১
প্রশ্নমতে
মৌলিক স্বীকার্য এটা ছিল না যে আমি শুধু তোকেই চাই,
+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/
+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/+-*/
সপ্তম উপপাদ্য থেকে এক অচিন ধ্রুবক এসে প্রমান করলো-
দিন শেষে আমার কোথাও কেউ-কিছু ছিলোও না যাবার!
২
আমরা এখন ভালোবাসা চাই না, চাই সম্পর্ক!
তবে চল যাই, ভাসাই শেষ সর্বনাশের ঢেউ!
হয়ে যাক কিছু নখে নখে বিদ্যুৎ,
পাঁজরে পাঁজরে হুঙ্কার,
কলিজায় দাবানল,
মৃত্যুর মত নিশ্চিত লক্ষ্যে-
অন্ধচূড়ার যোনীদেশে পড়ে থাক মাতাল শিশ্ন অদ্ভূত!
৩
ছেঁড়া বৃত্তের পরিধি বেয়ে-
টুপ করে পড়ে গেল,
আর ফিরেও চাইলো না!
৪
কবি হতে গেলে তো দেখি মেলা দূর্ভাগ্য থাকতে হয়,
আমার কি ভাগ্য হবে- অত দূর্ভাগ্য কপালে আছে তো আমার!
৫
এখনি তো সময় লেখার,
দাবানল লাগলে যেমন,
সবুজ পাতারাও পুড়তে থাকে-
কবিতার যত আততায়ী উল্লাসে!
৬
উঠে দাঁড়া হতভাগা!
যেখানে তোর প্রেমিকাকে দেখতে আসে-
চৌধুরীবাড়ির চামার!
টিউশনি বাড়ির নাস্তার হাভাতে,
হলে ফিরে ভাঁজিস ফিল্ম বানানোর খেয়াল,
তুই মরে যা হতভাগা!
৭
কবি পড়ে থাকে ফুটপাথে,
কবিতা বেশ এসির বাতাস পায়,
কবি ডুবে যায় হিমে নীলে,
কবিতা তবু পিজা হাটে কফি খায়!
৮
ধুর ছাই! তোর জন্য শেষের কবিতাটা লিখতে গেলেই,
আমার আকাশ জুড়ে বেহুদা লোডশেডিঙ্গের অবরোধ,
তোর ছুঁয়ে দেওয়া বিদ্যুত স্মৃতি,
কালিমা থামিয়ে অন্ধ কলম ভাবে,
আর একবার ছুঁয়ে দিয়ে যা-
দেখ আলো হয়ে কেমন এক নক্ষত্র লিখি!
৯
বহুদিন পরে বৃষ্টি ছুঁয়ে,
বহুদিন পরে বৃষ্টিতে ঝরে,
বহুদিন পরে বৃষ্টিতে মিশে,
আমি একা তবু;
তুমি আমি মিলে
আমরা দুজন,
আমরা আবার,
সেই কবেকার
‘আমরা’ হয়ে যাই...।
১০
আমার আর একটুও ভাল লাগে না
এত কোটিতে ভাংচুর হয়ে গেছি!
অযুতে নিযুতে টুকরো বিখন্ড হয়ে গেছি...
আমি ছড়িয়ে গেছি, শুকিয়ে, মুড়িয়ে,
কাঁটাতারের সীমান্তের পিলারে পিলারে-
আপাদমস্তক গুড়িয়ে গেছি...
সাগরপারের ধবধবে সাদা বালির মত,
সকাল- সন্ধ্যা সময়ের আঙ্গুল গলে,
আমি ঝরে পড়ি, আমি ঝরে পড়ি...
১১
এমন যদি,
আবার যদি,
এমন হত,
এমন কভু,
আমরা দুজন,
আমরা আবার,
হাতটি ধরে,
আবার পথে,
আবার দুজন,
আবার যদি,
কখনও যদি,
হেঁটেই যেতাম!
বেঁচেই যেতাম!
১২
দেখ যদি কোন ভোরে
তোমার পথের ধারে,
আদিম আলিঙ্গন সিক্ত এক জোড়া
বকুল ঝরে আছে,
তবে সেদিনই বুঝে নিও
প্রতীক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে-
সে আর ফিরবে না এই পথে...
১৩
মরুভূমির বুকে যখন জল মেলেনা,
মরীচিকার চেয়ে বন্ধু আর কে আছে?
প্রতি সাঁঝে আমার কথা ভেবেই প্রদীপ জ্বালো তুমি-
এই মায়াটুকু ছাড়া আমার আর কি থাকে?
১৪
প্রদীপ তুমি ঠিকই জান তাহলে,
আলোর ছোবলে অন্ধকার বাঁচেনা।
তাইতো কোলের নিচে অন্ধকার গুঁজে রাখ,
আর কে না জানে-
অন্ধকার ছাড়া প্রদীপ বাঁচেনা...
১৫
যে জীবনে মিলনের মূলসুত্রই না মেলা
সেই জীবনে সমান্তরাল রেখারা কভু মেলে না,
যদিও অসীমে মেলার স্বপ্ন বুনে চলে।
তারপরেও তুমি যদি আমাকে চাও-
তবে তুমি সমান্তরালই থেক...
১৬
অনেকদিন হয়ে গেল,
আমি কোন স্বপ্ন দেখিনা।
কি বলব অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে-
এখন একটা দুঃস্বপ্ন হলেও চলত!!!
১৭
কখনও কেউ দেখেছো নাকি,-
সমুদ্রের দেখা না পেয়ে এক নদী ফিরে গেছে পর্বতে?
কখনও কেউ শুনেছ নাকি,
কাঁটা না বিঁধিয়ে ফুটেছে ভালোবাসা মানুষ সরোবরে ?
১৮
ধার করা আলোই চাঁদের কত রূপ!!!
আর এদিকে দেখ,
বেচারা সূর্যের দিকে তো তাকানোই যায়না...
*** ইয়ে আজ কবির জন্মদিন, কবিতা না থাকলে হইতে পারে না, তাই নানা সময়ে লেখা কিছু নুড়ি কবিতা! সুপ্রিয় ব্লগ বন্ধুরা, তোমরা খুব ভালো করেই জানো তোমরা আছো বলেই আজ আমি কবি! তোমাদেরকে ভালোবাসা জানানোর ভাষা কবির জানা নাই, কিন্তু কবি জানে সব কিছু ভাষায় ফোটে না, কিন্তু মানুষ বুঝতে পারে, তাই আমি জানি তোমরা বুঝতে পার! গতরাতে একটা মজার পোস্ট দিয়েছিলাম, জন্মদিন মাথায় রেখে না, কিন্তু সেখানে সবাই যে ভালোবাসা জানিয়েছেন, আমি নির্বাক, ভাষা ফিরে আসা মাত্র আমি সবাইকে প্রতি শুভেচ্ছা জানাবো!
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৩