জীবনটা যদি পথ হয় তবে গন্তব্যটা নিশ্চই মৃত্যু ।মৃত্যু সেতো নির্ধারিত জীবনের কাউন্টডাউন।কিন্তু অসময়ে চলে যায় যদি এমন কেউ জীবনের মানেটাই হলোনা বুঝা যার । সে প্রয়ান বড় বুকে বাজে ।"মৃত্যুই অমৃতকে প্রকাশ করে"-এই বিশ্বাসে অটল থাকা যায়না ।কাঞ্চনের মৃত্যুটা এমনি আকস্মিক এমনি অপ্রত্যাশিত ছিল ।ভেতরে সৃষ্টির তুমুল আলোড়ন আর যন্ত্রনা।অন্য দিকে জীবন ও জীবিকার রূঢ় বাস্তবতায় নিষ্পেষিত।
এত সাহিত্য ও সংগীতের প্রতি অনুরাগ কম মানুষের মধ্যেই দেখেছি। দৃষ্টিজুড়ে আদিগন্ত বিস্তৃত কাপ্তাই লেক ডিয়ার হীলের নির্জন বেঞ্চে পাশাপাশি বসে আবিষ্কার করতাম পরস্পরের প্রতি একাত্নতা,একাগ্রতা সৌহার্দ আর চিন্তার সৌকর্য্য।
কাঞ্চন,ছিল সৃষ্টির তারনায় বিক্ষত, সহমর্মিতা আর সহযোগিতার অদ্ভুত সুন্দর এবং বিশাল হৃদয় নিয়ে মানুষের জন্য প্রতি মূহুর্তে বিচলিত। একাত্নতা বোধ করতাম চিন্তায় ও মননে। একই চিন্তা চেতনায় কাজ করতে গিয়ে বহুবার কেটেছে সুন্দর আর কর্মময় বেশ কিছু সময়। স্মৃতির ডালি ভরেছে অনন্য সুন্দর মধুর স্মৃতিতে। ছুটির দিনের দুপুর গড়াতো আড্ডা আর গানে । শেষ বিকেলের স্বপ্লীল রেখা মুছে গিয়ে চোরা পায়ে সন্ধ্যা নামত সকলের অগোচরে। রাত একটু গভীর হলেই ফিরতে হতো প্রাত্যহিক জীবনের আবশি্য্যকতায়।প্রাত্যহিক সাক্ষাৎ আর বিদায়ের মাঝখানের তিন চার ঘন্টা ছিল স্বপ্ন বোনার সময়।কত স্বপ্প কত পরিকল্পনার বীজ বোনা।অসম্ভব স্বপ্নচারী ছিল কাঞ্চন।আগ্রহ ছিল তুচ্ছ সব কিছুতেই।তার মত এত বিনয়ী ভদ্র পরমত সহীষ্ণু হাস্যোজ্জল মানুষ খুব কম দেখেছি ।তার চেহারাতেই মাখামাখি ছিল স্বপ্নালুক গাঢ় কোমলতা। দুচোখের চাহনিতে জীবনের প্রতি প্রগাঢ় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী।আজ কাঞ্চন শুধুই স্মৃতি।পাঁজরের ভেতরর এক অথৈ শূন্যতা।