গত ২৯শে জুলাই ছিল ডাকটিকেট দিবস। আজ অনলাইন নিউজ ফিডে এই খবরের একটা রিপোর্ট চোখে পড়তেই মনে পড়ে গেল আমার স্কুল জীবনে জমানো ডাক টিকেটগুলোর কথা। খোঁজ... খোঁজ... খোঁজ... খুঁজে পেতেই পাওয়া গেল ছোট্ট একটা ডায়েরীর শেষের কয়েক পাতায় আঠা দিয়ে আটকানো ডাক টিকেটগুলো। খুব বেশী নয়, পঞ্চাশটার মত হবে বোধহয়। আমার আসলে শৈশবে তেমন কোন শখ ছিল বলে মনে পড়ে না। আমি সব কিছুতেই উৎসাহী ছিলাম। শখগুলো সব জন্ম নিল বড় হওয়ার পর। গান শোনা, গল্প বই পড়া, ঘুরে বেড়ানো, লেখালেখি করা, ছবি আঁকা রাজ্যের যতসব শখের ডালা-পালা গজাতে শুরু করল টিন এইজের শেষে। যাই হোক, এই ডাক টিকেটগুলো সব জমিয়েছিলাম বয় স্কাউটের নানান পারদর্শী ব্যাচ এর একটি যোগাড় করার জন্য। রান্না, বই বাঁধাই, সাঁতার এরকম আরও কত রকমের যে পারদর্শী ব্যাচ ছিল আজ মনে নেই। মনে আছে মোট ২৫টি ব্যাচ পেতে হত। কয়টি পেয়েছিলাম কিছুই মনে নেই, ব্যাচগুলো কই গেল তাও আজ মনে নেই। যাই হোক ডাক ডাক টিকেটের ছবিগুলো আমার ব্লগ পাতায় ধরে রাখার জন্য এই ফাউ পোস্ট। তাই সবাই ক্ষমা করবেন আমায়। সব ডাকটিকেট নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগের। কোন কোন দেশের আজ আর মনে নেই, কিছু দেশের নাম ডাক টিকেটের গায়ে লেখা আছে। আর কোথা থেকে কিভাবে এগুলো যোগাড় করেছিলাম মনে নেই, তবে একটা কথা মনে আছে একটা ডাক টিকেটও টাকা দিয়ে কিনি নাই। সব আত্মীয় বন্ধু এদের কাছ থেকে যোগাড় করা, বিশেষ করে যাদের বাসার কেউ দেশের বাইরে থাকতো তাদের কাছে ধর্না দিতাম, এটা মনে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮