somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এয়ারপোর্টের দর্শন শাস্র !!!!!!

২৭ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পেশার সুবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন বিমান বন্দরে ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার মাস্টার্স ডিগ্রী (!!!) আমার আছে । তারপর ও এখানে এলে মানব নামক প্রজাতির বর্ণে, গোত্রে , পোশাকে , আর সংস্কৃতির হরেক রকমের ভিন্নতা দেখে প্রতিবার নতুন করে WOW বলে উঠি । কত রঙ বে রঙের মানুষ !!!!মনে হয় ডিসকভারি চ্যানেলের নতুন লাইভ শো তে বসে আছি ।

বিমান বন্দরে আগমনী টার্মিনালটি সবচেয়ে প্রিয় জায়গা । যাত্রী আর তাকে অভ্যর্থনা দিতে আসা তার প্রিয় মানুষগুলোর ভালবাসা দেখে ভুপেন এর 'মানুষ মানুষের জন্য' গানটির কথা মনে পড়ে যায় । মনের সমস্ত নেগেটিভ ভাবগুলো একনিমিষে উবে যায় । মনে হয় ছোটবেলার জব্বর আলীর বলি খেলার মেলার মত ভালবাসার মেলায় বসে আছি, feelings of love is all around । প্রেমিক প্রেমিকার ভালবাসা, স্বামী স্ত্রী র ভালবাসা ,পিতা মাতা আর সন্তানের ভালবাসা, ভাই বোনের ভালবাসা, আত্মীয়স্বজন কিংবা বন্ধুর ভালবাসা - সব ধরনের ভালবাসাই এই টার্মিনালে আছে । ভালবাসার এত রঙ , রকম আর পাত্র পাত্রী তার গবেষণা করতে হলে; এখানে এলেই চলবে । মমতা ,ভালবাসা , স্নেহ এবং হাসিময় কান্না দেখে আমি খালাসী কখনওবা মুগ্ধ কখনওবা অশ্রুসিক্ত।

বিমান বন্দরে প্রস্থান টার্মিনালে বসে থাকতেও খারাপ লাগেনা । এখানেও তীব্র ভালবাসা আছে তবে তাকে ছাপিয়েও যাত্রি আর তাকে বিদায় দিতে আসা তার প্রিয় মানুষগুলোর মাঝে বিরহ ,বিচ্ছেদ আর অনাগত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের উৎকণ্ঠার এক তীব্র সানাইয়ের সুর আছে । কেউবা সবাইকে জানান দিয়ে ভেউ ভেউ করে, কেউবা তার চেয়ে নিচু স্কেলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে আর কেউবা অব্যাক্ত নয়নে সেই সুরে সানাই বাজাচ্ছে ।
আবার কি হবে দেখা , এ দেখাই শেষ নয়তো ??? এটাই মনে হয় এই টার্মিনালের থিম সং ।

সুখের সাথে দুঃখের দূরত্ব বিমান বন্দরে বড্ড কম । কখনওবা উপর নীচ তালা , কখনও বা পাশাপাশি দুই ভবনে । তবে হরেক রকমের সম্পর্কের অনুভুতির ফ্রেমগুলো সব জায়গাতেই একই; শুধু পাত্র পাত্রি , বর্ণ কিংবা ভাষা ভিন্ন ।
পেশার সুবাদে পৃথিবীর বিভিন্ন বিমান বন্দরে ঘন্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার মাস্টার্স ডিগ্রী (!!!) আমার আছে । তারপর ও এখানে এলে মানব নামক প্রজাতির বর্ণে, গোত্রে , পোশাকে , আর সংস্কৃতির হরেক রকমের ভিন্নতা দেখে প্রতিবার নতুন করে WOW বলে উঠি । কত রঙ বে রঙের মানুষ !!!!মনে হয় ডিসকভারি চ্যানেলের নতুন লাইভ শো তে বসে আছি ।

বিমান বন্দরে আগমনী টার্মিনালটি সবচেয়ে প্রিয় জায়গা । যাত্রী আর তাকে অভ্যর্থনা দিতে আসা তার প্রিয় মানুষগুলোর ভালবাসা দেখে ভুপেন এর 'মানুষ মানুষের জন্য' গানটির কথা মনে পড়ে যায় । মনের সমস্ত নেগেটিভ ভাবগুলো একনিমিষে উবে যায় । মনে হয় ছোটবেলার জব্বর আলীর বলি খেলার মেলার মত ভালবাসার মেলায় বসে আছি, feelings of love is all around । প্রেমিক প্রেমিকার ভালবাসা, স্বামী স্ত্রী র ভালবাসা ,পিতা মাতা আর সন্তানের ভালবাসা, ভাই বোনের ভালবাসা, আত্মীয়স্বজন কিংবা বন্ধুর ভালবাসা - সব ধরনের ভালবাসাই এই টার্মিনালে আছে । ভালবাসার এত রঙ , রকম আর পাত্র পাত্রী তার গবেষণা করতে হলে; এখানে এলেই চলবে । মমতা ,ভালবাসা , স্নেহ এবং হাসিময় কান্না দেখে আমি খালাসী কখনওবা মুগ্ধ কখনওবা অশ্রুসিক্ত।

বিমান বন্দরে প্রস্থান টার্মিনালে বসে থাকতেও খারাপ লাগেনা । এখানেও তীব্র ভালবাসা আছে তবে তাকে ছাপিয়েও যাত্রি আর তাকে বিদায় দিতে আসা তার প্রিয় মানুষগুলোর মাঝে বিরহ ,বিচ্ছেদ আর অনাগত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের উৎকণ্ঠার এক তীব্র সানাইয়ের সুর আছে । কেউবা সবাইকে জানান দিয়ে ভেউ ভেউ করে, কেউবা তার চেয়ে নিচু স্কেলে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে আর কেউবা অব্যাক্ত নয়নে সেই সুরে সানাই বাজাচ্ছে ।
আবার কি হবে দেখা , এ দেখাই শেষ নয়তো ??? এটাই মনে হয় এই টার্মিনালের থিম সং ।

সুখের সাথে দুঃখের দূরত্ব বিমান বন্দরে বড্ড কম । কখনওবা উপর নীচ তালা , কখনও বা পাশাপাশি দুই ভবনে । তবে হরেক রকমের সম্পর্কের অনুভুতির ফ্রেমগুলো সব জায়গাতেই একই; শুধু পাত্র পাত্রি , বর্ণ কিংবা ভাষা ভিন্ন ।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×