জীবনে কখনোই ধৈর্য্য হারা হবেন না। প্রথমে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারন করুন এবং সেভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যান। লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হলে আপনার সফলতার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ। আপনার আর্থিক অসামর্থ্যতা কোন স্থায়ী সমস্যা নয়।
আমি আমার জীবন থেকে নেওয়া অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমার শৈশব থেকেই আমার পিতা অসুস্থ থাকায় কর্মে পুরোপুরি অক্ষম ছিলেন এবং চতুর্থ শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় আমার পিতা পরলোক গমন করেন। আমার বড় ভাইয়েরাই সংসার চালাত। মধ্যবিত্ত পরিবার হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বড় ভাইদের কাছে খুব বেশি আবদার করা সম্ভব ছিল না।
আমি প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়ায় শুধুমাত্র বইখাতা ও বেতন বাবদ সংসার থেকে টাকা পয়সা নিতাম। জামাকাপড় সাধারণত ভাইয়েরা কিনে দিত। আমার হাত খরচ বাবদ কখনোই কোন টাকা পয়সা চাইনি। দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া কালীন এই দশ বছরে সর্বমোট ৫০ টাকার বেশি মায়ের কাছ থেকে নিয়েছি বলে মনে হয় না। যদিও এখনকার ছেলেমেয়েদের অনেকের একদিনের হাত খরচ আমার দশ বছরের হাত খরচের সমান বা তার চেয়েও বেশি। আমি সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় আমার বড় ভাই আমাকে একটি হাত ঘড়ি কিনে দিয়েছিল আমার স্কলারশিপ এর থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে। এর আগে কোন হাত ঘড়ি ব্যবহারের কথা চিন্তাও করি নাই।
আমার ছোটবেলা থেকে একটাই লক্ষ্য ছিল আমি পাশ্চাত্যের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করব এবং মাসে কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা আয় করব। আমার সেই লক্ষ্য শুধু পূরণই হয়নি আমার সেই লক্ষ্য থেকে অনেক বেশি আয় করি। ছোট কালে যেসব স্বপ্ন শুধুই স্বপ্নই ছিল সেগুলো শুধু পূরণই নয় নিজের কোন ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখি না।এর সবই সম্ভব হয়েছে এই জন্য যে আমি আমার লক্ষ্য থেকে কখনই বিচ্যুত হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১২