কাঠফাটা গরমে, তালপাকা গরমে, সূর্য মাথার উপরে- কাক কা কা করে পানির তরে
কিন্তু হায় হবু ডাক্তারদের গরম লাগেনা। কাধে ঝুলানো ভ্যানিটি ব্যাগে, কলেজ ব্যাগে সবকিছু রাখার জায়গা হয় কিন্তু অ্যাপ্রোন রাখার জায়গা হয়না। শুরুতেই বলছি আমি সব হবু ডাক্তার, মেডিকেল স্টুডেন্টদের বলছিনা। বলছি কতিপয় ছাত্রছাত্রীকে। আর এটার ভুল বুঝে আমাকেতো ফেসবুকে অনেক হবু ডাক্তার মহাশয়রা এক সুরে বলেছিলেন- বাস্টার্ড।
তাই আবারো খোলাসা করলাম।
অনেকে বলবেন- আমরা নাকি মেধাবী সন্তান হবু ডাক্তারদের মেধার হিংসা করি।
ভাইরে হ্যা আপনারা মেধাবী। কিন্তু জানেন ইঞ্জিনিয়াররা কিন্তু কম মেধাবী না। তারা মাথায় নিশ্চয় হেলমেট পরে ঘুরবেনা। রিকশাচালক কিন্তু কম মেধাবী না। তারা সৎ উপায়ে অলিতে গলিতে প্যাডেলের মার প্যাঁচে মানুষ টানে তারা কি জামায় রিকশার লোগো লাগিয়ে ঘুরবে ! যারা হবু শিক্ষক তারা কি চক ডাস্টার আকানো জামা পড়ে রাস্তায় বেড় হবে ? ভাইরে ক্লাশ শেষ হলে অ্যাপ্রোনটা খুলে ব্যাগে রাখুন, নয়তো কাধে রাখুন। মাছ কিনতে যেয়েও অ্যাপ্রোন, পার্কে যেয়ে অ্যাপ্রোন, সিনেমা দেখতে যেয়েও অ্যাপ্রোন। আর কত ।
নাকি দেখাতে চান অ্যাপ্রোন খোলার টাইম নাই। নাকি দেখাতে চান হবু ডাক্তার আপনারা আলাদা প্রজাতি। উন্নত প্রজাতি। তবে হ্যা অবশ্যই আপনারা অনেক মহৎ। আপনাদের উছিলায়, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় আমাদের জীবন বাঁচে। তাইতো বলি ও ভাই এই কাঠফাটা
গরমে অন্তত বাইরে সবখানে অ্যাপ্রোনটা পরিধান করিয়েন না। আমাদেরই যে গরম লাগে হাস ফাস লাগে আপনাদের গায়ে অ্যাাপ্রোন দেখলে , যেখানে সেখানে অপ্রয়োজনীয় ভাবে অ্যাপ্রোন ঝুললে ।
বি- দ্রঃ আমাকে গালি দেন আপত্তি নাই। কিন্তু ভুলবুঝে নয়। আমি সব মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রীদের বলছি না। যারা ইচ্ছাকৃত অ্যাপ্রোন জাহির করে কিছু বুঝাতে চান তাদের বলছি । তবে আমি কিন্তু হবু ডাক্তার না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৩