somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক মিনিটের গল্প

০৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নেহা অতঃপর নিভানের পৃথিবী

লিখা এবং প্রকাশকালঃ ০৬-০৫-২০১৫


আমার নাম নেহা। ভাগ্য খুব সুপ্রসন্ন থাকায় আজ আমি একটা FM স্টেশনে রেডিও জকি হিসেবে জব করি। জন্মসূত্রে আমার মুখের ডান দিকটা প্রায় পুরো অংশটা কালো। এটাকে জন্ম দাগ বলে। আমি আমার ওড়নার একটা অংশ দিয়ে সব সময় আমার চেহারার ডান দিকটা ডেকে রাখি। আমার কোন বন্ধু বান্ধব নেই। অবশ্য আমি নিজেই ইচ্ছে করে বন্ধু বান্ধব রাখিনি। কারণ আমাকে নিয়ে তারা খুব স্বাচ্ছন্দ্য-ভাবে চলা ফেরা করতে পারবে না। আমার অফিসেও আমি তেমন কারো সাথে কথা বলি না। আমার সহ RJ হিসেবে কাজ করে শিলানি। আমার জীবনে আমার ফ্যামিলি মেম্বার ছাড়া আমি ২ টা মানুষের সাথে খুব স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে কথা বলতে পারি। একজন হচ্ছেন শিলানি আর অন্যজন হলেন আমাদের চেয়ারম্যান স্যার। অবশ্য, উনার জন্যই আজ আমার চাকুরীটা পাওয়া। RJ হিসেবে আমি সব সময় আমার সুনাম চারদিক থেকে শুনতে পাই। কিন্তু আমার বিশেষ অনুরোধে আমার অফিস আমার ছবি কোথাও কখনো ছাপায়নি। চেয়ারম্যান স্যার আমার কথা রেখেছিলেন। কারণ আমার ধারণা ছিল, আমার ছবি যদি আমার শ্রোতারা দেখতে পায়, তাহলে আমার কথা আর তারা শুনতে চাইবে না।
কিন্তু আমার চেয়ারম্যান স্যার আমাকে বারবার বলেছিলেন, “নেহা, তোমার এ ধারণাটি একদম ভুল। বাস্তব কথা হচ্ছে, তুমি অনেক সুন্দর একজন মানুষ। তোমার মুখের ডানদিকের দাগটা আসলে কোন ব্যাপার না”।
কিন্তু চেয়ারম্যান স্যার আমাকে জোর করেননি। অফিসের সবার কাছে চেয়ারম্যান স্যার এর কড়া নির্দেশ ছিল, কোন মতেই আমার ছবি প্রচার করা না হয়। এমনকি আমার FM Station এর ওয়েব সাইটেও আমার ছবির জায়গায় কাল একটা জায়গা রেখে দেয়া হয়েছে। লাইভে আমাকে অনেক সময় এ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আমি আমার শ্রোতাদের এ প্রশ্নের উত্তরটা সব সময় এড়িয়ে যাই।

অফিস থেকে আমি আর শিলানি বের হয়েছি প্রায় শেষ বিকেলে।
একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন শিলানি, “আজকে কিন্তু সেই ছেলেটা আর দাড়িয়ে নেই। তাকে দেখা যাচ্ছে না”।
-চলেন তো ঐ দিকটা একটু ভাল মত দেখি, বলল শিলানি।
এই বলে আমি আর শিলানি আশেপাশে ২/১ টা অলি-গলি দেখলাম। কিন্তু কোথাও ছেলেটিকে খুঁজে পেলাম না। ২ জনেরই কি কারণে যেন মনটা কিছুটা আপসেট হয়ে গেল। অফিস শেষে ছেলেটি আমাদের জন্য অপেক্ষা করে, এটা আমরা ২ জনেই বুঝতাম। এই নিয়ে আমরা ২ জনেই অনেক হাসাহাসিও করতাম। কারণ এই ছেলেটিকে দেখেই আমরা বুঝতে পারতাম যে, সে কোন একটা অফিসে জব করছে। বেশিরভাগ সময় সু ,প্যান্ট এবং শার্টের সাথে টাই পরা থাকতো, টাই-টা হাল্কা লুস করা থাকত। বুঝতাম, অফিস শেষ করেই এখানে চলে আসত এবং দাড়িয়ে থাকত। শিলানি ব্যাপারগুলো খেয়াল করত কিনা জানি না। কিন্তু আমি শিলানিকে ব্যাপারগুলো প্রায় বলতাম।
শিলানি আমাকে বলত, আপনি এত কিছু খেয়াল করেন?
আমি শিলানিকে হেসে বলতাম, আমি তো অনেক কিছু খেয়াল করি, এটা ঠিক আছে। কিন্তু আমি তো জানি, ছেলেটি আপনাকে দেখতে আসে। শিলানি বলত, ‘আরে বলা যায় না কাকে দেখতে আসে’। এই বলে আমরা ২ জনেই হাসতাম। শিলানি দেখতে অনেক সুন্দর একটা মানুষ। এখনো মডেলিঙের সাথে জড়িত আছে। পাশাপাশি আমার সাথে RJ হিসেবেও কাজ করে।
গত প্রায় ২ মাস এমন কোন দিন নাই যে, ছেলেটিকে দেখা যায়নি। আমি এবং শিলানি যখন অফিস থেকে বের হতাম ছেলেটি আমাদের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। কিন্তু কখনো আমাদের সামনে আসেনি। ছেলেটিকে দেখতে ফর্সা বলা যাবে না। কিন্তু অসাধারণ একটা চাহনির অধিকারী। দেখলেই মায়ায় পড়ে যেতে হয়। অফিস থেকে বের হওয়ার পূর্ব মহুরতেও সব সময় জানতাম যে, তাকে দেখতে পাব। মনের অজান্তেই কতবার যে তাকে দেখেছি, বলে শেষ কড়া যাবে না। দেখার কোন উদ্দেশ্য ছিল না। এমনেই দেখতে ভাল লাগত।
এর পরে ১ সপ্তাহ পর্যন্তও ছেলেটিকে দেখা যায়নি। আমি ইচ্ছে করেই শিলানির সাথে ব্যাপারটা আর শেয়ার করতাম না। হয়তো শিলানি ভাবতে পারে। আমার মত শারীরিক প্রতিবন্ধী একজন মানুষ হয়তো একটা স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে, যা কখনোই সম্ভব নয়। তাছাড়া আমার বিশ্বাস ছিল, ছেলেটি শিলানিকেই দেখতে আসত।
প্রায় ৮ম দিনে, আমি আর শিলানি অফিসের লিফট দিয়ে উঠতে যাব এমন সময় পিছন দিক থেকে শুনতে পেলাম, প্লিজ, একটু দাঁড়াবেন।
আমি, শিলানি পিছন দিকে তাকালাম। দেখলাম , সেই ছেলেটি আমাদের দিকে অনেকটা অসহায়ের মত তাকিয়ে আছে। আমি যেন অনেকটা স্ট্যাচু হয়ে গেছি। একবিন্দুও আর লিফটের দিকে আগাতে পারলাম না। আজকেই আমি প্রথম বুঝতে পারলাম যে, ছেলেটি স্পষ্ট আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ ছেলেটি আমাদের খুব কাছেই ছিল। ছেলেটি আমাদের আরও কাছে আসল। এর মধ্যে লিফট উপরে উঠে গেছে।
-আপনি নেহা, আমি কি ঠিক বলেছি?
আমরা কিছু বললাম না। কিন্তু আমি অবাক হলাম। আমাকে তো আমার অপরিচিত কেউ কখন চিনতে পারার কথা না।
-নেহা, আপনি কি আমার সাথে একটু যাবেন? আমার মা অনেক অসুস্থ। আপনি গেলেই আমার মা ভাল হয়ে যাবে।
আমি শিলানির দিকে তাকালাম। বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছে।
-শিলানি আপু, প্লিজ, আপনি একটু নেহাকে বলে দিন, আমার সাথে নেহা একটু গেলেই আমার মা ভাল হয়ে যাবে।
আমি স্থির দাড়িয়ে থাকলাম কিছুই বলতে পারছিলাম না। এর পরে শিলানি একটু সামনে গিয়ে ছেলেটি কে বলল, আপনি আসুন তো আমার সাথে। আমি তখনো স্থির দাড়িয়ে থাকলাম। দেখলাম, শিলানি ছেলেটার সাথে কথা বলছে।
৫ মিনিট পরে শিলানি আমার সামনে আসল। আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে আমাকে বলল, “আপনার তো নিজের প্রতি কখনো বিশ্বাস ছিল না, যান, আজকে একটা সুযোগ এসে গেছে, নিজের বিশ্বাসটাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন। আপনি তো বলেছিলেন পৃথিবীতে কেউ আপনাকে বন্ধু হিসেবে রাখবে না। আমি আগেই আপনাকে বলেছিলাম, আপনার ধারণাটি ভুল এবং আজ সেটাই হল”
এর পরে শিলানি আমার আরও কাছে এসে আমার কানে কানে বলল, “ছেলেটির নাম ‘নিভান’। নিশ্চিন্তে তাকে বিশ্বাস করতে পারেন। আপনি তার সাথে তার মায়ের কাছে যান। আপনার হারিয়ে যাওয়া বিশ্বাসটাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন। একটুও দেরী করবেন না, তাড়াতাড়ি যান, অফিসের ব্যাপারটা আমি সামলে নেব”
এই বলে শিলানি মৃদু একটা হাসি দিয়ে লিফটে উঠে গেল। আমি যেন অনন্তকালের জন্য ওভাবেই দাড়িয়ে থাকলাম।
-নেহা।
হটাত করে যেন আমি ঘুম থেকে জেগে উঠলাম।
-আসুন প্লিজ।
আমি অফিস থেকে বের হয়েই দেখলাম, রাস্তার ওপাশেই একটা প্রাইভেট কার দাড়িয়ে আছে। আমি নিভানের সাথে রোবটের মত গাড়িতে উঠে বসলাম। গাড়িতে একটা কথাও হয়নি নিভানের সাথে আমার। ২০ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে গেলাম আমরা। আমি এখনো বুঝতে পারছিলাম না, আসলে কি হচ্ছে। শুধু এটুকু জানি, একজন মা’কে দেখতে যাচ্ছি। আমি যখন হাসপাতালে নিভানের মায়ের কেবিনে ঢুকছি, আমার হাত পা কাঁপছিল। আমি প্রায় পড়েই যাচ্ছিলাম। নিভান আমাকে ধরে ফেলল।
কেবিনে ঢুকার পর আমার জীবনে সবচে বড় বিস্ময় আমার জন্য অপেক্ষা করল। আমি দেখলাম। আমার মত দেখতে অবিকল আরেকটা মানুষ বিছানার শুয়ে ঘুমোচ্ছে। উনার মুখের বাম অংশটা পুরোটাই কাল। আমি আর স্থির থাকতে পারছিলাম না। নিভান আমাকে অনেকটা জড়িয়ে ধরে একটা চেয়ারে বসাল।
আমার ধারনাই ছিল না যে, একী শহরে আমার মত অবিকল আরেকটা মানুষ থাকতে পারে।
নিভান আমাকে বলতে শুরু করল...
“অনেকটা যেনেই আমার বাবা আমার মাকে বিয়ে করেছিল। কিন্তু বিয়ের ১ সপ্তাহ পরেই বাবা কেমন যেন হয়ে গেল। মাকে মোটেই সহ্য করতে পারত না। ১ মাস পরে বাবা বিদেশ চলে যায়। এর পরে বাবা মায়ের সাথে আর কোন যোগাযোগ রাখেনি। এর মধ্যে আমিও পৃথিবীতে এসে পড়ি। আমার বয়স যখন ৩ বছর তখন বাবা কোটের মাধ্যমে মাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেয়। মামারা জানতেন, মা এটা সহ্য করতে পারবে না। এই কারণে তাকে জানানো হয়নি।মামাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল ছিল না। আমি টিউশন করে নিজের পড়াশুনার খরচটা সব সময় চালিয়ে এসেছি। আমি যখন HSC তে পড়ি, তখনি মামা আমাকে জানিয়েছে বাবা মায়ের ডিভোর্সের কথা। এরপর থেকেই আমি মাকে এক্সট্রা কেয়ার নিতে শুরু করি। কারণ মা তখনো জানতেই যে, বাবা ফিরে আসবে”।
জানেন নেহা, “আমার যখনই মায়ের চেহারাটা খেয়াল হত, আমি গাধার মত পরিশ্রম করতাম। আমার BBA শেষ হওয়ার পরে আমি নিজেই ইচ্ছে করে মাকে প্রথম জানাই বাবার ডিভোর্সের কথা। কিন্তু সেটাই মনে হয় আমার এবং মায়ের জন্য কাল হল। এ ছাড়া আমার হাতে অন্য কোন অপশন ছিল না। আর কতদিন মা একটা মিথ্যার উপর আশ্রয় নিয়ে বেঁচে থাকবে।কিন্তু মা এ সত্যি কথা জানার সাথে সাথে, অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করে। মায়ের ধারণা যে, সবাই তার মুখের কালো অংশের জন্য তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যাবে। আমিও তাদের একজন। তার ধারণা, আমিও তাকে ছেড়ে চলে যাব”।
আমি দেখতে পেলাম নিভানের চোখ দিয়ে টপ টপ করে জল পড়ছে।
“গত ২ মাস আগে আমি আপনাকে লিফটে প্রথম দেখতে পাই। আপনি হয়তো খেয়াল করেননি। আমি অবাক হয়ে তাকিয়েছিলাম আপনার দিকে। সাথে সাথে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যে করেই হোক আপনার সাথে আমার যোগাযোগ রাখতে হবে। প্রতিদিন অফিস থেকে বের হয়েই ভাবি যে, আপনার সাথে আজকেই কথা বলব। কিন্তু সংকোচের কারণে সেটা হয়ে উঠেনি। কিন্তু গত এক সপ্তাহ মায়ের অবস্থা বেশী খারাপ। অস্বাভাবিক আচরণ করছে। আমাকে পর্যন্ত চিনতে পারছে না। আর যখন চিনতে পারছে, তখন কান্নাকাটি করছিল, আমি যেন তাকে ছেড়ে না যাই। আপনি বুঝতে পারছেন আমার কি অবস্থা?। এই জন্য অফিস থেকে এই সপ্তাহ ছুটিতে আছি। কিন্তু আজকে আর পারছিলাম না। তাই আপনি অফিসে ঢুকার আগেই ছুটে গেলাম।
আমি নিভানের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম। কোন মতেই যেন আমার দৃষ্টিটা অন্যদিকে নিতে পারছিলাম না। মাঝে মাঝে নিভানের মায়ের দিকে তাকাচ্ছিলাম। কিন্তু আমি মনে মনে এটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম যে, যে করেই হোক আমাকে নিভানের মা, এই মানুষটার সাথে থাকতে হবে। তার নিজের এই অবিকল প্রতিচ্ছবিকে সে কখনো হারাতে দেবে না। এখন যদি নিভান নাও চায়, তাও সে নিভানের মায়ের সাথে থাকবে।
নিভানের মা অনেকক্ষণ ধরে ঘুমাচ্ছে। এর মধ্যে ডাক্তার ও কি যেন test করে গেল।
আমি প্রায় দুপুরের দিকে নিভানকে বললাম, নিভান আমাকে তো এখন উঠতে হবে। আজ তো অফিস যাইনি। বাসায় যাইয়ে ফ্রেশ হয়ে বিকেলের দিকে আবার আসব।
নিভান বলল, আমার সাথে কি lunch করলে খুব সমস্যা?
আমি কেন জানি চাচ্ছিলাম, এই ধরণের একটা propose নিভান আমাকে করুক। আমি কিছু বললাম না।
আমাদের lunch এর পরে আমরা আবার নিভানের মায়ের কেবিনে আসলাম। দেখলাম, নিভানের মা ঘুম থেকে উঠেছেন। আমি নিভানকে বললাম, আপনি একটু বাহিরে যান। আমি মায়ের সাথে কথা বলি।
নিভান আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে, একটু মৃদু হেসে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল। আমি নিভানের মায়ের সাথে অনেকক্ষণ কথা বললাম। কিন্তু শেষের দিকে নিভানের মাকে একটা মিথ্যা বলতেই হল। আমি বললাম, “আমরা একে অন্যকে অনেকদিন চিনি। আমি নিভানকে অনেক ভালবাসি। আমি তাকে ছেড়ে কখনো যাব না”।
শেষের দিকে তার মা আমাকে বিশ্বাস করেছেন। উনার ব্যাগ থেকে আমাকে একটা রিং বের করে পড়িয়ে দিলেন। বললেন, “নিভানের বাবা এই রিঙের প্রতিজ্ঞাটা রাখতে পারেননি। কিন্তু আমার নিভান সেটা রাখতে পারবে, আমি জানি”।
আমি কিছুই বললাম না। কিন্তু রিঙটা মন থেকেই রিচিভ করলাম।
নিভান যখন কেবিনে ঢুকল। নিভানের মা আমার সাথে হেসে হেসে কথা বলছিল। নিভান অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকল।
আমরা কেবিন থেকে বের হয়ে হাসপাতালের এক কোনায় বসলাম। নিভান সেখানে আমাকে বলল, “এই নেহা, আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন?”
আমি নিভানের কথায় খুব বেশী অবাক হলাম না। শুধু মৃদু হেসে নিভানকে আমার হাতে পরা তার মায়ের দেয়া রিঙটা দেখালাম। নিভান অবাক হয়ে আমার রিংটার দিকে তাকিয়ে থাকল।
আমি জানি না আমাদের ভবিষ্যৎ আমাদের কথায় নিয়ে যাবে। কিন্তু এটা জানি, প্রকৃতি আমাকে এটাই ঠিক করে দিয়েছে যে, এই ২ টা মানুষকে নিয়েই আমাকে থাকতে হবে, এদের পরম মমতায় আগলে রাখতে হবে।
বাসায় যাওয়ার পথে গাড়িতে FM থেকে শিলানির কণ্ঠটা ভেসে আসছিল। “আজ নেহা কোথায়” এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে শিলানি প্রায় হয়রাণ। শিলানি সবার উত্তরে একটাই কথা বলছিল। “আজ নেহার জীবনে অন্য একটা অধ্যায় হতে যাচ্ছে”
আমি ভেবে পেলাম না, শিলানি এই ব্যাপারটা কিভাবে বুঝতে পারল। আমি আর নিভান শিলানির কথায় দুজনেই একসাথে হেসে উঠলাম...
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×