somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুইরা আইলাম মাধবপুর লেক থাইকা

২৪ শে মে, ২০০৭ সকাল ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের জীবনে বিনোদন ছাড়া কিছুতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করতে পারেনা। সারাদিন কাজের শেষে অথবা একটা সময় নিয়ে একটু ঘুরাফেরা কিংবা ভ্রমন করলে শরীর ও মন দুটোই ভাল লাগে। তাই হয়তো ভাবতে পারেন যাবেন কোথায়? ভাবনার কিছুই নেই। চোট্ট বাংলাদেশে রয়েছে অনেক বিনোদনের স্থান। আনন্দ ভ্রমন কিংবা পিকনিক করতে বন্ধুরা মিলে চলে আসুন মাধবপুর লেকে। দিনের প্রথম দিকে অথবা আসতে পারেন পড়ন্ত বিকেলে। গাড়ি থেকে নামতেই সবুজ পাতার গন্ধ মনকে চাঙ্গা করে তুলব। চারদিকে সবুজ পাহাড়। পাশাপাশি উঁচু উঁচু টিলা। সমতল চা বাগানে গাছের সারি। হয়তো এরই মাঝে একঝাঁক পাখি অথিতিদের আমন্ত্রন জানাবে তার সুরের মুর্চ্ছনা দিয়ে। পাহাড়ী পাখীর গান আর নৃত্য ছাড়াও দেখতে পাবেন নানান প্রজাতির বন্যপ্রাণী। হয়তো যাদের দেখতে চিড়িয়া ঘুড়েও সম্ভব হয়নি। তখন মনে হবে সত্যি একটি নতুন আমেজের স্বাদ দারুন। মাধবপুর লেক যেন প্রকৃতির নিজ হাতে অঙ্কিত মায়াবী নৈসর্গিক দৃশ্য। সুনীল আকাশ আর গাঢ় সবুজ পাহাড়, শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত চা বাগানের এই মনোরম দৃশ্য আকর্ষন করে নিয়ে যাবে ভিন্ন জগতে। বন্যপ্রানীদের মধ্যে বানর ও হনুমানের লাফালাফিতে চিত্ত বিমোহিত হয়ে শিশু কিশোরের মতই আনন্দ পাওয়া যাবে। চারদিকে সুউচ্চ পাহাড়ের মাঝখানে অবস্থিত লেকটি সত্যি অপুব। আস্তে আস্তে সামনের দিকে যতই এগুতে থাকবেন তত ভালোই লাগবে। একাকি ভাবনার কিছু নেই। প্রতিদিনই পর্যটকরা আসছেন মাধবপুর লেকে। শত শত বিনোদন প্রিয় পর্যটকদের পদভারে পুরো বছরই মুখরিত থাকে লেক। আপনার পছন্দের একটি জায়গায় গিয়ে বসলে মনে হবে এত সুন্দর একটা জায়গা অথচ এখানের কোন উল্লেখ যোগ্য উন্নয়ন নেই। যেখানে প্রতিদিন এখানে শ’শ লোক পরিদর্শন করছে। কিন্তু সরকার বা কোন বেসরকারী প্রতিষ্টান এ পর্যটনের জায়গাটির দিকে দৃষ্টি দিচ্ছেনা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেøর লীলা ভুমি খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর লেকটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠতে পারে। সরকারী পৃষ্টপোষকা পেলে লেকটিতে যেমন দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে তেমনি সরকারও পাবে বিপুল পরিমান পর্যটন আয়। সারাদিন শহরে গাড়ির বিকট শব্ধ কালো ধোয়া আর মানুষের চিৎকারে ভালো লাগে না। এরকম পরিবেশে এসে একটু বিশ্রাম নিতে কার না মনে চায়।
সৌন্দর্যেø ভরপুর নয়নাভিরাম দৃশ্যের অধিকারী মৌলভীবাজারের এই ‘মাধবপুর লেক’। এখানে পর্যটকদের আকর্ষনের কথা বললেও আজ পর্যন্ত গড়ে উঠেনি পর্যটন বিকাশের কোন সুবিধা। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, মাধবপুর লেককে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য ২০০৫ সালের
১০ অক্টোবর পর্যটন প্রকল্প হিসাবে হাতে নেয়া হয়েছিল। এদিনই কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লেকের পাশে পর্যটন বিকাশ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের বছর পেরিয়ে গেলেও মাধবপুর লেককে দৃষ্টিনন্দন করে তোলার জন্য এখনও কোন কাজ শুরু হয়নি। মূলত ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের মধ্যেই লেকটির কর্মতৎপরতা থেমে আছে।
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নে পাত্রখলা চা বাগানে লেকটির অবস্থান। এটি মৌলভীবাজার থেকে ৪০ কিঃমিঃ দক্ষিনে ও শ্রীমঙ্গল থেকে ১০ কিঃমিঃ পুর্বে অবস্থিত। খানাখন্দে ভরা চা বাগানের রাস্তা দিয়ে এ লেকে যেতে হয়। ন্যাশনাল চা কোম্পানীর মালিকানাধীন পাত্রখলা চা বাগানের ভিতরে অবস্থিত বানিজ্যিক ভাবে এ লেকটিকে গড়ে তোলা হলে একদিকে পর্যটকরা যেমন তৃপ্তি পাবেন অন্যদিকে সরকারও পাবে বিপুল পরিমান রাজস্ব। মাধবপুর লেকের ঝলমল পানি, ছায়াসুনিবিড় পরিবেশ, শাপলা শালুকের উপস্থিতি মনোমগ্ধকর করে তুলে। কক্স বাজার সমুদ্র সৈকত, আর সেন্ট মার্টিন এর মত এটিও হতে পারে একটি আকর্ষনীয় স্থান। যেখানে প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটনের জন্য আসবে হাজারো মানুষ। শ্রীমঙ্গলে প্রতিমাসে অন্তত শ’ বিদেশীদের আগমন ঘটে। তারা প্রতিবারই এক বার মাধবপুর লেকে আসেন। সেখানে চা বাগান আর সুবজের হাতছানি দেখার জন্য ছুটে আসে অগণিত দর্শনার্থী। মাধবকুন্ড জল প্রপাতের মত মাধবপুর লেকটিকে গড়ে তোলা হলে এটি একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে স্থান পাবে। এবং পর্যটকদের কাছে চিত্তবিনোদনের একটি সমাদৃত স্থান হবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করেন।
১৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×