somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মানবতার শত্রু ইসরায়েল,মুভি মিউনিখ আর অসহায় ফিলিস্তিনিরা..

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
মানবতার শত্রু ইসরায়েল,মুভি মিউনিখ আর অসহায় ফিলিস্তিনিরা...
---------------------------------------------------


মিউনিখ ছবিটির প্রযোজনা ও পরিচালনায় ছিল বিশ্ব বিখ্যাত পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ। ছবিটিতে মোসাদ এজেন্টের ভুমিকায় অভিনয় করেছিল আজকের জেমস বন্ড খ্যাত ডানিয়েল ক্রেইগ। যদিও ছবিটির মুখ্য ভুমিকায় মানে আমরা যাদেরকে নায়ক বলে থাকি সেখানে অভিনয় করেছিল এরিক বানা(a Mossad agent of German-Jewish descent).
যার ভুমিকা ছিল ১১ জন ইসরায়েলী হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া অর্থাত সেই হত্যাকান্ডের ছক তৈরি করা ফিলিস্তিন নেতাদেরকে হত্যা করার্। যারা ১৯৭২ সালে মিউনিখে অনুস্টিত অলিম্পিকে অংশ গ্রহনকারী ইসরায়েলী এথল্যাটিক হত্যার পিছনে ছিল বলে ধারনা করা হয়। আমি ছবিটির মুল বিষয়ে যাচ্ছি না। শুধু মাত্র একটি দৃশ্যের কথা বলতে চাচ্ছি।
দৃশ্যটি ছিল,মোসাদ এজেন্টরা মোহাম্মদ হামসারীকে খুন করতে তার বাসভবনের টেলিফোনে বোম্ব রাখে। হামসারী টেলিফোন উঠানোর সাথে সাথে বাইরে থাকা জেমস বন্ড একটি সুইস টিপার সাথে সাথে হামসারী ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে চলে যাবেন পরলোকে। সবকিছুই চলছিল পরিকল্পনা মতো। বাধ সাধলো তখন,যখন এই ছবির নায়ক মোসাদ এজেন্ট দেখলো হামসারীর ছোট্ট মেয়েটি কি জানি কি খুজতে বাসায় এলো এবং টেলিফোনটি রিসিভ করলো সেই বাচ্চা মেয়েটি। যার পর নাই বিব্রত হয়ে এরিক বানা দিল দৌড় আর এবর্ট করলো তাদের কিলিং মিশন। বাচ্চাটি বের হয়ে যাবার ২ মিনিট পর তারা রিমোট টিপে খুন করলো হামসারীকে। বলার অপেক্ষা রাখে না পরিচালক এখানে মুসাদের মানবিক দিকটিই ফুটিয়ে তুলেছেন অন্তত সুন্দর ভাবে। প্রস্ন হলো মুসাদ কি আসলেই তাই?
উত্তর জানতে আপনাদেরকে আমি নিয়ে যাচ্ছি ২০১২ তে, তখন মুসাদের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিল তখন মুসে নামক বিরাট ক্ষমতাধর এক জন ইহুদি। যে ছিল ২০১২ ম্যাসাকারের নায়ক।
১০ বছরের একটি বাচ্চা ছেলে নাম আহমাত, দুবছর আগেই যার পায়ে ইসরায়েলের গুলি লেগে পুংগু হয়ে পরেছিল। যার অপরাধ ছিল শুধুমাত্র তার বাবা প্যালেস্টাইন লিবারেশনের একজন সক্রিয় কর্মী । সেই অপরাধে মুসাদের সেই এজেন্ট তাকে ঘরের ভিতর রেখে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয় তাদের বাড়িটি। পুংগু আহমাত বিনা নড়াচরাই মিশে গেল ধংসস্তুপের সাথে। কেউ জানত না এই ঘটনাটি,অন্য. আরো লাখো ঘটনার মত হয়ত সমাধিস্ত হত এই ঘটনাটিও। একজন এমেরিকানের সচক্ষে দেখা বলে দুনিয়া জেনেছিল সেই বিভত্স ইসরায়েলী বর্বরতা।
এবার ফিরে আসি বর্তমানে। কি ঘটছে গাজায়? ইসরায়েলের অমানবিক হামলায় এই পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছে তাদের বেশীর ভাগই সাধারণ জনগণ, বাদ যায়নি নিস্পাপ শিশুরাও। যারা এখনো পর্যন্ত বুঝেই উঠনি ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের মধ্যে পার্থক্য কি? প্রস্ন হলো, যারা এই বর্বর হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তাদেরকে কেন মানবতার শত্রু বলা যাবে না?
এবার তাকাই হামাসের রকেট হামলার দিকে। হামাসের হামলায় এখনো পর্যন্ত মারা যায় নি কোন অসহায় শিশু। হামাসের হামলায় নিহতরা সবাই ছিল ইসরায়েলের সৈনিক,দুইজন সাধারণ নাগরিক প্রান হারিয়ে এই পর্যন্ত।
এটা স্পিলবার্গের কোন ছবি নয়,
এটা উন্নত বিশ্বের স্পেশালিস্ট সাংবাদিকতা নয়, এটা বাস্তবতা।


স্পিলবার্গ হয়ত তার ছবিতে মুসাদ এজেন্ট কে মহা নায়ক বানিয়ে রক্ষা করে দিচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনি শিশুদেরকে। কিংবা বিবিসি সিএনএন ফিলিস্তিনিদের জংগী আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলকে বানিয়ে দিচ্ছে মহানায়ক। তাতে কি হয়েছে? মানুষ ত সত্য একদিন জানবেই। যেমনটি আজ বিবেক বান সবাই ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর খতিয়ান থেকে আমরা জেনেছি।
রাজিবুল হাসান
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×