পুরোপুরি কোন এক গ্রামের উম্মুক্ত সবুজ খোলা মাঠ। একপাশে গ্রামের কাঁচা রাস্তা, সামনে-পিছনে-অন্যপাশে ফসলি জমি। চমৎকার গ্রামীন পরিবেশ।
ভাবছেন গ্রাম-বাংলার চিরায়ত রুপ বর্ণনা করা হচ্ছে?
মোটেও তা নয়..........
খোলা মাঠে স্থাপন করা হয়েছে শহরের অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সু-সজ্জিত উম্মুক্ত রান্নাঘর। এসব আধুনিক সরঞ্জামাদি সম্ভবত যেগুলো সমাজের একটা বিশেষ শ্রেনীর বাড়িতে থাকে। এ ধরনের প্রোগ্রাম ছাড়া আমার মত দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ হয়ত এগুলো চোখে দেখে নাই, এমনকি এগুলোর অনেক কিছুর নামও হয়ত শোনে নাই।
যাহোক, বলছিলাম একটা বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত গতকালের (১৪/০১/২০১৭) একটা রান্না বিষয়ক অনুষ্ঠানের কথা। যেখানে খুব সু-সজ্জিত হয়ে রান্না পরিচালনা করছিলেন বা দর্শকদের রান্না করে দেখাচ্ছিলেন দেশের একজন খ্যাতিমান রন্ধন শিল্পি বা রান্না বিশারদ।
মোটামুটি উপরে কিঞ্চিত বর্ণিত রান্নার সার্বিক পরিবেশ দেখে আমি এতে এতটাই মুগ্ধ ছিলাম যে তিনি কি রান্না করছিলেন তা দেখার সৌভাগ্য আর আমার হয় নাই। এরকম বাইরে রান্নার দৃশ্য অনেক খ্যাতিমান রান্না বিশারদদের কল্যানে প্রায়ই বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখা যায়।
অতিপ্রাকৃত, অবাস্তব বা কাল্পনিক বিষয় সমূহ আমার মত পাগলদের মাথায় থাকে বলেই জানতাম।
গ্রামের উম্মুক্ত খোলা মাঠে শহরের অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সু-সজ্জিত রান্নাঘরে খুব সু-সজ্জিত একজন খ্যাতিমান রন্ধন শিল্পি রান্না করছেন এরকম চিন্তা বা কল্পনা আমার মত কিছু কল্পনা বিলাশী পাগল যারা বাংলাদেশের কোন এক কুড়েঘরে শুয়ে পরির দেশের কথা ভাবে তারা করতেই পারে।
তবে দেশে যে পাগলের এত ছড়াছড়ি এবং তারা যে দেশের সবাইকেই পাগল ভাবে তা জানা ছিলনা।
দেশটা সত্যিই এখন পাগলের মেলা।
জয় হোক পাগলের! জয় হোক!! জয় হোক!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯