somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আশা করি একদিন এই প্রাণের শহর ঢাকা’র পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে আমরা গর্ব করব।

০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আসলে কি দিয়ে লেখা শুরু করব বুঝতে পারছি না। গত কয়েকদিনের ঘটনা পরম্পরায় চেতনাবোধের কিছুটা হলেও ধাক্কা খায় নাই এমন মানুষ মেলা দুষ্কর (কিছু অমানুষ ছাড়া, যারা এমনি এমনি হাসে)। আমার মত যারা এই ঢাকা শহরে জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন গণপরিবহনে যাতায়াত করি, তারা জানি কতটা অসহায় আমরা এই পরিবহণ সেক্টরে। বাসের নোংরা সিট, ছোট ছোট বসার অযোগ্য সিট, হেল্পার-ড্রাইভারদের রুক্ষ এবং আক্রমণাত্মক আচরণ থেকে শুরু করে পরিবহণের অপ্রতুলতা, রাস্তার তুলনায় অতিরিক্ত যানবাহন, ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা... এগুলো নিত্যদিনকার অভ্যেসে পরিণত করে আমরা প্রতিদিন যাতায়াত করি এই শহরে। গত মাস কয়েক আগের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা শহরে পরিবহণের গড় গতিবেগ ঘন্টায় ০৭ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। যদিও বেশীরভাগ সময় বাস্তবিক গতিবেগ এর চেয়ে অনেক কম হয়ে যায়। কিন্তু এই অবস্থা থেকে কি পরিত্রাণ একেবারেই অসম্ভব! আমার মনে হয় না। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যা যা ধরা পড়েছে এই পরিবহণ সংকট নিয়ে তা নিয়ে কিছু লিখতে চাই।

অবকাঠামোঃ ঢাকা শহরের পরিবহণ ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সমস্যা হল শহরের রাস্তাঘাটের অবকাঠামো। প্রথমত অপরিকল্পিত এবং অপ্রতুল রাস্তা। বিগত পঞ্চাশ বছরে এই শহর এর রাস্তাগুলো কোন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা থেকে করা হয় নাই। মূল রোড থেকে অপর রোডে যাওয়ার সংযোগ সড়কগুলোর অপ্রতুলতা সবচেয়ে চোখে পড়ে। আপনি মিরপুর এলাকার কথাই ধরুন, মহাখালি থেকে মিরপুর এলাকার স্ট্রেইট ডিসটেন্স কতটুকু? অথচ এর প্রায় পাঁচগুণ রাস্তা পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এরপর যেটা সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যা, বাস স্টপেজগুলোতে আলাদা কোন জায়গা নেই। স্ট্রেইট রোডে চলন্ত বাস থামিয়ে পেসেঞ্জার উঠানো-নামানো হচ্ছে। অথচ, কিছুটা ইউ শেপের বাস পার্কিং জোন করে বাস স্টপেজ করার জায়গা থাকলে রাস্তায় অনেকটাই শৃঙ্খলা ফিরে আসতো। আর তৃতীয় তথা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, খানাখন্দে ভরা, ভাঙ্গাচোরা সড়ক। নিয়মিত রাস্তাগুলোর মেরামত-উন্নয়ন ব্যতীত এই শহরকে গতিশীল করা অসম্ভব।

পরিবহণঃ ঢাকা শহরে পরিবহণ সংখ্যা অনেক বেশী হলেও তা শুধু কোয়ান্টিটি রেইজ করেছে, কোয়ালিটি বাড়াতে পারে নাই। এখনো ঢাকা শহরে ২০-৩০ বছরের বেশী পুরানো বাস চলছে প্রায় অর্ধেকেরও বেশী। কিন্তু একটি বাসের লাইফ টাইম কত দিন ধরা উচিত? কতদিন পর ডাম্পিং করা উচিত? এসব খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে পরিবহণ সমস্যার সমাধান হবে কি? বলা হয় ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যামের অন্যতম কারন অতিরিক্ত প্রাইভেট গাড়ী। কেন মানুষ প্রাইভেট গাড়ীর তেল পুড়িয়ে, ড্রাইভার পুষে শহরে বের হচ্ছে? স্ট্যাটাস জাহির করতে? সেই দিন এখন আর নেই রে পাগলা। আপনি কোয়ালিটি পরিবহণ দেন, দেখবেন অর্ধেকের বেশী প্রাইভেট কার রাস্তায় নামবে না। প্রতিটি এলাকা হতে উন্নতমানের স্কুল-কলেজ বাস সার্ভিস চালু থাকলে অনেক বাবা-মা’ই আর নিজের প্রাইভেট গাড়ীতে করে সন্তান’কে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন না। কিন্তু বাস্তবতা কত ভয়ঙ্কর তা গত সপ্তাহেই আমরা দেখলাম “জাবালে-নুর” এর দানবিক তান্ডবে। উত্তরা-আবদুল্লাহপুর হতে মতিঝিল রুটে বিআরটিসি এসি বাসে দাঁড়িয়েও জায়গা পাওয়া যায় না। সরকার যদি বিআরটিসি হতে এবং সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগে ঢাকা শহরের নানান রুটে নতুন বাস নামায়, তবে সমস্যার সমাধান হবেই। গুলশানে নিটল পরিচালিত “ঢাকার চাকা” এর অন্যতম উদাহরণ। দরকার উদ্যোগ, স্বদিচ্ছা।

সরকারী আইনঃ আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, অফিসের গাড়ীর লাইসেন্স সহ অন্যান্য কাগজ-পত্র রিনিউ করা বা নতুন কাগজ করাতে গাড়ী বা ড্রাইভার সংশ্লিষ্ট সরকারী অফিসে না নিয়েও শুধু টাকার বিনিময়ে গাড়ীর লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু হয়ে যাচ্ছে। এই জায়গাটা মূল একটা সমস্যার জায়গা। ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোরতা অবলম্বন করা দরকার। আর ফিটনেস টেস্ট এর ব্যবস্থা ঢালাওভাবে নতুন করে সাজাতে হবে। প্রতিটি গাড়ীর জন্য ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী লাইফ টাইম নির্ধারন করে সেই অনুযায়ী মেয়াদ শেষে ডাম্প করার ব্যবস্থা করতে হবে। কোন অবস্থাতেই যেন ফিটনেস বিহীন গাড়ী রাস্তায় না চলে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন গাড়ী না চালাতে পারে সেই ব্যবস্থা এবং এর কঠোর বাস্তবায়ন এর নিশ্চয়তা দিতে হবে। আমার একটি প্রস্তাবনা হচ্ছে ফিটনেস বিহীন গাড়ী রাস্তায় পেলে তা সরাসরি ডাম্প করতে পাঠাতে হবে আর ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালানোর জন্য পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তা কোন ধরনের আপিল অযোগ্য হতে হবে। তখন দেখবেন হেল্পার, কন্ডাক্টর কেউই ভয়েও ড্রাইভিং হুইল বা স্টিয়ারিং এ হাত দিবে না। কিন্তু যত নিয়মই করা হোক না কেন সবচেয়ে বড় কথা হল, আইনের শতভাগ বাস্তবায়ন।

ইনভেস্টমেন্ট সিকিউরিটিঃ বর্তমানের ফিটনেসবিহীন ভাঙাচোরা যে সকল গণপরিবহবণ রাস্তায় দেখা যায়, খোঁজ নিলে দেখা যাবে, এসব পরিবহণের মালিকেরা যে মূল্যে এগুলো কিনেছেন তা প্রকৃত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশী। এই বিনিয়োগকৃত অর্থ তুলে আনতে তাকে এই গাড়ী চালাতেই হবে। এরপর রয়েছে নানান চাঁদা প্রদান, স্ট্যান্ড খরচ সহ নানান অনুষঙ্গ খরচাবলী। ফলে শহরের পরিবহণ খাতে দরকার নতুন নতুন ইনভেস্টর এবং তাদের ইনভেস্টমেন্ট সিকিউরিটি। উন্নতমানের ভাল বাস, দক্ষ শ্রমিক এর নিশ্চয়তা করতে পারলে প্রতিটি বাসের পর্যাপ্ত ইন্সুরেন্স কাভারেজ (যাত্রীদের জীবন ঝুঁকি বীমাসহ) নিশ্চিত করেই পথে পরিবহণ নামবে।

যাত্রী আচরণঃ এবার নিজেদের কথা বলি। আমাদের যাত্রীদের হতে হবে স্থির, যৌক্তিক এবং সুশৃঙ্খল। নির্দিষ্ট বাস স্টপেজ হতে বাসে উঠবো এবং নামবো; এই বেসিক রুলস সবাইকে ফলো করতে হবেই। রাস্তার মাঝ হতে বাসে উঠা-নামা বন্ধ করতে হবে। রাস্তা পারাপারে সচেতন হওয়া আবশ্যক। চলন্ত গাড়ীর সামনে দিয়ে হাত উঁচু করে সিগন্যাল দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার প্রবণতা পরিহার করুন। ফুটওভার ব্রীজ যত দূরেই হোক, চেষ্টা করুন তা ব্যবহার করতে। জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করুন। তবে এই ব্যাপারে আমাদের ড্রাইভারদের প্রশিক্ষিত হওয়া জরুরী। শতকরা ৯৯ ভাগ ড্রাইভার জেব্রা ক্রসিং এ গাড়ী স্লো করার ব্যাপারটা জানে কি না আমি সন্দিহান। বর্তমানের বেশীরভাগ দুর্ঘটনায় যাত্রীর অসচেতনতা অনেকাংশেই দায়ী।

পরিবহণ শ্রমিক ট্রেইনিং ইন্সটিটিউটঃ এই পয়েন্টটা খুবই জরুরী। আমাদের দেশে আট-দশ বছর বয়সে হেল্পার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে পরিবহণ শ্রমিকের অধিকাংশ। এরপর “গাইতে গাইতে গায়েন” এর মত এরাই একদিন বাসের ড্রাইভারে পরিণত হয়। তাই দরকার পর্যাপ্ত সুবিধা এবং ট্রেইনিং মডিউলসহ একটি পূর্ণাঙ্গ পরিবহণ শ্রমিক ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট। সাথে এখান হতে পাস করে বের হওয়া জনবলের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দিতে হবে। আমাদের পরিবহণ ব্যবস্থায় সবচেয়ে কষ্টকর যে জিনিসটি আমায় পীড়া দেয়, তা হল পরিবহণ শ্রমিকদের ব্যবহার। পরিবহণ একটি সেবা এবং এই সেবায় যাত্রীরা হচ্ছে সেবা গ্রহীতা। এই সেবা প্রদানে কেমন হবে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, তা অতি অবশ্যই এখানে গুরুত্ব দিয়ে শেখানো হবে।

মনোপলি ব্রেকঃ পরিবহণ সেক্টর কুক্ষিগত হয়ে আছে পরিবহণ ইউনিয়ন আর শ্রমিক-মালিক সমিতিগুলোর কালো থাবায়। এখান হতে বের করে এদের মনোপলি ভাঙ্গতে হবে। এজন্য সরকারকে বাধ্য করতে হবে জনমত তৈরী করে, চাপ দিয়ে। আজ রাজপথে শিশুরা, কিন্তু কেন? এই চাপটা দিতেই। সবাইকে সত্যিকার সোচ্চার হতে হবে। সরকার’কে আইন করে এসব ইউনিয়ন, সমিতি বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। এইজন্য কি করণীয় তা ভাবতে হবে নীতি নির্ধারকদের। আগে ব্যাংকগুলোতে ইউনিয়নের খপ্পরে সবাই জিম্মি ছিল। কিন্তু প্রাইভেট ব্যাংক বেড়ে যাওয়ায় এখন ব্যাংক ইউনিয়নের সেই দৌড়াত্ম কিছু সরকারী ব্যাংকেই আটকে আছে। তাই যত বেশী কর্পোরেট হাউজগুলোকে পরিবহণ সেক্টরে ইনভেস্ট করতে উৎসাহী করা যাবে, তত বেশী এসব সংগঠনের দৌড়াত্ম থেকে মুক্ত করা যাবে দেশের পরিবহণ ব্যবস্থাকে। কথায় কথায় ধর্মঘট করা বন্ধ করতে হলে, হতে হবে কঠোর। যেসব মালিক বা প্রতিষ্ঠান এসব কাজে জড়িত হবে, তাদের লাইসেন্স বাতিল সহ যে কোন কঠোর ব্যবস্থা নিতে পিছপা হওয়া যাবে না।

সরকারী পরিবহণঃ মেট্রো রেলের কাজ চলছে, এতে বিকল্প পরিবহণ এর কিছুটা হলেও ব্যবস্থা হবে। বিআরটিসি’কে ঢেলে সাজাতে হবে। বাস ডিপোতে ফেলে না রেখে, নতুন নতুন আরও বাস সংযুক্ত করতে হবে পাইপ লাইনে। ঢাকা শহরকে ছোট ছোট রুটে ভাগ করে অধিক সংখ্যক বাস স্বল্প বিরতিতে নিয়মিত চালাতে হবে। দিতে হবে কোয়ালিট সার্ভিস। পাশের দেশ ভারতের রাজ্য সরকারগুলোর পরিবহণ সংস্থার বাসগুলোর দিকে তাকালে বুঝবেন খুব সহজেই এগুলো আপনারা করতে পারবেন, দরকার সদিচ্ছা।

রাজনৈতিকদের মনোভাব পরিবর্তনঃ আমাদের দেশের বেশীরভাগ সমস্যা সমাধান হয় না, রাজনৈতিক স্বদিচ্ছার অভাবে। নানান আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বেশীরভাগ পরিবর্তন আটকে যায়। তাই সবার আগে জরুরী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী'দের মনোভাব পরিবর্তন। ক্ষমতার দাপট দেখানো নয়, সেবার মানসিকতা থাকতে হবে। কোন শ্রমিক নেতা-মালিক'দের কাছে কয়েকটা ভোটের জন্য জিম্মি হয়ে থাকলে হবে না। আজকের রাজপথের টিনএজ ছেলেমেয়েদের দেখেন, এরাই পরবর্তী ভোটার। এই ভোট ব্যাংকের কথা ভেবে সেই তথাকথিত ভোট ব্যাংকের কথা না হয় ভুলে যান। ভাল কাজ করুন, জনগনের পক্ষে থাকুন, ইহজগত-পরজগত, দু'জায়গাতেই সম্মান পাবেন।

আশা করি একদিন এই প্রাণের শহর ঢাকা’র পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে আমরা গর্ব করব। আমাদের শিশু সন্তান্দের রাজপথে আন্দোলন করতে হবে না “নিরাপদ সড়ক চাই” এই স্লোগান নিয়ে, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:২০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

দুলে উঠে

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫৬

দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

মন খুশিতে দুলে দুলে ‍উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তরে নিয়ে এ ভাবনা

লিখেছেন মৌন পাঠক, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩০

তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না

সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন

তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

×