হয়তো ভাবছেন, অনুগ্রহের সাথে পৃথিবী টিকে থাকার কি সম্পর্ক!
মূলত পৃথিবী টিকে আছে অনুগ্রহ, ভালোবাসা, মায়া, মমতার কারণে।
আত্মকেন্দ্রীকতার এ যুগে সবাই চায় আগে আমি বাঁচি তারপর অন্যকেউ। সবাই তার অবস্থান থেকে আত্মকেন্দ্রীক।
এক্ষেত্রে সবাই স্বার্থপর। কিন্তু কেন?
আজ আপনি পরিবার সূত্রে সুখেই আছেন। টাকা পয়সা, ধন সম্পদ সবই আছে। আপনি সুখী। আপনি সফল। কিন্তু যে ছোট বেলায় মা-বাবা হারিয়ে অভাব অনটনে বড় হয়েছে সে ভাবছে সে ব্যর্থ। কারণ সে অভাবী। তার কিছুই নেই। না আছে টাকা আর না আছে পরিবার। কিন্তু এক্ষেত্রে তার দোষ কি? সে কেন ব্যর্থ?
উত্তর আসবে- তাকে সাপোর্ট দেয়ার মতো কেও ছিলোনা তাই সে ব্যর্থ। আর আপনি সাপোর্ট পেয়েছেন তাই আপনি সফল।
আর এই সাপোর্টই প্রকৃতপক্ষে মায়া মমতা। যা ছাড়া চলেই না। পুঁজিবাদীর এ সময়ে হয়তো এটাকে পরনির্ভরশীলতা বলা যায়।
অর্থাৎ, প্রত্যেক মানুষকেই এ সময়টা পার করে আসতে হয়। যা সে মা-বাবা বা পরিবারের উপর নির্ভর করে।
এ অবস্থাটা পশু পাখীর বেলাও প্রযোজ্য। তারাও একটুখানি আশ্রয় চায়, খাবার চায়। থাকার জায়গা চায়।
তাই সবাইকে ভালোবাসুন। ঘৃণা করবেন না।
অনাথদেরও তাড়িয়ে দিবেন না। পারলে সাধ্য অনুযায়ী খাবার দিন।
তার জায়গায় নিজেকে অথবা নিজের পরিবারের কাউকে চিন্তা করুন। এরকম আপনার সাথেও হতে পারতো।
আর ভালোবাসুন পশুপাখীকেও। তাদের আহার দিন। পানি দিন। মেরে ফেলবেন না। মানবতাবোধ জাগ্রত করুন। পৃথিবী টিকে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৫