somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছু করার থাকে না যখন..

০৫ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি যেই ফ্যাক্টরিতে কাজ করি, সেখানকার এক ছেলের কথাই বলতে যাচ্ছি।

আমার ডিপার্টমেন্টের হেল্পার হিসেবে কাজ করে সে। বেতন হবে আট হাজারের মত। খুব ভালো, খুব কথা শুনে। কোন কাজই তাকে বললে হয়নি এমন কখনও হয়নি।সবার পছন্দের ছেলেটি। এক মাসের মত হল জানলাম তার বাবার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। সভাবতই সবার সহানুভুতি তার উপর এরপর থেকে। আমিতো তাকে আলাদা পেলেই তার ঘরের সম্পূর্ণ খবর নি। তার এক বড় ভাই আছে যে দেশের বাইরে কাজ করে। তার বাবা গ্রামের বাড়িতে একটা ছোট দোকান চালায়। সে হেল্পার হিসেবে আমদের ফ্যাক্টরিতে চাকরি পাওয়ার পরে তাদের ঘরের অবস্থা অনেকটা পালটে যায়। ঘরের তিন উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। স্বাভাবিক সুখের বাতাস বয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ দমকা হাওয়া ক্যান্সার ঢুঁকে পড়লো সেই ঘরে।

জিজ্ঞাস করি তাকে চিকিৎসা খরচের ব্যপারে। তার ঘরে কিছু সঞ্চয় বলে ১ লাখের মত টাকা সম্পূর্ণই দুই বৃহত্তর বিভাগে চিকিৎসা করতে চলে যায়। বাবার আয় বন্ধ। তার নিজের বেতনের কিছু টাকা আর ভাইয়ের পাঠানো টাকা এখন ভরসা। তার ভাই বাইরে থেকে বিশ হাজারের মত মাসে পাঠাতে পারে। ডাক্তার বলেছে এখন শুধু কেমথেরাপি ভরসা। এক কেমথেরাপি খরচ শুনলাম পঁচিশ হাজার। জানিনা সে ছেলেটি কিভাবে কি করছে। আমি কিছু টাকা তাকে সাহায্য করার জন্য আমার পরিচিত বন্ধু আর কাছের মানুষদের থেকে সংগ্রহ করতে শুরু করলাম। কিন্তু গতকাল কর্মস্থলে গিয়ে শুনলাম তার বাবা নেই। আমই কিছু সময়ের জন্য স্থির হয়ে গিয়েছিলাম, বাবা শুন্য হওয়াটা ... আমার একটা ব্যপার তখন মনে ভেসে আসলো, একবার ছেলেটিসহ আরও কিছু আমার ওয়ার্কার নিয়ে কাজ করতেছিলাম হঠাৎ তার বাসা থেকে খারাপ একটা সংবাদ আসে, তার বাবা ক্যান্সার হওয়ার পড়েই তাকে দেখলাম কান্না করে দিতে কথা বলতে পারছিলো না ফোনে। আমি তার কান্না থামাতে পারতেছিলাম না। সেদিন আমি তখনি তাকে ছুটি দিয়ে দিলাম। এখন ভাবি সেই ছেলেটা তার বাবার ছুটিতে কি একইভাবে কান্না করছে ?

অসহায় মুহূর্ত যখন কিছু করার থাকেনা আর...
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×