নিষিদ্ধপল্লী নামক কথাটার সাথে কম বেশি সবাই পরিচিত...।এটা এমন একটা যায়গা যে জায়গাটাকে সাধারণভাবে কম বেশি সবাই বাকা চোখে দেখে, ঘৃণা করে...।নিসিদ্ধপল্লিতে কাজ করে যারা জীবিকা নির্বাহ করে তাদের আমাদের সমাজে কেউ ভালো চোখে দেখে না...।কিভাবে দেখবে সে যে নিষিদ্ধ মানুষ...।সে সমাজের জন্য কলুষিত অভিশাপ...।আমাদের দেশে নিষিদ্ধপল্লীর অভাব নেই...।আনুমানিক ভাবে গুনে শেষ করা যাবে না...।যদিও এর প্রায় বেশিরভাগ ই অবৈধ...।সরকারি ভাবে অনুমদিত রয়েছে হাতেগনা কয়েকটি...। আর শুধুমাত্র যে কয়টি সরকার অনুমদিত সে কয়টাকেই নিসিদ্ধপল্লি নামে নামকরণ করা হয়...।আর অবৈধ ভাবে যেসব গরে উঠেছে ঐগুলা নিসিদ্ধপল্লি না...। ঐগুলা হল আধুনিক সমাজের অংশ...।আমাদের কর্পোরেট শ্রেণীর লোকেরা ঐসব সিদ্ধ পল্লীতে যায়...।কেনই বা যাবেনা?? ঐটা তো আর নিষিদ্ধপল্লী না...।নিষিদ্ধপল্লী তো ঐটা যেটায় সরকারের বড় করে একটা সীলমোহর অঙ্কিত রয়েছে...।মা বাবারা সতর্ক দৃষ্টি রাখে ছেলেমেয়েদের নিয়ে...।তারা ছেলেমেয়েদের এই ব্যপারে শিক্ষা দিতেও বিব্রত বোধ করে...।কিন্তু তারা কি একবার ও জানতে পারে তাদের পড়ালেখা জানা আধুনিক ছেলেমেয়ে ঐসব নিষিদ্ধপল্লীতে যায়না ঠিক ই কিন্তু তারা আধুনিক সমাজের হোটেলে হোটেলে গড়ে ওঠা আধুনিক সিদ্ধ পল্লীতে ঠিক ই আমোদ ফুর্তি করতে যায়...।তাই বলে যে সব ছেলেমেয়েরাই যায় এটা বললে ভুল হবে...।সমাজের ঐসব ছেলেমেয়েরাই যায় যারা আধুনিকতার ক্ষেত্রে এভারেস্ট এর চুড়ায় অনেক আগেই গমন করে ফেলেছে...।বিজয় মন্ত্রে উদ্দীপ্ত হয়েই তারা তাদের বিজয় উদযাপন করে...।এটা কোন অপরাধ না কারন তারা তো আর নিষিদ্ধপল্লীতে গিয়ে তাদের চরিত্রের অবনমন ঘটাচ্ছে না ...।আজ যদি তারা সরকারের ঐ নিষিদ্ধ পল্লীতে যেতো তাহলে তারা খারাপ হয়ে জেত...।তাদের চরিত্র বলে কিছু থাকতো না...।আর আজ যখন অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা সিদ্ধ পল্লীতে যায় তখন তাদের চরিত্রের কোন অবনমন এই সমাজের চোখে ঘটে না...।আর সরকারের ১ টা সার্টিফিকেট এর জন্যই একই পেশায় নিয়জিত থাকার পরেও একজন সমাজের চোখে কলুষিত আর একজন উন্নত মানের আধুনিক মানুষ...।সারা দেশে নিষিদ্ধ পল্লীর সংখ্যা হাতেগনা কয়েকটি মাত্র কিন্তু শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই সিদ্ধ পল্লীর সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না...।এমন কি নিষিদ্ধ পল্লীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভিতর থেকে কেউ বিরক্ত করে না বা একবারের জন্য ও কেউ হাত ধরে টানাটানি করে বলে না মামা সুন্দর মাল আছে লাগাইবেন নাকি ?????????......কিন্তু আজকাল কোন হোটেলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ই আধুনিক সমাজের ঐসব সিদ্ধ পল্লীর এজেন্ট রা হাত ধরে টানাটানি করতে করতে বলতে থাকে মামা লাগব নাকি?? সুন্দর মাল আছে...। লাগায়া মজা পাবেন...। এমন অনেক কথা...।আর একবার এইরকম পরিস্থিতিতে পরার পরেই প্রত্যেকটা মানুষ মনে মনে বলে উঠে আগে যদি জানতাম এটা আধুনিক সমাজের সেই সিদ্ধ পল্লী তো নিজের মনের ভুলেও হয়ত এই পথে আমার পা পড়ত না...।
সবাই জানলে নিষিদ্ধপল্লী না জানলে সিদ্ধ পল্লী......!!!!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?
সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়
অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঘুষের ধর্ম নাই
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।
হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।
পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??
সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন