বাড়ির সবাই অবাক হয়ে দেখল ছেলেটিকে। মাথায় বাবরি চুল। চোখ দুটি বড় বড়। নাকটা চেপ্টা। ছ'ফুটের মত লম্বা। তবে চেহারায় একটা মাধুর্য আছে। যা সবাইকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম। তার নামটাও অদ্ভুত পানোভাস্কি। কোথা থেকে এসেছে জানা যায় নি।
এই ছেলেটি নাকি ভাল জাদু দেখাতে পারে। আমরা বাড়ির লোক ছাড়াও গ্রামের ছেলে, যুবক, বুড়ো সবাই তার জাদু দেখতে এসেছে। মা- বোনেরাও ঘরের জানালা থেকে তার দিকে বিস্ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
ছেলেটা তার জাদু দেখানো শুরু করল। প্রথমে সে কিছু রসুনকে একটা রুমাল দিয়ে ঢেকে কি মন্ত্র পড়ে ফু দিতেই সেগুলো পাখি হয়ে উড়তে লাগল। দ্বিতীয়বার একটা গরুকে একটা বড় কাপড় দিয়ে ঢেকে দিল। আগের মতই কি সব মন্ত্র পড়ে ফু দিতেই দেখা গেল গরু অদৃশ্য। সেখান থেকে একটা সাপ বের হয়ে গেল। সবাই তো ভয়ে অস্থির।
ছেলেটা আবার সাপকে গরুর রুপ দিয়ে দিল। তৃতীয় জাদুটি দেখানোর জন্য সবাই কে চোখ বন্ধ করতে বলল। সবাই তার কথা মেনে নিল। চোখ বন্ধ করার একটু পরেই সবাই একটা বিকট আওয়াজ শুনল। আওয়াজটা থামল না বাড়তেই থাকল। সবার কাছে মনে হল এক দল বাচ্চা কাঁদছে।
চোখ খুলতেই সবার গায়ের লোম দাড়িয়ে গেল। এমন দৃশ্য কেউ কোন দিন দেখে নি। এমনকি স্বপ্নেও না।
পানোভাস্কির মাথায় যতগুলো চুল প্রত্যেকটা একেকটা শিশুর রুপ ধারন করেছে।দেখে মনে হচ্ছে শিশুচুল গজিয়েছে। বেশির ভাগ লোকই এই দৃশ্য দেখে অজ্ঞান হয়ে গেল। শিশুগুলো এই দৃশ্য দেখে কান্না বাদ দিয়ে হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ে লুটিয়ে পড়ছে ।