অনুভূতি জিনিসটা সত্যিই বড় অদ্ভুত। কোথায় কার উপর বা কিভাবে তা হয়ে ওঠে তা বোঝাটাও বড় দুষ্কর। না জানা, না চেনা কারো জন্য যেমন এত সহজে কোন অনুভূতি কাজ করে না, আবার উল্টাটাও ঘটে অতীব পরিচিত ছেলে বা মেয়েটার ক্ষেত্রেও...
ছেলেটা পালাবার সময় পরিবার পরিজনের তৈরী সাংসারিক চাপ, ক্যারিয়ার নিয়ে অলিখিত অজুহাত তোলে যার উদ্দেশ্য থাকে "তোমাকে আর আমার প্রয়োজন নেই" বা "তুমি আমার জীবন থেকে চলে গেলেই বেশি খুশি হব আমি..."
আর মেয়েটা স্পষ্ট ভাষায় অজুহাত দেখায়, "তোমার সাথে আমার ঠিক ম্যাচ হচ্ছে না, কোথায় যেন একটা গোলমাল বাধছে" অথবা "পরিবার থেকে বিয়ের কথাবার্তা বলছে" অথবা "তুমি তো বেকার, তোমার কথা বাসায় বলি কোন মুখে" অথবা "তুমি তো অনেক দূরে থাকো, আমার এখানে একটা সাপোর্ট দরকার?" অথবা "তোমার থেকে ভালো কাউকে আমি আশা করতেই পারি..."
অনুভূতিগুলো কি এই রকম? চাইলেও তৈরি করা যায় বা চাইলেই ছুড়ে ফেলা যায়? এই প্রতিটা কথা, প্রতিটা বাক্য, প্রতিটা শব্দ যে শ্রোতার কাছে এক একটা শেল মনে হয় তা কি ঐ বক্তা বুঝতে পারে না।
মনে পড়ে না, অনেক ব্যস্ততা মাঝ থেকে দুই মিনিটের ফুসরত পেলেই সবার আগে পকেট থেকে ফোনটা বের করে কাকে ফোন দেয়া হয়? ফেবুতে নোটিফিকেশানের ঘর বোঝাই থাকলেও নজরটা আগে আগে মেসেজ বক্সের দিকে কেন পড়ে? মোবাইলে অপারেটর এর হাজারটা মেসেজ এলেও সবসময় কেন চেক করা হয় "সেন্ডার টা কে দেখি, ভুলেও যদি “সে” হয়ে যায়!!"
হাজারটা রাগ, লক্ষ লক্ষ অভিমানের তো একটাই উদ্দেশ্য থাকে। অভিমান বা রাগ টা যেন “ও” খুব সহজেই বুঝতে পারে, ভাঙ্গিয়ে দিতে পারে সহজেই, তা লুকানোর যত চেষ্টায় করা হোক না কেন। এতো রাগ অভিমানের ভীড়েও যেন ভালোবাসাটা বেঁচে থাকে, অনুভূতিটা মিইয়ে না যায়। পরিবার পরিজনের ভীড়ে সে যেন হারিয়ে না যায়।
এত আশা আকাঙ্ক্ষা, দুঃসহ স্মৃতি বেদনা, ক্যারিয়ার যাই হোক না কেন, দিনের শেষে বালিশে মাথা দিয়ে তোমাকে যেন ভাবতে না হয়, তুমি তো একা হয়ে গেছো, মনে রাখা জরুরি “He/She Is Your Better Half” ঠোটের কোণে হাসি বা চোখের ভাষা কিন্তু সে ছাড়া কেউ বুঝবে না, তা সে যতদূরেই থাক...
কারণ দূরত্ব টা তো শুধু একটা ফোন লাইনের এপার ওপার.........