একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কিভাবে একজন জলজ্যান্ত মানুষকে ধরে নিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করতে পারে? হ্যাঁ, এমনটিই করেছে ট্রেনের আসন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে! তাও নিজ সংগঠনের এক নেতাকে৷ কি ভয়ানক ব্যাপার!!!
এরাই নাকি মুজিব সেনা! বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে এরা নিয়োজিত৷ বঙ্গবন্ধুর জীবন ইতিহাসে এমন মারামারি করে নিজ দলের লোক হত্যা করেছে এটা কখনও শুনিনি৷ মুজিবের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করাই বর্তমানে সংগঠনটির আদর্শ৷ হবে না কেন? তার নিজ কন্যাই নিজ স্বার্থের জন্য মুজিব বিরোধীদের জামাই আদর করছে৷ যারা বলেছিল মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানাব; বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আনন্দে নেচেছিল তাদেরকে মুজিব ললনা মন্ত্রী সভায় স্থান দিয়েছে৷ তাদেরকে সাথে নিয়ে বাবার শোক পালন করে৷ কত বড় হাস্যকর ব্যাপার! সেখানে ছাত্রলীগ যা করে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার মনে হয়!
ছাত্রলীগ মুজিবের আদর্শ বাস্তবায়নের নামে বঙ্গবন্ধুর অপমানই করে৷ আমি অনেকের কাছেই শুনেছি ছাত্রলীগের নেতারা ক্যাম্পাসে যা ইচ্ছা তাই করে৷ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস কারও নাই৷ এমনকি ছাত্রীরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায় না৷ তাদের পছন্দমতো ছাত্রীদের তাদের রুমে যেতে বাধ্য করে৷ এটা নিয়ে কথা বলার সাহস উক্ত ছাত্রীরও থাকে না৷ শুধু মান সম্মানের ভয় নয়, জানাজানি করলে জীবননাশেরও হুমকী থাকে৷
ছাত্রলীগ মুজিব আদর্শের ছিটেফোঁটাও পালন করে না৷ অপকর্ম ছাড়া কোন ভাল কাজ এদের দ্বারা আশা করা অরন্যে রোদন মাত্র৷ এগুলোই যদি প্রকাশ্য মুজিবের আদর্শ বাস্তবায়ন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়৷ তাহলে আমি বলব এরা মুজিবের অপমান বাস্তবায়ন লীগ৷