"তুমি এমন ও জাল পেতেছ, সংসারে।
কার বা এমন সাধ্য আছে, সেই মায়াজাল ছিড়ে যেতে পারে!"
এতদিন ৬ ভাই ছিলাম। যদিও জ্ঞান হবার পর সেজ বা ৩য় ভাইকে তেমন একটা কাছে পাইনি কখনো। তাই আত্মিক বন্ধনটা তৈরি হয়নি সেভাবে। গত নভেম্বরে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর পর দেখা হয়েছিল, তবে তার কথা বোঝার সৌভাগ্য হয়নি। তিনি পোস্ট স্ট্রোক পারালাইজড পেশেন্ট হয়ে ফিরে এসেছিলেন আপন ঠিকানায় এতদিন পর। গতকাল তিনি আমাদের ছেড়ে গেছেন চিরতরে। শেষ দেখাটাও আর হল না ভাই। শুরু হল এই প্রজন্মের অনন্ত যাত্রা।
কর্মসূত্রে ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে উত্তরবঙ্গে আছি। দেড় বছর বগুড়া, তারপর রংপুর। বগুড়াতে ৪ তলা বাড়িটির ৩য় তলার যে ফ্লাটে আমরা ছিলাম তার পাশের নিজ ফ্লাটেই স্ত্রী ও ২ মেয়ে নিয়ে বাড়িওয়ালাদের সেজ বা ৩য় ভাই থাকে। আমার বাচ্চা দুটিকে যারা খুব আদর করত। অনাত্মীয় হলেও অল্প দিনেই আত্মিয়ের একটা বন্ধন তৈরি হয়েছিল।
রংপুর চলে আসার পরেও যোগাযোগ ছিল। ছোট মেয়েটির এসএসসি পরীক্ষা শেষ, তাই মা মেয়ে কদিনের জন্য বেড়াতে এসেছিল, আজ ফিরে গেছে। কয়েকদিন বাচ্চারা বেশ আনন্দেই ছিল। বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছে, হৈ-হুল্লোড় করে সময় কাটিয়েছে। আজ তারা চলে যাবে শুনেই দুপুর থেকে ছেলেটা কাঁদছে। কোন ভাবেই তার কান্না থামানো যাচ্ছেনা। কেঁদে কেঁদেই রাতে ঘুমিয়ে পড়েছে...
দুনিয়াটা বড়ই অদ্ভুত আর জটিল!
কে আপন! কে যে পর!!
বোঝা বড় মুশকিল!!!
(১২ মার্চ ২০১৮)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬