অবশ্যই অবশ্যই পড়বেন মন দিয়ে অবাক না হয়ে পারবেন না
আধুনিক প্রযুক্তির সুবাদে সহজেই যেই কোনো তথ্য হাতের কাছে পাওয়া যাচ্ছে। একদিন কি হলো অফিসে বসে আছি আমি ইন্টারনেট গুগলে Have any person who memorized the entire Avestan?(এমন কি কেউ আছেন যিনি পারসিকদের পুরো ধর্মগ্রন্থটা মুখস্ত করেছেন?) লিখে সার্চ দিলাম ফাইলের পর ফাইল অনেক খোজাঁখুজি করেও এমন কাউকে পেলাম না যিনি পারসিকদের এই ধর্মগ্রন্থটি পুরোপুরি মুখস্থ করে বসে আছেন। এর পর ইন্টারনেট গুগলে এমন কি কেউ আছেন যিনি হিন্দুদের বেদ পুরোপুরি মূখস্থ করেছেন? তারপর লিখে সার্চ দিলাম আমি খুজেঁ পেলাম মাত্র ১ জন তাও পুরোপুরি পেলাম বলা যাবে না। তিনি ভারতের উত্তর প্রদেশে জন্মগ্রহনকারী ৬১ বছর বয়সী রামভদ্রচারী নাম ওনার। তিনি ২২টি ভাষায় কথা বলতে পারেন, তিনি হিন্দু ধর্ম শ্রীমদ্ভগবত গীতার ৭০০ পঙতিই মুখস্ত করেছেন মাত্র। এর পর ইন্টারনেট গুগলে এমন কি কেউ আছেন যিনি পুরোপুরি খ্রস্টিানদের ধর্ম গ্রন্থ বাইবেল মুখস্থ করে্ছেন? লিখে সার্চ দিলাম তখন এমন একজন কেউ পেলাম না যে যিনি সম্পূর্ন খ্রীস্টানদের বাইবেল গ্রন্থটা মুখস্ত করছে। অত:পর (এমন কি কেউ আছেন যিনি বৌদ্ধদের ধর্ম গ্রন্থ ত্রিপিটক পুরোপুরি মুখস্থ করেছেন?) লিখে সার্চ দিলাম তখন আমি এমন কাউকে পেলাম না যে যিনি মহা বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক টা পুরোপুরি মুখস্থ করছে খুব অবাক হলাম। তার পর আমি গুগলের সার্চ এ লিখলাম কেউ কি আছেন যে পুরোপুরি সম্পূর্ন কোরান শরীফ টা মুখস্থ করেছেন? তখন ইন্টারনেট থেকে জানতে পারলাম ১.২ মিলিয়ন হাফেজ আছে সমগ্র বিশ্বে ইন্টারনেটের দেওয়া তথ্য মতে । হাফেজ বলা হয় যারা কোরআন মূখস্থ করে তাদেরকে। সমগ্র পৃথিবীর কথা না হয় বাদ দিলাম আমাদের রাংগামাটিতে কোরআন মূখস্থ করছে এই রকম মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০০ জন হবে কমপক্ষে। চিন্তা করলে অবাক লাগে। আমরা আমাদের মাতৃ ভাষা বাংলা দিয়ে লেখা একটা স্কুল কলেজের বই সম্পুর্ণ মুখস্ত করতে পারি না আর মুখস্ত করার চেষ্টা করতে গেলে ঢাখ ফাইটা যাওয়ার মত অবস্থা তাও সম্ভব না। আর আরবী কিন্তু আমাদের ভাষা না এটা সৌদিআরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামীক রাষ্ট্রের ভাষা। এখন কথা হলো আমাদের বাংলাদেশে গ্রাম-গন্ঞ্জের আনাচে কানাচে হিসেব করলে সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ কোরান শরীফ মুখস্থ করছে এমন মানুষ পাওয়া যাবে । উদাহরন স্বরুপ বাংলাদেশে মসজিদের সংখ্যা যদি ২ লক্ষ হয় আর প্রত্যেক মসজিদে যদি ২জন করে হাফেজ থাকে তাহলে কয় জন হয়?? আচ্চা যাই হউক এটা কিভাবে সম্ভব চিন্তা করলে অবাক লাগে তাও আবার আরবী ভাষায়। যেখানে অন্য ধর্ম গ্রন্থ কেউ পুরোপুরি মুখস্থ করা অসম্ভব বা কেউই দাবী করতে পারবে না ১ জন ও না চ্যালেন্জ করলাম। কিন্তু কোরান শরীফ কিভাবে হয় মূখস্থ। পুরো কোরান শরীফে ৩,২৩,৬৭১ টি বর্ন আছে ৭৭,৭০১টি শব্দ আছে। কত বিশাল একটি বিষয় তাই না? আমি মনে করি সম্পূর্ন কোরান মূখস্ত করা এটি হিমালয় বা চাদেঁর দেশ জয় করার চাইতেও বিশাল কাজ নয় কি?? তবে প্রায় সমগ্র বিশ্বে হিসেব করলে ১ কোটির বেশি মানুষ কুরআন মুখস্থ করেছে এইরকম আছে কেন? তাও আবার শৈশবে?? এটাই প্রমান করে কোরআন আল্লাহর বানী এবং তিনি সেটা পাঠিয়েছেন মহানবী সা: এর কাছে যাতে করে মানুষকে সু-পথে পরিচালিত করতে পারেন। কিন্তু দূঃখ্যের বিষয় আমরা কোরআন এর উপদেশ মেনে চলি না আর কোরআন কেন্দ্রিক গবেষনা নেই বললেই চল**
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৪