somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্লগার হোসেইনের উত্থান পতন ( একটি ব্লগীয় স্মৃতিকথা -২ )

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই সব মাঝে মাঝেই হয় , একটা লিখতে গিয়া অন্যটা লিখে ফেলি , এক জায়গায় যাইব বইলা রিক্সায় উঠি , তারপর অন্যখানে যাইতে ইচ্ছা হয় । এই স্মৃতিকাহিনীর প্রথম পর্বটা এমনই হইলো , ব্লগার হোসেইনের গল্প বলতে গিয়া অন্য হোসেইনের কাছে বারবার চইলা গেছি ।
আসুন তবে , অন্য হোসেইনরে বাদ দিয়া আবার ব্লগার হোসেইনের কাছে ফিরত যাই ।

চাকরি বিস্তারিত বর্ণনা এই খানে না দেয়াটাই তাহলে উত্তম । প্রথম কয়েকমাস আমাকে প্রচন্ড খাটুনি দিতে হয়েছে , সেলস টিমের একটি প্যারালাল নতুন টিম করা হইছিলো , আমি সেই টিমকে লিড দেই , মূল বিষয় হইলো আমাদের চেয়ারম্যান চাইছিলেন যে উনার প্রডাক্ট বিক্রীতে একটা ডায়নামিক চেঞ্জ নিয়ে আসতে । যেহেতু এই স্মৃতিকথায় বারবার এই জিনিষগুলো আসবে , আমি তাই সেই প্রডাক্ট এবং সেই কোম্পানির নাম এখানে উল্লেখ করতে চাই না। আমি আমার চেয়ারম্যানের ডায়নামিক বিষয়গুলোকে খুব মূল্য দেই , যতোদূর জানি উনি কলেজে কিছুদিন পড়ছেন , কিন্তু এইচ.এস.সি পাশ করতে পারেন নি ( অথবা পরীক্ষা দেন নাই ) কিন্তু আজ এ কথা বলতে বাধা নেই যে , আমি উনার কাছ থেকে এমন বহু জিনিষ শিখেছি যেগুলো দেশে বিদেশে অন্যান্য চাকরি এবং ক্যাম্পাসে আমি শিখতে পারি নাই ।

সেই সময় আমি যে পরিবর্তনগুলো করতে বাধ্য হই , তার মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটা ছিল সারাদেশে ডিলারদের পরিবর্তন করা । আমি ৭০ জন ডিলারের মাঝে ৫৬ জন বদলাইয়া ফেলাইছিলাম , এবং এটা ছিল একটা মারাত্মক বিষয় । এই পরিবর্তনের সময় আমি প্রতিদিন সন্ধ্যায় একেক এলাকার ডিলারদের সাথে বসতাম , তাদের সাথে কথাবার্তা হতো রাত পর্যন্ত , তারপর তাদের সাথে ডিনার করতাম অফিসেই। এই বিষয়টি উল্লেখ করলাম , কারন এই মিটিংয়ের জন্য অপেক্ষাতেই ব্লগার হোসেইনের আবির্ভাব হয় ।

সে গল্পেই ফিরে যাই এইবার । গত পর্বেই বলেছিলাম যে আমার এক সিনিয়ার বড়ো ভাইকে আমি সেই অফিসে পেয়েছিলাম । উনি অন্য সেকশনে ছিলেন । একদিন দুপুরে তার টেবিলের সামনে আড্ডা মারছিলাম , তখন দেখি উনার মনিটরে একটি পাতা খোলা । সেখানে বাংলা লেখা । কথা প্রসঙ্গে আমি তখন সামহোয়্যারের কথা উনার কাছে শুনলাম । আরো জানলাম যে সামহোয়্যারে নিয়মিত লেখেন আমাদের অফিসের চাইরজন ।

আমি বিষয়টি বুঝার জন্য আমার টেবিলে এসে সামহোয়্যার ওপেন করলাম । এভাবে কয়েকদিন গেল। সকলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে হয় , তখন পাতাটি আমার খুব একটা ভালো লাগে নাই । তবু পড়তাম , মাঝে মাঝে কয়েকজন ভালো লেখকের লেখা পড়লেও , বেশির ভাগই ছিল ফালতু বকোয়াজ । রাজাকার তাড়ানো তখনও একটা কাজ ছিল , বিশেষ করে অমি রহমান পিয়াল , হাসান মোরশেদ ,রাসেল এবং আরো কয়েকজনের এ সংক্রান্ত পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়তাম ।

তেমনি এক বিকেলে আমি যখন অফিসের কাজ শেষ করে বসে আছি , তখন কার একটা পোস্ট পড়ে যেন আমার কমেন্ট করতে ইচ্ছা হলো । কার পোস্ট ছিল সেইটা এখন আর মনে নাই , তবে সেখানে কমেন্ট করার জন্যই আমার একটা নিক নেয়ার দরকার হয়ে পড়লো ।

এখানে আমি একটা তথ্য যোগ করতে চাই যে , নাম ছাড়াও যে নিক নেয়া যায় , বিষয়টি আমার মাথায় তখন আসে নি ।
আমি নিজের নামেই নিক নিতে চাইছিলাম তাই সেই নামটি এভেইলেভল ছিল না ।
‘হোসেইন’ হচ্ছে আমার নামের মিডিল অংশ । অর্থাৎ আমার নামের গঠন ছিল ( ফার্স্ট নেম + হোসেইন + লাস্ট নেম )
আমি তাই হোসেইন নামটি রেজিষ্ট্রেশন করলাম । যে ইমেইলের মাধ্যমে সেই রেজিষ্ট্রেশন করা হইছিল , সেট্ওা ছিল কোম্পানির ইমেইল এড্রেস ।

সত্যি কথা বলতে কি , তখন দিনগুলো অন্যরকম ছিল । সাধারন দুই একটা কমেন্ট করাটাই ছিল আমার উদ্দেশ্য । কোন এক সময় যে ব্লগার হিসেবে আমি হাজির হবো , সেইটা পরিকল্পনায় থাকলে আমি হয়তো অন্য কোন নিক নিতাম ।

আরেকটা মজার কথা এখানে জানাই । আমিই যে হোসেইন , সেইটা আমার অফিসের চাইরজন ব্লগারের মাঝে দুইজন এখন পর্যন্তই বোধ হয় জানেন না । শুধু একজন জানতেন , শুধু তিনিই জানতেন যিনি আমাকে ব্লগ সম্মন্ধে বলেছিলেন ।


নিজেকে হাইড করার কারন এবং কিভাবে হোসেইন এক সময় চোর , কৌশিক ,পিয়াল , জামাল ভাষ্কর ,জেবতিক এবং আরো দুই একটি নিকের মাঝে লুকিয়ে পড়তো ,সেই কথাগুলো আমি আগামী কিস্তিতে বলবো ।

পুনশ্চ : ( লেখার শিরোনামটা ধার করছি আহমদ ছফার ‘ আলী কেনানের উত্থানপতন ’ নাম থাইকা )



সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১১:৫৭
১৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পরিণতি - ৩য় পর্ব (একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস)

লিখেছেন সাখাওয়াত হোসেন বাবন, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:২৮



( পরিণতি ৬১ পর্বে'র একটি মনস্তাত্ত্বিক রহস্য উপন্যাস ।)

তিন


আচানক ঘুম ভেঙ্গে গেলো ।

চোখ খুলে প্রথমে বুঝতে পারলাম না কোথায় আছি । আবছা আলোয় মশারির বাহিরে চারপাশটা অপরিচিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইফতার পার্টি মানে খাবারের বিপুল অপচয়

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩



গতকাল সরকারি ছুটির দিন ছিলো।
সারাদিন রাস্তাঘাট মোটামুটি ফাকাই ছিলো। ভাবলাম, আজ আরাম করে মেট্রোরেলে যাতায়াত করা যাবে। হায় কপাল! মেট্রো স্টেশনে গিয়ে দেখি গজব ভীড়! এত ভিড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×