~বর্তমানে কালে থেকেও কখনো কখনো আদিকালের রীতিনীতি চর্চা করতে হয়।আদি কালের রীতি চর্চায় মানুষ কখনো সম্পূর্ণ সঠিকভাবে সময়ের হিসাব রাখতে পারত না। সূর্যের অবস্থান দেখে সময়ের আপাত হিসাব ও চাঁদের আকার-আকৃতি দেখে তারিখের একটা হিসাব রাখত আর প্রকৃতির আচরণ দেখে হিসাব রাখত মাসের।
~কিন্তু আমরা এখন খুব আধুনিক হয়েছি। সর্বোন্নত প্রযুক্তির যুগে বসবাস করছি। মাস, তারিখ, সময় কিংবা ঘণ্টা নয় আমরা এখন সেকেন্ডেরও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের হিসাব রাখতে পারছি এবং সেটা নির্ভুল ভাবেই। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, এই সর্বাধুনিক যুগে বসবাস করেও আমরা মাঝে মাঝে অতিতের কালচার লালন করি। অথচ যেটা আদৌ অতিতের কোন কালচার ছিলোনা। ছিল তাদের অজ্ঞতার, জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ !
~আজ আমার জন্মদিন।
~বাণীতে উদ্ভাস ফ্যামিলি (উদ্ভাসের করা উইশ থেকেই প্রথম জানতে পারি যে আজ আমার জন্মদিন ছিল, তারপর ক্ষণিক পর পর বিভিন্ন বন্ধুবান্ধবের উইশ থেকেও। মানে আর একটু কনফার্ম হওয়া যাকে বলে।) আমার জন্মদিন ছিল অথচ সেটা আমি ই জানতাম না, জানি না বা মনে ছিলনা অথবা স্মৃতিতে রাখতে চাইতাম না। কেনইবা মনে রাখব? আজ যেদিন আমার জন্মদিন বলে প্রচার করা হচ্ছে আমি কি আসলেই সেদিন জন্মগ্রহণ করেছিলা হয়ত হ্যাঁ, অথবা না। কিন্তু এটা চিরন্তন সত্য যে সামনের দিনগুলোতে আমাকে এদিনই জন্মদিন হিসেবে পালন করতে হবে, হয়ত কখনো সেটা আনুষ্ঠানিকভাবেও!
~অতিতকালের মানুষ অজ্ঞতা বশতঃ সময়ের হিসাব রাখতে পারত না, আজ বর্তমানে আমরা শিক্ষিত সমাজের হয়েও জীবনের চাহিদা পূরণের জন্য, আর একটু ভালো জীবন পাওয়ার প্রত্যাশায়, মাঝে মাঝে নিজেকে একটু আপডেটেড ভাবে প্রকাশ করার অভিপ্রায়ে বা কখনো অখেয়াল বশতঃ নিজের জন্মদিনটাকেই পরিবর্তন করে ফেলি।
~একটু ভাবুন তোঃ ভালো জীবন পাওয়ার প্রত্যাশায় যদি আমরা আমাদের পৃথিবীতে আগমনের সময়টাকেই অস্বীকার করি, নিজের অস্তিত্বটাকেই অমূল্যায়ন করি তবে সেই ভালোর সংজ্ঞাটা কি হতে পারে??!!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২২