এক মধ্য বয়সী লোক রাস্তার ঢালুতে বসে রয়েছে একমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে। তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই সে কি ভাবছে। তার আশে-পাশে একটা পিঁপড়ার লাইন হেটে পার হচ্ছে সেদিকে তার কোন খেয়াল নেই। যেকোন সময় পিঁপড়াগুলো তাকে কামরে দিকে পারে। কিন্তু সে মাটিতে চুপচাপ বসে আছে। গায়ে একটা সাদা শার্ট পরিহিত। লুঙ্গিটা দেখে বোঝাই যায় কতকাল সে নতুন লুঙ্গি পরে নি। মুখে কালির মত কালো দাড়ি। চোখে এক ধরণের দুঃখের ছোয়া। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, চাচা এখানে বসে আছেন কেন?
সে ভয়ে ভয়ে আমার দিকে তাকাল। প্রথমে কিছু বলল না। আমি আবার জিজ্ঞাসা করলাম, কোন সমস্যা হয়েছে।
না, বাবা। আমি তো ফল বিক্রি করি। আমার কোন সমস্যা নেই।
ফলের সাথে আমার প্রশ্নের কোন মিল খুজে পেলাম না।
তাহলে বসে আছেন যে। এমন জায়গায় কি কেউ এই সময় বসে থাকে।
কি করব বল, ওপারে যে মারামারি হইতেছে। কয়েকটা কিল-ঘুষি আমিও খাইলাম।
ও হ্যা। আজ তো অবরোধ। আপনি বের হয়েছেন কেন?
কি করমু, পেটে ভাত তো দিয়োন লাগব। আমি তো বড় ব্যবসায়ী না। ছোট এক ঝাকা ফল বিক্রি করে খাই।
ও। আপনার ফলগুলোর কিছু হয় নিতো।
মনে হয় না। সেগুলো এক দোকানে রাইখ্যা দিসি।
তাহলে চিন্তা করছেন কেন? সন্ধ্যার পর নিয়ে আসবেন।
কিন্তু যদি দোকানও ভেঙে দেয়।
তা দিতে পারে।
তাহলে আমার ফল গুলো তো নষ্ট হয়ে যাবে। ফল তো আর হাটতে পারে না।
তা ঠিক। কিন্তু এই মুহূতে তো আপনি সেখানে যেতে পারবেন না।
কি আর করমু এইখানেই বইস্যা থাকি। দেখি সন্ধ্যা হইলে নিয়ে আসমু।
লোকটার হাতে কয়েকটা লাল পিঁপড়া উঠে হাটাহাটি শুরু করে দিয়েছে। কয়েকটা কামর খাওয়ার পর সে টের পেল। তারাতারি হাতটা ঝারতে আড়ম্ভ করল।
আমিও বাসার দিকে হাঁটা শুরু করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৩