somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অষ্ট্রেলিয়ার সিডনী এবং মেলবোর্নও আজ শাহবাগ স্কয়ার

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ দুপুর দুটোর দিকে, আমরা বেশ কয়েকজন তখনও সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া সংহতি সমাবেশের উত্তেজনায় সাঁতার কাটছি - দেখলাম প্র্যাম ঠেলে এক তরুনী মা আসছেন। পাশে হাটছে ফুটফুটে এক মেয়ে। হাতে ছোট্ট বাংলাদেশের পতাকা। অপরিচিত। তাতে কি? আজকে তো ব বলতে সব বাঙ্গালী। আমি খানিকটা এগিয়ে গেলাম। আমাকে এগিয়ে যেতে দেখে তিনি বললেন, শেষ হয়ে গ্যাছে না? ইস আমি মিস করলাম। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না; আমার আনন্দে কান্না পেয়ে গেল। অনেক চেষ্টায় সেটা চেপে বাচ্চাটিকে গাল ছুঁয়ে আদর করলাম। মনে মনে ওকে বললাম, মা রে, আমি আর তুই আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান। কারন আমরা দুজনেই বাঙ্গালী মায়ের গর্ভে জন্মেছি। তরুনী মায়ের দিকে তাকাতেই, তিনি হেসে বললেন, সরি, ট্র্যাক ওয়ার্ক চলছে। আমার আসতে অনেক দেরী হয়ে গেল। আমি বললাম কিচ্ছু দেরী হয়নি। আমি তাকে পুরো ঘটনা বর্ননা করলাম। এমনকি মেয়েটিকে নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিলাম।
উপরের কথাগুলো ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন আবেগপ্রবন এক সিডনীপ্রবাসী ভদ্রলোক। যিনি ফাসির দাবীতে সিডনীতে অনুষ্ঠেয় মানববন্ধনের একজন আয়োজক। তার মতই আরো হাজারো অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভাইবোনদের আবেগ এবং অনুভূতি্ই যেন হয়ে উঠে এক একটি শাহবাগ স্কয়ার। তা সেটি পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন।


আর যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবিতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরে ও দেশজুড়ে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি ভাইবোনুদের প্রতি একাত্নতা ও সংহতি জানাতেই সিডনীর এ্যাসফিল্ড পার্কে ও মেলবোর্নের ফেডারেশন স্কয়ারের পেছনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আয়োজন করে মানববন্ধনসহ গনস্বাক্ষরতা কার্যক্রম।

রোববার মেলবোর্নের ইয়ারা নদীর পাড়ের অ্যাঞ্জেল স্ট্যাচু পার্ক ও সিডনীর এ্যাশফিল্ড পার্কও যেন হয়ে উঠেছিল আরেকটি শাহবাগ। বয়স-পেশা আর দলীয় রাজনীতির সীমাবদ্ধতা ও সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ওঠা সাত –আট’শ প্রবাসী চিন্তা-চেতনা-ভাবনা আর মানসিক ঐক্যে পার্ককে বানিয়ে ফেলেছিলেন শাহবাগ। মানবতাবিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিও জানান তারা।
বাজানো হয় জাতীয় সংগীত, একাত্তরের রণাংগনের নানা গান। আয়োজিত এ সম্মিলন থেকে একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে নেওয়া হয় সাক্ষর অভিযানের পাশাপাশি বাংলাদেশকে রাজাকার মুক্ত রাখার।

স্বাক্ষরিত চিঠিটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হবে।

এছাড়া্ও সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী ছাত্রদের আয়োজনেও হয় আরেকটি মানববন্ধন।





কৃতজ্ঞতা: এস.এম তরিকুল আলম,রোমানা শারমীন,রাজন নন্দী(সিডনী)
মেহেদী আল ইমরান(মেলবোর্ন)

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫১
২১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×