somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আড়াপাড়া জমিদার বাড়ি এবং..

৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের আশেপাশেই অনেক সময় অযত্নে অবহেলিত ভাবে পরে থাকে বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ যার কদর হয়তো আমরা বুঝতে পারি না কখনই। এমন কত জমিদার বাড়ি/ রাজবাড়ি দেখলাম যা শুধু ধ্বংস হয়ে গেছে এই অবহেলার কারণেই। যাহোক, সেদিন হটাত করে ঢাকার মধ্যেই এমন একটি জমিদার বাড়ির খবর পেলাম। যা এখন প্রায় পরিত্যক্ত। তো একদিন সক্কাল সক্কাল ছোট ভাই ফাহিম কে নিয়ে বেড়িয়ে পরলাম সাভারের উদ্দেশ্যে। হ্যাঁ, জমিদার বাড়িটি সাভার উপজেলার আড়াপাড়া নামের একটি জায়গায় অবস্থিত। ইন্টারনেট থেকে এর বেশি তথ্য আর খুঁজে পাইনি। বাসে করে সোজা চলে গেলাম সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড। সেখান থেকে আড়াপাড়া কিভাবে যাওয়া যায় তা বুঝতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। স্থানীয় এক দোকানদারকে জিজ্ঞাসা করতেই অটোস্ট্যান্ড এর কথা বলে দিল। অটোচালক কে বলে দিলাম আড়াপাড়া জমিদার বাড়ির সামনে আমাকে নামিয়ে দিতে। তবে অটোচালক যেখানে আমাকে নামিয়ে দিলো সেখানে আমি আশে পাশে কিছুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। স্থানীয় একজনকে জিজ্ঞাসা করতে দেখিয়ে দিল। উনার নির্দেশনা মেনে এগিয়ে যাওয়ার পথে দূর থেকে একটি মন্দিরের গেট দেখতে পেলাম যার সামনে রয়েছে ছোট একটি পুকুর। তবে দূর থেকে আমি এটিকেই জমিদার বাড়ির গেট মনে করেছিলাম। পরে সামনে যাওয়ার পর অবশ্য আমার ভুল ভাঙে।





তো মন্দির থেকে বের হয়ে ডানে কালি মন্দির আর আরও ডানে আড়াপাড়া জমিদার বাড়ির সিংহদরজা। সিংহদরজা থেকে গলি রাস্তার মতো শেষ হয়েছে মূল প্রবেশ গেট পর্যন্ত। দুই পাশে কিছু নারী মূর্তি রয়েছে। যেগুলোর কোনটার হাত নেই , কোনটার পা নেই। আবার কোনটার চোখ আছে তো নাক নেই। আসলে ঐযে, অবহেলা-অযত্নে পরে থাকলে যা হয় আরকি।





যা হোক, সোজা ঢুকে পরলাম ভেতরে। মুল বাড়ির দরজার উপরের দিকে দেখলাম সিমেন্টে খোদাইকরে লেখা “রাই শশী নিবাস, ১৩০৭ সন”। বাড়িটির এক পাশে দেখলাম নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে। সেখানের দেয়ালে আবার ‘রাই নিকেতন, ১৩৪৪ সন’ লেখা। আর পুরো বিল্ডিংটির একেবারে উপরে ইংরেজীতে লেখা আরএম হাউস। এই ব্যাপারগুলো আমাকে একটু কনফিউজ করছিল।





আমাকে দেখে ভেতর থেকে একজন মাঝবয়স্ক লোক বের হল। তার কাছ থেকে জানতে চাইলাম এই বাড়িটি সম্বন্ধে। তেমন কিছুই বলতে পারেনি। তবে বলল তারা বহু কাল ধরেই এখানে বসবাসরত আছেন এবং তারা এই জমিদারের আত্মীয়। আমার কাছে অনেক কিছুই ঘাপলা মনে হচ্ছিল। তবে ব্যাপারটা নিয়ে বেশি ঘাঁটালাম না। পরে আমি অনুমুতি নিলাম বাড়িটির ছাদে যাওয়ার জন্যে। ছাদে যাওয়ার জন্যে যখন বাড়িটির ভেতরে প্রবেশ করলাম তখন খেয়াল করলাম এখানের অনেক ঘরই এখন পরিত্যক্ত যেগুলো কোন গোডাউন হিসেবে ব্যবহিত হচ্ছে।

ছাদ থেকে পুরো বাড়িটা দেখতে খুব ভালো লাগছিল। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। তবে খারাপ লাগছিল এই দেখে যে পুরো বাড়িটার বিভিন্ন জায়গায় উল্টাপাল্টা সংস্কার কাজ। বলার কিছুই নেই। ঐযে, অবহেলা আর অযত্ন!





যাহোক, ছাদ থেকে নেমে চারপাশটা আরও একবার দেখে ছোট ভাইটিকে নিয়ে সেখান থেকে বেড়িয়ে পরলাম। পরে বাইরে এক চায়ের টঙে বসে দুই ভাই দুই কাপ চা পান করে বাড়ির পথে রউনা হই।

--৩০/মে/২০১৬ইং
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ২:৪২
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×