somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঝড়লিপি

২৫ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


নস্টালজিয়া বা আবেগ আমার লেখায় বেশি আসে দেখে অনেকে আমাকে বাস্তববাদী হতে বলেন। তাদের উদ্দেশ্য-ও মহৎ। আমি ভেবে দেখলাম; আমি বাস্তববাদী খুব বেশী দেখেই লেখায় অন্তত আবেগ এনে রাখি। একটা জায়গায় জমে থাকুক আমার একটা নরম অংশ। নাহলে তো কর্পোরেটের সূতোয় আঙুল বেঁধে পুতুলনাচ খেলে যেতে হবে দিনের পর দিন। কিন্তু সমাজ-সংস্কারের গলি-ঘুপচি পাড় হবার পর দেখলাম "আবেগ" শব্দটা আসলেই কতোটা নষ্ট লজিক দিয়ে ভরা!

সামুর ঝড়কন্যা-কে আমার খুব পছন্দ ছিল। ঝড়কন্যা অনেককিছুই পারে যেটা আমি পারি না। যেমন দেখুন- আমি মানুষের নির্লজ্জতা দেখলে তাকে থামাতে পারি না কারন সে বয়সে বা সম্মানে আমার চে' বেশ বড়। কিন্তু ঝড়কন্যা কিন্তু পারে ব্লগের নির্লজ্জ মানুষগুলোকে কড়া কথা শুনিয়ে দিতে! ও সামাজিকতার ধার ধারে না কোনদিক থেকে! মাঝে মাঝে আমার ভেতর থেকে ঝড়কন্যাটা বের হয়ে আসে, আমাকে শক্ত হতে শেখায়। ওর কথায় আমি ভেঙে গেলেও একটা সময়ের পর বেশ দাড়িয়ে যাই!

কিন্তু এখন ঝড়কন্যাকে-ও বেশ ফাঁপা লাগে। এটা ১০০% কনফেশন ধরনের লেখা। এখানে সাহিত্য-কাব্য-দর্শন কিচ্ছু নেই। তবে রাগ-অপারগতা-অপমান আছে। যাহোক, কথা বলি কিছুক্ষণ নিজের সাথে...

আমি ছোট থেকে আশে-পাশে দেখে এসেছি কিছু ঘটনার পর আমার কিছু বোন বা ভিকারুননিসার-ই কোন মেয়ে মুখ শক্ত করে বসে থাকে। এসময়টায় ওদের কিছু বললে শূন্যতা নিয়ে তাকিয়ে থাকে। প্রোগ্রাম করা রোবট প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ভুলে গেলে যেমন নিঃসার হয়ে যায়, ওরা ঠিক তেমন হয়ে যায়। আশে-পাশের কিছু স্পর্শ করে না ওদের। কেউ কেউ চুপচাপ বসে থাকে, কেউ মৃগী রোগির মতো কাঁপে কেউ বা নিঃশব্দে কেঁদে যায়। ওদের মা-খালারাও তর্জনি জড়ো করেন মুখে... "শশশ! যা হয়েছে হয়েছে। সমাজে চলতে হবে না ?! এসব জনে জনে বলে বেড়াবে না! কান্ড তো ঘটিয়েছো, এখন তা প্রচার করে বেড়াতে হবে না।" মেয়েগুলো গুটিপোকার কুন্ডলীতে গুটিয়ে যায়, নিজেদের চরম অচ্ছুৎ মনে হতে থাকে। এই চকচকে নষ্ট সমাজে নিজেকে ঝকঝকে না রাখতে পারার দায়ভারে বেঁকে যায় ওদের এককালীন শক্ত মেরুদন্ড।

ভিকারুননিসার এক মেয়েকে নিয়ে একবার মিটিং বসে গেল। মেয়েটা সুইসাইড এ্যটেন্পট নিয়েছে প্রায় পাঁচ থেকে ছ'বার। ওকে কিছু প্রশ্ন করলে এতোটা সরল-নিষ্পাপ দৃষ্টি দিতো যে কেউ বুঝে উঠতো না কিছু। মেয়েটা কথা বলতো না কারো সাথে। অংকে খুব ভাল ছিল। ঘটনার পর সে ক্লাসেই আসতো না। মাঠের সবচে' বড় জারুল গাছটার নিচে ঐ অদ্ভুত দৃষ্টিটা নিয়ে বসে থাকতো ও। মাঝে মাঝে কাঁদতো-ও। কেউ বুঝতও না, বসে বসে নিজের মনে কাঁদতো ও। আমি ওর সাথে খুব ঘুরতাম। টিফিনে আর অফে গিয়ে ওর সাথে বসে থাকতাম। কোন কথা হতো না আমাদের। কিন্তু ওকে সঙ্গ দিতে ইচ্ছা করতো। কারন ও আর বাকি ১০ টা ফালতু মেয়ের মতো ঘুমের ওষুধ খেয়ে পড়ে থাকা ধরনের ছিল না। স্কুল প্রোফাইল-ও খুব ভাল ছিল ওর। আমরা একসাথে ম্যাথ করতাম সেই ক্লাস ফোর থেকে। অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর কথা হলো আমাদের। ও সেই অদ্ভুত দৃষ্টি নিয়েই বললো, "জানো মেয়েদেরকে অপমান করা কোন ব্যপার-ই না। মেয়েদের মান-অপমান সব শরীরে লেগে থাকে আলাদা একটা কাপড়ের মতো। ওটা খসে গেলেই সব শেষ!" ও স্কুল বাসায় ফেরার পথে ৪-৫ টা ছেলে ওকে রিক্সা থামিয়ে ওর সাথে অনুচিত কিছু করতে চাইলে ও ওদের একজনের হাতে কামড় দিয়ে দৌড় দেয়। সেদিনের পর থেকে ওর মনে হয় ও নোংরা হয়ে গেছে। কিছুতেই ওদের আচড়গুলো মুছতে পারে না ও। "আমার ছোটবোনের জন্য গাড়িটা ছেড়ে নির্ভরশীল হতে গিয়েছিলাম। বিশ্বাস করো মেয়েদের নিজের দায়িত্বটা নিজের নেয়ার ক্ষমতাও নেই। কি হবে এতো পড়াশোনা করে বলো ? আমি বিশাল বড় ম্যাথমেটিশিয়ান হবো আর পাড়ার অশিক্ষিত কুকুরগুলা কামড়ে আমাকে বিষাক্ত করে যাবে! এটা জীবন ?!" আমি ওকে বোঝাই - "সেজন্যে তুমি এটা মেনে নিবা ? ঐ ৩-৪ টা অশিক্ষিত কুকুরের জন্য তোমার মতো একটা মেয়ে সুইসাইড করে মরে যাবে ? কোন রিভেন্জ নিবা না !? তুমি কিভাবে এসব বলো ? এমন তো ছিলা না তুমি!" ও বিদ্রুপ করে হাসতে হাসতে বলে, "বুঝবা যখন তোমার সাথে এমন কিছু হবে। আমি কক্ষনো চাই না হোক। কিন্তু কিছু পরিস্থিতিতে নিজে না পরলে কখনো সেই অবস্থানের কারো অনুভূতি বোঝা যায় না। একটা কথা আমি নিজেকে দিয়ে শিখেছি যেটা আমি আগে বুঝিনি। সেটা হচ্ছে - আমি একটা মেয়ে। আমি জন্মেছি শুধুমাত্র সম্মান সামলে-সুমলে চলে, সমাজের সবাইকে খুশি করে নিজেকে একটু একটু করে বিক্রি করে দেয়ার জন্য। আমার নিজের কোন ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষা বা পড়াশোনার কোন দাম কেউ কখনো দেবে না। এটা তুমি-ও মনে রেখো।"

ওর মতো একটা জলজ্যান্ত অসাধারণ মেয়েকে ওমন টিপিক্যালি বদলে যেতে দেখে কষ্ট পেয়েছিলাম খুব। ওর কথাগুলোকে-ও এতোটুকু মূল্য দেই নি। ধুয়ে-মুছে ফেলেছিলাম সেদিন-ই বোধহয়।

১লা ফাল্গুন, ১৪১৬
১৩-ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০

বইমেলা-চারুকলা-আই,বি,এ ঘুরে বাসায় ফিরছিলাম। মাগরিবের আজানের আগে আগেই রওনা দিয়েছি বাসামুখো কারন সন্ধ্যা করে বাসায় ফেরার বিষয়ে কড়া নিষেধাজ্ঞা আছে মা'র তরফ থেকে। তাড়াহুড়ো করে কোনমতে রিক্সায় চড়ে বসলাম। হঠাৎ কোন কারন ছাড়াই সেগুন বাগিচার পাশের একটা গলিতে রিক্সাওয়ালা ঢুকে গেল। সেদিন কেন যেন গলিটার সামনের মোড়ে একটা RAB বক্সের নাম্বারটা এক ঝলক চোখে পড়ে গিয়েছিল। কখনোই পড়ে না তেমন। রিক্সাওয়ালাকে বলছি সে কেন এই গলিতে আসলো... সে কোন কথায় কান না দিয়ে প্যডেলে ঝড় তুলে ফেললো। পেছন ফিরে দেখি দু'টা মোটরসাইকেল। চারজন ছেলে। একটা অদ্ভুত ঠান্ডা ভয় টের পেলাম আমি। কিভাবে মোবাইলে এক ঝলক দেখা নাম্বারটা ডায়াল করেছি জানি না। RAB-এর অফিসারকে লোকেশন বলতে বলতে রিক্সা থামালো একজন। গলির প্রায় শেষমাথায়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কি ব্যপার? একজন একজন করে মোটরসাইকেল থেকে নেমে ওরা আমার সামনের জায়গাটায় দাড়িয়ে গেল। সেসময়টায় মনে হচ্ছিল ওরা আমাকে নোংরা চোখগুলো দিয়ে এক্স-রে করে ফেলছে। ঐ কয়েকটা মুহুর্ত আমি জমে গিয়েছিলাম একটা অচেনা থরথরানো ভয়ে। এতোটা একা-অসহায় বোধহয় জীবনে কখনোই অনুভব করি নি। আমি একটা ছেলের দিকে খুব তীব্র ভাবে তাকিয়ে দেখলাম ওর চোখে কেমন যেন চকচকে একটা আনন্দ জ্বলজ্বল করছে। কুকুরের সামনে খাবার দিলে বোধহয় ওদের চোখ এমন হয়। ওরা কোন একটা কারনে ঐ সময়টুকু নিল। একজন হঠাৎ আমার পা খামচে ধরতেই আমি ঝটকা দিয়ে ছাড়িয়ে দিলাম। বাকিদু'টা ছেলে হাত ধরতে না ধরতেই RAB-এর জিপটার আলো গলি ভাসিয়ে ফেললো। ওরা পালাতে পারলো না কারন গলিটা অন্ধ ছিল। ৩ জনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তখন আমি পাশের ভাঙা-চোড়া কনস্ট্রাকশনটার নিচের একটা ইট হাতে নিয়ে ঐ ৩টার একটাকে মারতে চেয়েছিলাম। কিন্তু RAB অফিসাররা আমাকে থামিয়ে দিল। অনেক ইন্টেরোগেশনের পর ঐ ৩টাকে ওরা নিয়ে গেল অফিসে আর আমি RAB-এর জিপে করে বাসায় আসছি তখন এক অফিসার বললো, "দেখেন আপনার ভাগ্য ভাল যে তেমন কিছুই করে নাই ওরা আপনার সাথে!" আমি হঠাৎ খুব থতমত খেয়ে গেলাম!

তখন ঝড়কন্যা কোথায় ছিল ??

সেদিন বাসায় আসার পর থেকে পায়ের আঁচড়গুলো দেখি আর আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে। আমি কতোবার যে শাওয়ার নিলাম সেদিন... কিন্ত হাত-পায়ের ছোয়াঁচগুলো ধুতে পারলাম না। আমার ভেতরে একটা অস্বাভাবিক ভয় ঢুকে গিয়েছিল। মা-বাবা কেও কিছু বলতে পারি নি। ভয়ংকর একটা ভীতি নাকি দুমরে ওঠা কষ্ট বা অপারগতা আমাকে দাড়াতে দেয় নি। আমি ওদের চোখগুলো তুলে নিতে পারি নি, ওদের হাতগুলো ভেঙে দিতে পারি নি! নিজেকে কেমন জঘন্য অপমানিত লাগছিল। আমিও সেই কষ্টে-পাওয়া মেয়েগুলোর মতো একটা গুটি বানিয়ে সেখানে সমাহিত হয়েছিলাম। সেদিন ঝড়কন্যাও আমাকে দাড় করিয়ে দিতে পারে নি। ও নিজেও আমার সাথে মাথা নুইয়ে পিঠমুখো করে দিয়েছিল।

আমার মা-বাবা কখনো আমাকে শেখায় নি যে সমাজের জন্য নিজে অপমান নাও। বরং ক্লাস এইটে ওঠার পর আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, "তুমি একটা বন্য গোলাপ হবে, বাগানের গোলাপ না। বনের গোলাপ যেমন সুন্দর হয় আর সারভাইভাল শিখে নেয়। যেকোনখানে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে নেয় তেমন। বাগানের যত্নে-আহ্লাদে গড়া গোলাপ না যেটায় আগাছা ধরলেই সেটা ঝড়ে পড়ে।" আমি বাবার থেকে কাপুরুষদের সাথে লড়ার শিক্ষা পেয়েছিলাম। বাবা বলেছিল যেসব ছেলে মেয়েদের বিরক্ত করে বেড়ায় তারা কাপুরুষ। তাদের সামনসামনি চ্যালেঞ্জ করলেই তারা লেজ গুটিয়ে পালায়। আসলেই আমি দেখেছি সেটাই সত্যি। বাবার জন্যই আমি নিজে নিশ্চিত থাকলে যেকোন বিষয়ে জোড়গলায় মতামত দিতে পারি। বাবার জন্যই ঝড়কন্যার জন্ম হয়েছিল অনেক ছোট্টবেলা থেকে। সেজন্যই হয়তো আজকে এখানে কনফেশন দিতে পারলাম। নাহলে সমাজের জুজুবুড়িদের তর্জনীর ভয়ে নিজের ভেতরের আঁচড়গুলো লুকিয়ে তলাহীন সম্মান বাঁচাতে আশ্রয় খুঁজে বেড়াতাম।

সেই সো-কলড্ ঝড়কন্যা-ই কুকুরের আঁচড় খেয়ে বাড়িতে এসে ভেঙে টুকরোটুকরো হয়ে পড়ে। সারভাইভালের জন্য তার নির্ভর করতে হয় অন্য কোন শক্তিশালী বর্মের ওপর। যত বড় কথাই যতোজনে বলে বেড়াক আজকে আমি জানি যে অপারগ হওয়াটা কতোটা কষ্টের। আমি অল্পের ওপর দিয়ে বেঁচেছি যারা বলেন তাদের বলি যে "অপমানের কোন মাপকাঠি নেই"। আমার জন্য এটাই অনেক বিশাল একটা ধাক্কা। আবার সেই ভিকারুননিসার মেয়েটার জন্য ওটাই ছিল বিশাল একটা অপমান।

কেন এই ট্যাবু-বলয়ের মধ্য মেয়েগুলা নিজেদের এভাবে বলি দেবে ? কেন ওদের-ই শুধু মান বাঁচিয়ে চলতে হবে ? কেন অন্যের নোংরামীর ভার নিজের কাঁধে নিতে হবে ? কেন-ই বা অপ-সান্তনা পেতে হবে ? ওরা কি ঐ কুকুরগুলো থেকে অনেক অনেক কোয়ালিফায়েড না ? ওদের বেপড়োয়া ছোঁয়ার অধিকার কেন থাকবে রাস্তার নেড়িদের ? আমাদের সমাজে তো ট্যাবু ভাল অর্থেও ব্যবহার হচ্ছে। আমরা শিক্ষকের সম্মানে উঠে দাড়াই, বড়দের সামনে হাসি-ঠাট্টা বা জোড়ে কথা বলি না, আমরা বাবা-চাচাদের দেখলে সিগরেট লুকিয়ে ফেলি, বাবা-মা-র সাথে অন্য কারো তুলনাও করতে পারি না। অথচ আমরা মেয়েদের বলি, "ভাগ্যিস অল্পের জন্য বাঁচলি! এরপর থেকে এমন কিছু করিস না যাতে মানুষ তোর দিকে তাকায়। কি দরকার এতো উৎসবে যাওয়ার ? মেয়েদের সীমা অতিক্রম করার কি আছে?" আমরা সমাজের জঘন্য চরিত্রগুলোর জন্য একটা মেয়েকেই দূষিত করে দেই। মেয়েটার অপমান দ্বিগুণ-ত্রিগুণ করে দিয়ে সন্তুষ্টির হাসি দেই। সীমার পর সীমা বেঁধে মেয়েটার জীবনের গন্ডী ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর করে দেই।

কেউ কখনো চিন্তা করতে পারবে না ঐ সময়টা যদিমাত্র সে নিজে সেই অবস্থানে না থাকে। আজকে আমিও আমার জীবন দিয়ে বুঝেছি সেই মেয়েটার কথাগুলো। আমি জানি মেয়েগুলো কেন সুইসাইড করে। কেন নিঃসার হয়ে যায়। আমি হাজার চিন্তা করেও কোন সমাধান পাই নি এর। সেদিন থেকে ঝড়কন্যাও আমার কাছে টিপিক্যাল অবলা হয়ে গেছে। আর নিজে হয়ে গিয়েছি প্রতিবন্ধি। এখনো আমার ঐ সন্ধ্যার কথা চিন্তা করলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে।

আমি আমার অপারগতা বা ঐ কষ্টটাকে ঘৃণা করি। আমি আমার মতো সো-কলড্ ঝড়কন্যা ঘৃণা করি যে একটানে পুরুষতম -এর মতো লেখা লিখে ফেলতে পারে আবার নিজের পায়ে আঁচড় নিয়ে মাথা ঝুকিয়ে ঘরে ফেরে। আমি সমাজের কালো ট্যাবুগুলোকে ঘৃণা করি যেগুলো আমার হাতে-পায়ে বেড়ির পর বেড়ি বেঁধে দেয়।

লেখাটা প্রচন্ড কষ্ট বা ক্ষোভ থেকে লিখলাম। আপনারা কেউ কি সত্যি এর থেকে বের হবার কোন সমাধান দিতে পারেন ??








































________________________________________________


ছবিসূত্র : আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে অসাধারণ একজন ফটোগ্রাফারের ফ্লিকার স্ট্রিম থেকে


________________________________________________


সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:১০
৩৫টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×