.....''
ভদ্রলোক খুশিতে লাফ দিয়ে ঘোর ভেঙ্গে বলে উঠেন ''ইউরেকা..ইউরেকা''! অতপর লিখা শুরু করলেন, ''একটি তৈলাক্ত বাঁশ বাহিয়া, একটি বানর ১ম মিনিটে ৩ মিটার উঠিয়া যায়। কিন্তু ২য় মিনিটে ২ মিটার নিচে নামিয়া যায়। বাঁশটির উচ্চতা ৫০ মিটার হলে, বানরটির বাঁশের আগায় চড়িতে কত সময় লাগিবে?'' এই হচ্ছে একটি তৈলাক্ত বাঁশের অংকের বিহাইন্ড দ্যা সিন।
মূল কথায় ফেরা যাক। স্কুলে থাকতে ছোটবেলায় এই অংকটি করে আমরা কতই না মাথার চুল ঝরিয়েছি, পেন্সিল দিয়ে নিষ্পাপ মস্তিস্কে আঘাত করে ব্রেইনের ক্ষতিসাধন করেছি। জীবনের এতগুলো সময় পার করে উপলব্ধি করতে আর বাকী নেই এই অংকটি মরার আগ পর্যন্ত কোনদিন কাজে লাগবে না। কারো জীবনে এটা কাজে লেগেছে বলে প্রমাণিত হয়নি।
স্কুল লেভেলের অংকেরপোকা হরিপদ, সুমিত্র, আনিসরা অনেকেই আজকের ব্যাংকের উর্ধত্ন কর্মকর্তা। তারা এখন সফটওয়্যারে কম্পিউটারে হিসাব কষে। তাদের সহজ স্বীকারোক্তি 'তৈলাক্ত বাঁশের অংক' তাদের ছাত্র জীবনে কিছুটা সময় নষ্ট করার কুখাদ্য ছাড়া আর কিছু ছিল না। আমাদের দেশের শিক্ষাবোর্ডের বই প্রণেতারা কোন সেন্স থেকে এই অংকটি যোগ করেছিলেন সেটা এখনো প্রশ্নই থেকে গেলে! নাকি আমরা যেভাবে 'বিহাইন্ড দ্যা সিন'' কল্পনা করেছিলাম ঘটনা সেরকমই কিছু ছিল?
সিলেবাস ও বাস্তব জীবনের সাথে অমিল খুঁজতে খুঁজতেই ছাত্র জীবন আমাদের শেষের পথে। আগেও কয়েকটি প্রজন্ম এই ধাপ পেরিয়ে গেছে, আমরাও শেষের পথে। বাবা চেয়েছিলেন আমি ডাক্তারি লাইনে পড়াশোন করি, ডাক্তার হতেই হবে। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম অন্যকিছু। কিন্তু কি সেটাও বুঝে উঠতে পারছিলাম না। গতানুগতিক বিষয়গুলোর মধ্যে আর কোন কিছুকেই তো আলাদা করা যাচ্ছিল না। যখন বুঝতে শিখলাম মনে হল সৃজনশীল কিছুতে যাওয়া উচিত। সাংবাদিকতা বা মিডিয়া নিয়ে পড়লে মন্দ হয় না। ব্যস, সেটা নিয়েই আগানো। যাক ভাগ্য ভালো যে বাবা-মা'কে বুঝাতে পারলাম এ বিষয়টা খারাপ না। কিন্তু কইজনই বা আমার মত নিজের ইচ্ছেমত পড়ার সুযোগ পায়?
বাবা-মা চান ছেলে বা মেয়েকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন, বুয়েটে পড়াবেন, ঢাবিতে-আইবিএ তে পড়াবেন, মেডিক্যালে পড়িয়ে ডাক্তার বানাবেন। শুরু হয় ছেলে-মেয়েরদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে মানসিক চাপ। এটাকে পারিবারিক নির্যাতনই ধরা চলে। এমন নয় যে তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ তবুও ছেলে-মেয়েদের পছন্দসই বিষয় নিয়ে পড়াতে আগ্রহী হন না।
যে শিশু গান শিখতে চান না তাকে জোর করে গানের মাস্টারের কাছে দেয়া হয়, তিন-চারটা নাচের শিক্ষকের কাছে দেয়া হয়। আর অন্যদিকে মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ের গান শিখতে খুব আগ্রহী, তাকে ডাক্তার বানানোর অসুস্থ চাপ বাবা-মায়ের। এমন না যে ডাক্তার হাওয়ার চেয়ে গানে শিক্ষক রাখা বেশি খরচের। জন্মের পরেই ছেলে-মেয়েরা এভাবেই বেড়ে উঠে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে। এ তো গেল পরিবারের কথা। আর আমাদের একাডেমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ''সায়েন্স, কমার্স, আর্টস'' এর মধ্যেই গন্ডিবদ্ধ। কোমলমতী শিশুদের এর বাইরে চিন্তা করার জো কই? নাচ, গান, আবৃত্তি, উপস্থাপণা, লেখালেখি, সাংবাদিকতা, পরিচালনা করা এগুলোও যে চাকরির পেশা হয় সেটা তাদের কাছে প্রায়শ অজানা। তাহলে কিভাবে তারা নতুন সৃষ্টিশীল কিছু গড়ার চেষ্টা করবে, যদি চেতনায় কাজ না করে তাদের মধ্যে?
বর্তমান বাংরাদেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি। তবে এখনও দেশের ২৬ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। বাংলাদেশে ক্ষুধার্থ জনসংখ্যার হার ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। যেটা কিনা ১৯৯০ সালে ছিলো ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এদেশে প্রাথমিক স্থরে অর্থাৎ পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় প্রায় ৩১ লাখ শিক্ষার্থী। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় এ সংখ্যা কমে গিয়ে দাড়ায় প্রায় ১৯ লাখের মত শিক্ষার্থী। এ হার কমার পেছনে দায়ী দরিদ্রতা, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সমস্যা, অমনোযোগিতা ইত্যাদি। সিলেবাস ও শিক্ষাপদ্ধতি টেনে রাখতে পারে না এর একটা অংশকে। পড়াশোনা আনন্দময় ও বাস্তবিক না হলে পড়বেই বা কেন?
চলতি বছর মানে ২০১৪ সালে সারা দেশ থেকে এসএসসি তে ১৪ লাখ ৩২ হাজার ৭২৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। আর এইচএসসি ও সমমানী-তে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যেও প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ল। এর কারণও দরিদ্রতা, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা, অমনোযোগিতা, পরীক্ষায় অকৃতকায় হওয়া ইত্যাদি। এবার এ্সএসসি-তে ''এ+'' পেয়েছে জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ২৭৬ জন। আর এইচএসসি তো ''এ+'' প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০ হাজার ৬০২ জন। পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারীর আনুপাতিক হারে ''এ+'' এর সংখ্যা কিছুটা কমল। এছাড়া এ কমার পেছনে দায়ী এর কারণও দরিদ্রতা, বাল্যবিবাহ, পারিবারিক সমস্যা, অমনোযোগিতা, পরীক্ষায় অকৃতকায় হওয়া ইত্যাদি।
যারা ''এ+'' পায়নি তাদের কথা আপাতত শিতিলই থাক? তাদের মধ্যেও কি গুণী বা মেধাবী নেই? অবশ্যই আছে। এখন দেখে নেয়া যাক একটি বাস্তবিক পরিসংখ্যান। এবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'গ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৪৮ হাজার ৫৭ জন শিক্ষার্থী। এক হাজার ১৭০ আসনের বিপরীতে এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯ হাজার ৯০৬ জন শিক্ষার্থী। অথচ পরীক্ষায় অংশ নেয় ৪৮ হাজার ৫৭ জন। ফলাফলের পর ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ২০ দশমিক ৬১ শতাংশ। একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতেই প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর পরাজয়! প্রতিযোগিতার জন্যই-তো সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধিতে পরীক্ষা দেয়া, তাহলে এই বেহাল চিত্র কেন? সৃজনশীলপ্রশ্নপ্রত্র প্রকৃতপক্ষে কোন জায়গা-তে গিয়ে সফল?
অবশ্যই এ ক্ষেত্রে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র পেয়ে ''এ+'' পাওয়া শিক্ষার্থীদের কথা না হয় বাদই দিলাম। শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর শিক্ষাবিদেরা বলেছিলেন, "পড়াশোনার প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আগ্রহ বৃদ্ধি এবং সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে বেশি নম্বর পাওয়ার সুযোগ থাকায় ফল ভালো হয়েছে"!
অন্যদিকে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল প্রশ্নপত্র ফাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ''প্রায় সবাই এবার পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র পেয়েছিল! শুধু যেসব ছেলে-মেয়ে সৎ ছিল, শুধু তারা প্রশ্ন নেয়নি! সুতরাং এই পরীক্ষার ফলকে আমার পক্ষে গুরুত্বসহকারে নেওয়া সম্ভব নয়!'' যে প্রসঙ্গও বাদ দিলাম।
এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীরা বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি পরীক্ষা দেয়। এদের মধ্যে অধিকাংশই তাদের পছন্দমত বিষয় পায় না। এর কারণ ভর্তি পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়া, দ্বিতীয়ত আসন সংকট। এমনো দেখা যায় একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে একাধিক বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ পান। লক্ষ্যবিহীন জীবন বৈঠাবিহীন নৌকার মতো। অনেক পুরনো বাগধারা, কিন্তু এক্ষেত্রে যুথসই।
আমাদের জীবনের লক্ষ্যই একদিকে নির্ধারিত থাকে তাহলে একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য ধাবিত হবে কেন? শেষে ফলাফল দাড়াল একজন একাধিক বিষয়ে ঠিকে গেল, অন্যদিকে একটা মেয়ে ''আইনশাস্ত্র'' নিয়ে পড়তে চেয়েও চান্স পেয়ে বসল বিবিএ-তে। এখন বাবা-মায়ের ইচ্ছে ও নিয়তির নিয়মে তাকে বাধ্য হয়ে পড়তে হবে বিবিএ নিয়ে। অথচ সে মেয়েটি ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখে আসছিল 'উকিল' হবে। তাহলে কি তার এতদিনের স্বপ্ন দেখা সব বৃথায় ছিল?
শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মনোভাবের সাথে গড়ে তোলার জন্য যাচাই পদ্ধতি ''সৃজনশীল প্রশ্নপ্রত্র।'' অথচ পরীক্ষার আগের রাতেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়, শিক্ষাবোর্ড ''এ+'' বাড়ানো ছাড়া কিছু করতে পারে না। ছোটবেলা থেকে যে ছেলে-মেয়ে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখতো, ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়ে সে ঠিকে গেল ঢাবি'র আইবিএ-তে, বাধ্য হয়ে তাকে পড়তেও হবে। তাহলে তার এতদিন স্বপ্ন দেখা পুরোটাই ব্যর্থ। সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের বিপরীতে উচ্চশিক্ষার্জনের জন্য আসন সংকট-আদো কি ছোটবেলায় আমাদের ''এইম ইন লাইফ'' নির্ধারণ করা উচিত??''
সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের প্রধান লক্ষ্যই যদি হয় শিক্ষার্থীর মেধাবী করে গড়ে তোলা, তবে তার মধ্যেও ঘাটতি থেকে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিক্যালে পড়াশোনা করেই অনেকেই ভালো রেজার্ল্ড করে বের হন ''সার্টিফিকেট'' হাতে নিয়ে। তার মধ্যে কত জনই বা সত্যিকার অর্থে চেয়েছিল এসব বিষয় নিয়ে পাশ করে বের হবেন! নাকি তারা শৈশবে নাচ, গান, আবৃত্তি, উপস্থাপণা, লেখালেখি, সাংবাদিকতা, পরিচালনা নিয়ে পড়াশোনা করতে চেয়ে বাবা-মা ও দেশের প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থার করাল গ্রাসের ভোগান্তীর শিকার?
তাদের জন্য ''এইম ইন লাইফ'' প্যারাগ্রাফটি লেখাও ব্যর্থ। সৃজনশীলপ্রশ্ন পদ্ধতিকে নয় বরং কোমলমতী শিক্ষার্থীদের প্রকৃত ''এইম ইন লাইফ'' জেনে সে বিষয়ে যোগ্য করে গড়ে তোলা হোক আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য। হতে পারে না, ক্লাস নাইনেই একজন শিক্ষার্থী বিষয় নির্ধারণ করে তার ''এইম ইন লাইফ'' পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।
এ স্তরেই কি যোগ হতে পারে না, নাচ, গান, আবৃত্তি, উপস্থণা, লেখালেখি, স্থাপত্যবিদ্যা-সৃজনশীল ও নান্দনিক বিষয়গুলো। তাহলে একজন শিক্ষার্থী একটি বিষয়েই দক্ষ হয়ে দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতো। ক্লাস নাইনে থাকতেই একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষার হলে বসে তার ভবিষ্যত লিখবে ''মাই এইম ইন লাইফ ইজ টু বি এ রাইটার''।
writer : জা.আ.খা.এন