অতি বাস্তব
প্রিন্স মাওয়া ঘাট থেকে নেমে বাসে উঠতে উঠতে মুরাদ ভাই কে ফোন করল- খবর শুনছেন ?
-কি?
গালিব ভাই তো রাতে সেটাক করে মারা গেছে ?
-কি বল?
হা, বলতে বলতে প্রিন্স কেঁদে ফেলে ? প্রিন্স এর সাথে ফাহিম এর চোখ ও ছলছল করে ওঠে?
মুরাদ ফোনের ওপাশে কিছু বলতে পারে না- শুধু গোঁ গোঁ আওযাজ শোনা যায় ।
মুরাদ প্রশন করে তু কই এখন?
ঢাকায় যাই ? আপনি আসেন?
-হু ?
এদিকে বাসায় কে যেন একজন মৃত্যু পূব মূহূত্য বনণা করছে – একটু খেয়াল করে বোঝা গেল –রুমানা আপা? রাত ১২ টা থেকে বুকে ব্যা থা আর অসতিরতা?
কে যেন বললো তো ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল না কেন?
একটু খেয়াল করে দেখলাম “কেয়ার মা”?
সবাই কে চিনতে একটু কসট হচেছ খেয়াল করে দেখলাম ?
গালিব যেতে চায়নি? মুন্নি নাকি অনেক বলেছে?
কেউ একজন বলে উঠলো মরণ এভাবে ছিলো? ও-মাজেদার মা ?
বাসায় অনেক মানুষ? কে যে খবর দিলো?
আমার বেড রুমে হঠাৎ মুন্নি বেহুস হয়ে গেল হেচকি্ ওঠে? সবাই তাকে নিয়ে ব্যসত হয়ে গেল।
আমি তখন ও আমার খাটের ওপর শুধু চাদর ঢাকা দিয়ে শুয়ে আছি ? আমার না অনেক ঠানডা লাগছে
এই আমি সবাই কে বলছি কেউ শুনছে না কেন ? একবার চিৎকার করলাম ? না কেউ শুনছে না?
হঠাৎ খেয়াল হল আরে আমি তো মারা গেছি ?
ভাল লাগছিল না আর শুয়ে থাকতে?
উঠে দাড়ালাম-অনেক মানুষ বাসার ভেতর ।ভিড় ঠেলে আম্মার রুমে গেলাম আম্মা কে ঘিরে পুতুল আপা, তুতুল আপা কাঁদছে? আমি ইরফান কে খুঁজছি ? তাহসান কে দেখলাম ভাইয়ার কোলে ? আমার না তাহসান কে ছুয়ে দেখতে ইচছা করছে, আমি দৈাড়ে ভাইয়ার কোল থেকে তাহসান কে কোলে নিতে গেলাম কিন্ত কিছুতেই ধরতে পারছি না ?
এই প্রথম আমার বুকটা হাহাকার করে উঠলো………
রাজু , জুয়েল দেখলাম আমার শরীর টা ধরে গ্যারেজে নিয়ে গেলো গোসলের জন্য ।মুয়াজিজন সাহেব খুব
যতন আমাকে গোসল করাচছে। ইরফান কে দেখলাম চাদরের পাশ দিয়ে ঘুরঘুর করছে –চোখ গুলো ফোলা ফোলা । ।
বাসার সামনে অনেক মানুষের ভীর ।এর মধ্যে গুজ্ঞন কোথায় খবর হবে । কে জেনো বলে উঠলো আজিমপুরই ভালো ।আমি ও তাই চাই ? আচচয আমি আমার কবর চাচছি ?
আমার বুকচিরে একটা দীঘশবাস বের হল।
জাবেদ কে দেখলাম ? ইকবাল, রাসেল, বাকি ভাই, অনেক দিন পর সবাই কে একসাথে দেখলাম ।
কোথা থেকে জেনো ল্যাংড়ারাতে ল্যাংড়ারাতে বসির আসলো ।আজম নামলো গাড়ী থেকে , আমার বন্ধুদের জটলা বড় হতে থাকলো । কোন এক দেীড়ে তো প্রথম হলাম ? পিনাক কে দেখলাম কাকে জড়িয়ে জেনো কাঁদছে? যে যার মত সান্তনা খুঁজছে ।
আমি আবছার মত একজন কে দেখতে পেলাম ? একটু পরেই পরিস্কার হল কাছে আসার পর –আব্বা এসেছে কতদিন পর আব্বা কে দেখলাম?
আমি জিগেস করলাম কেমন আছেন আব্বা?
গভী্র আবেগে আব্বা আমাকে জড়িয়ে ধরলো ? ভাল অনেক ভাল।
-আব্বা আমার অনেক ভয় করছে?
-কোন ভয় নাই বাবা,-কোন ভয় নাই ?
আব্বার পেছনে টুটুল দেখলাম কে দেখলাম হাসি হাসি মুখ করে দাড়িয়ে আছে?
ট্রাক আসল আমার লাশ নেবার জন্য ?
শেষ মুহুতের বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি হিসাবে আমার কাফনের মুখ খোলা হল সবাই কে
দেখানোর জন্য। কান্নার রোল উঠলো ।আম্মা, মুন্নি কে ধরে নিয়ে আসল ।
ইরফান, তাহসান আমার মুখে হাত দিয়ে আদর করল, আমি একটু ওদের ধরতে চাইলাম- ওদের
হাত আমার গালে লাগার সাথে সাথে মনে হল আমি পাগল হয়ে যাব-আমি ছটফট করে উঠলাম-আমি
আল্লাহর্ কাছে প্র্রাথনা করলাম- আমি যেতে চাই না- আমার জীবন ভিক্ষা দিন—
আব্বার দেখি করুন মুখে বললাম আব্বা আমি যেতে চাই না- মানুষ মৃত্যুর আগে পাগল হয়-আমি
মৃত্যুর পর পাগল হয়ে যাচিছ-ছটফট করছি আমার চোখ ভিজে পানি পড়ছে অনবরত---
আমি গোঁ গোঁ শবদ করে উঠলাম-
আযানের ধনিন ভেসে আসছে ইথারে- আমি প্রচনড ছটফট করছি
–হঠাৎ মুন্নি ধাককা দিল –এই তোমার কি হয়েছে- আমি উঠে বসলাম-
-পানি খাবে ?
-হু?
-কি হয়েছে তোমার? এখন শরীর টা কেমন লাগছে?
-ভাল?
-স্পপ্ন দেখছিলে?
-আমি হাসলাম?
-কি স্পপ্ন?
-কিছু না বলে জানালার কাছে গিয়ে দাড়ালাম তখন ও আযান শেষ হয়নি- ভেসে আসছে ইথারে
“আসসালাতু খাইরুম মিনাল নাইয়ুম”- আজ আযানের ধনিন বড় আননদময় লাগছে-
নিজের অজানতে চোখ ভিজে উঠল-আমি বেঁচে আছি- এর থেকে বড় আননদ আর কি আছে?
বিছানায় আমার দুই সনতানের দিকে তাকালাম- ওরা নিশিচনত মনে ঘুমাচেছ-
-মুন্নি আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়েে আছে?
-কি হয়েছে তোমার?
-আমি নিজেই কি জানি ? কি হল, কি দেখলাম, কি বুঝলাম?