somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" রাজনীতিতে চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, তবেই দেশে শান্তি আসবে"

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বাংলাদেশ এখন এমন সময় পার করছে যা 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি'অবস্থা। এ সময়টা চারিদিকে থমথমে পরিস্থিতির বিষয় নির্দেশ করছে। যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার অবতারনা ঘটাতে পারে, পরিস্থিতিটা এরকম। যদিও নির্বাচন নিয়ে এরকম সমস্যা এটাই প্রথম নয়। অতীতে আরো এরকম অবস্থার সাক্ষী বাংলার বিভিন্ন ইতিহাস বই!
সেই বইগুলোর ভাঁজে ভাঁজে হাতালে এরকম অনেক ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ের অবস্থাটা হলো, টিউব থেকে টুথপেস্ট বের করার পর ঢুকানো যেমন অসম্ভব একটা ব্যাপার, ঠিক বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যাটা সেরকম একটা অসম্ভব সমস্যা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কেউ কাউকে ছাড় দেয়ার মতো মানসিকতায় নেই। এক কথায় দা কুমড়ার সম্পর্ক। এক ঘরে দুই সতীনের মাঝেও এতোটা ঝগড়া নেই, যতটা ঝগড়া এ দেশের রাজনীতিবিদদের নিজেদের নিজেদের মধ্যে । আর এজন্যই মরণ কামড় দিতে মরিয়া সব রাজনৈতিক দল। একে অন্যকে ছাড় দেয়ার চিন্তাও করতে পারছেনা। বর্তমানে বাঘে-কুমিরে এক ঘাটে জলকেলী খেললেও খেলতে পারে,কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা নয়। বিলকুল না মুমকিন।

এসব বিষয়কে নিছক রাজনীতি বলা যায় তখনই, যখন সেখানে সুন্দরভাবে রাজনীতি চর্চা করা হয়। এখন ভুলে এমনটা হয়ে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রে কখনো সঠিক রাজনীতি চর্চা হয়েছে কিনা তা বলা মুশকিল।
এ পর্যন্ত যা দেখেছি তা হলো,একে অন্যের প্রতি কিভাবে ব্যাপকভাবে হিংসা চর্চা করতে পারে সেটার প্রতিযোগিতা। সুস্থ রাজনীতি কখনো চর্চা হয়েছে কিনা তা আমার জন্মের পর হতে এ পর্যন্ত দেখিনি। তার আগে থাকলেও থাকতে পারে। তবে বঙবন্ধুর সময়ের রাজনীতির বিষয়টা ভিন্ন ব্যাপার।
বঙবন্ধুরা যেমন সব সময় আসেনা, তেমনি এরকম বঙবন্ধুদের শান্তির রাজনীতিও সবসময় থাকেনা। সেগুলো আলাদা বিষয়। কিন্তু অবাক হয়ে অজ্ঞান হওয়ার মতো অবস্থাটা তখনই ঘটে, যখন দেখি এ অপরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদরাই বঙবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির কথা বলে রীতিমতো মাইক ফাটিয়ে ফেলে। দেশকে এ নিয়ে দু ভাগ করে ফেলে।
দুর্ভাগ্য এ জাতির জন্য! যারা বঙবন্ধুর মতো মানুষ পেয়েছে,বঙবন্ধুকে কাছ থেকে দেখেছে, কিন্তু বঙবন্ধুর আদর্শ ধরে রাখতে পারেনি, পারেনি লালন করতে।

কিন্তু তারা লালন করছে অপরাজনীতি। ধ্বংসের রাজনীতি। নোংরা রাজনীতি। যার ছোবল থেকে রক্ষা পায়না দুধের শিশু থেকে শুরু করে পশু পাখিও। দেশের অর্থনীতি শেষ করে দেউলিয়া করতে বাকি রাখছেনা। যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন! তারা সবাই তিনটি ধারা নিয়ে তারা ক্ষমতায় আসে। আর তা হলো দুর্নীতি,দুর্নীতি এবং দুর্নীতি। আরেকটি ধারাও আছে। তা হলো হিংস্রতা। দুর্নীতি আর হিংস্রতার বাইরে তাদের আর কোনো এজেণ্ডা থাকেনা। ধরা যাক,তারা সবাই একটা রসুনের মতো। রসুনের প্রতিটি কোয়া আলাদা, কিন্তু গোড়া সব এক জায়গায়। তারা হচ্ছে সেরকম। দল ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু সবার দুর্নীতি আর রাজনীতির হিংস্রতার মানসিকতা একই রকম। খাই খাই স্বভাবের। শুধু খাই খাই হলেও হতো, একেবারে ছেটেপুটে খাই স্বভাবের।

বাংলাদেশ আয়তনের দিক থেকে অনেক ছোট্ট একটা রাষ্ট্র। কিন্তু সে হিসেবে অনেক পরিশ্রমী। অনেক সম্ভাবনাময় একটা দেশ। রয়েছে বিপুল খনিজ সম্পদ সহ প্রচুর মানব সম্পদ।
চাইলে দক্ষ হাতে দেশটাকে স্বর্গ বানিয়ে রাখা যায়। শুধু প্রয়োজন একটু সদিচ্ছা আর আন্তরিকতা। অথচ, নিম্নশ্রেণির রাজনীতির জন্যই আজ দেশের করুণ অবস্থা।

এ বাংলাদেশ আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ নয়,
এ বাংলাদেশ বঙবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ নয়,
এ বাংলাদেশ নয় যেন কোনো শান্তির প্রতীক।
এ বাংলাদেশ নয় জসীমউদ্দিনের সেই বিখ্যাত নকশী কাঁথার মাঠ,
প্রিয় বাংলার উপর পড়েছে অশিক্ষিত রাজনীতিবিদদের ভয়াল ধারালো লোমশ কালো হাত।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৬
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×