somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লোক দেখানো সংসদ নির্বাচন: রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই না

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নাগরিক হলো একটি রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান উপাদান। নাগরিক ছাড়া রাষ্ট্র কল্পনা করা যায়না। আর নাগরিকই প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রের মালিক। সে হিসেবে একটির রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সমান। তা যে দলেরই হোক না কেন। বা সে যেই হোক না কেন। নাগরিকদের অধিকার সমূহের মধ্যে অন্যতম অধিকার হলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। কিন্তু কোন দল যদি সে অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করে থাকে তাহলে সে স্পষ্ট ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে বলে ধরে নেয়া যায়। এমনকি এটা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। পাশাপাশি জনগণের সাথে হঠকারিতাও বলা যায়।

২০১৪ সালের জঘন্য নির্বাচন দেখে অনেকেই এ নির্বাচনের গতি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করছেন। লক্ষ্য করছেন কিভাবে আবারো নিকৃষ্ট রাজনীতির উদাহরণ, পাতানো নির্বাচনের নামে জনগণকে মূলা দেখিয়ে আবারো ক্ষমতা হাতিয়ে নেয়া যায়। যদিও জনগণ বিষয়টা নিরপেক্ষতার দৃষ্টিতে একেবারেই নিতে পারছেনা। "ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করা, রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করে নিজের ক্ষমতা নবায়ন করা একই কথা।" এতে বিঘ্নিত হয় সঠিক পন্থায় গণতন্ত্র চর্চা। আগ্রহ কমে যায় সঠিক রাজনীতি চর্চায়। ফলে রাষ্ট্র জনগণের ক্ষমতা হারিয়ে এক নায়কের দিকে পা বাড়ায়। বাধাগ্রস্ত হয় সুশাসন ও ন্যায়বিচার ব্যবস্থায়। বেড়ে যায় হানাহানি, মারামারি, লুটতরাজ, দুর্নীতি, অন্যায়, বিভিন্ন অপরাধ সহ নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা। যার কারণে নষ্ট হয় শান্তির পরিবেশ। শিক্ষার পরিবেশ। সঠিক গনতন্ত্র চর্চার পরিবেশ। আইন শৃঙ্খলার পরিবেশ।
ভালো কাজ না করার কারণে ভোট না পেলে কি ভোট ব্যবস্থাই তুলে দিতে হবে নাকি? এ কেমন আচরণ?

আওয়ামী সরকারের একটা মুদ্রাদোষ বেশ লক্ষ্যনীয়। বাকশাল বা একনায়কের প্রতি এদের আগ্রহ প্রচুর। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই এ বিষয়টা ইতিহাসের পাতায় ব্যাপকভাবে স্থান করে নিয়েছে। অনেক ঘটন অঘটনও ঘটেছে এ বিষয়টা নিয়ে। এমনকি রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়তেও হয়েছিলো তাদের। তারপরেও তাদের আগ্রহ জনগণের অধিকার হরণ করে নিজেদের নোংরামি প্রতিষ্ঠার দিকে।
গত ১০ বছরের ক্ষমতা দখলের রাজনীতি দেখলেই বোঝা যায় তারা গনতন্ত্রের প্রতি কতটা আন্তরিক। দেশের কোন সেক্টর বাদ নেই যেখানে তারা সফল হয়েছে। বরং সব সেক্টরেই দুর্নীতির আর অপরাধের মারাত্মক প্রভাব ফেলে রেখেছে। প্রতিটা ক্যাম্পাসেই ছাত্রলীগের মেধাবী গুণ্ডাদের তাণ্ডবলীলায় শিক্ষাঙ্গনকে আজ ধ্বংসের মুখে ফেলছে। প্রশ্ন আউট আর নিয়োগ বানিজ্যে বেকারত্ব দিন দিন মহামারীর আকার ধারণ করিয়ে ছেড়েছে। তাদের গুম, খুন আর ধর্ষণের রেকর্ডের ফলে মানবতা আজ বিপন্ন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীও আজ তাদের সাথে গলা মিলিয়ে নিজেদের পশুত্ব দেখাতে শুরু করেছে।
যে বাহিনী জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার কথা তারা আজ জনগণের জান-মাল কেড়ে নিচ্ছে। যে নিরাপত্তা বাহিনীর কখনো বিনা ওয়ারেন্টে কারো উপর গুলির বিধান নেই, সেই বাহিনী আজ রাজনীতি করার অপরাধে জনগণের উপর অবলীলায় গুলি চালিয়ে বর্বরতার সাক্ষী দিচ্ছে। লে.জে. হু মোঃ এরশাদ সামরিক শাসক হয়েও গুলি না চালিয়ে ক্ষমতা ত্যাগ করেছে, সেখানে বর্তমান সময়টা?
যদিও এখন সে সময়ের সাথে তুলনা করাটা অপরাধ হয়ে দাঁড়াবে।

জনগণের জান মালের নিরাপত্তা জন্য হলেও আসুন চুক্তিবদ্ধ হই। জানমালের নিরাপত্তা দিন, বাকশাল নিয়ে নিন। তারপরেও শান্তি দিন। লাগবেনা আমাদের ভোটাধিকার! প্লিজ, কুত্তা সামলান। তারপরেও নির্বাচনের নামে টাকা অপচয় বন্ধ করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪০
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×