মালয়েশিয়ার
রাজধানী কুয়ালালামপুর
থেকে দু’শতাদিক
যাত্রী নিয়ে চীনের
রাজধানী বেইজিং যাওয়ার
পথে আকাশ থেকেই
যে বিমানটি গায়েব হয়ে গেল,
তা আজ একমাস অতিবাহিত
হয়ে গেছে। অথচ আজও বিমানটির
কোন কূল-কিনারা উদঘাটন
করতে পারেনি। বর্তমান সময়ের
বিজ্ঞানীরা নাকি অনেক নতুন
নতুন কিছুর আবিস্কার করেছে,
যা দিয়ে অনেক গোপন রহস্যের
উন্মোচন করে,অনেক কিছুর সমাধান
তারা বের করে। কিন্তু
মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের
সময় এতদিন অতিক্রম করলেও এটার
রহস্য উদঘাটন নিয়ে তাদের কোন
সমাধান নেই। বিজ্ঞান
পূজারীদেরও এব্যপারে কোন হাঁক-
ডাক নেই। প্রযুক্তির এই
সোনালী যুগে, যেখানে কোন
ব্যক্তি বা বস্তুর অবস্থান কোথায়
তা জানা মূহুর্তের ব্যাপার মাত্র।
এত কঠোর নিরাপত্তা বলয়,
সার্বক্ষণিক যোগাযোগের
মধ্যে থেকেও খোলা আকাশ
থেকে বিমানটি কোথায়
হাওয়া হয়ে গেল! এব্যাপারে মুখ
খুলছেনা কেউ।
অনেকেই এব্যাপারে মুখ খুললেও,
কিন্তু তাদের কথাগুলোর
ভিত্তি হচ্ছে কল্পনা আর জল্পনার
উপর। বাস্তবতার সাথে যার
আদৌ কোন মিল নেই।
কেউ বলছে “সন্দেহাতীতভাবে
কিছু বলা যাচ্ছেনা” কেউ বলছে “
বিমানটি সন্ত্রাসী হামলার
শিকার” আবার কেউ বলছে “
বিমানটিতে দু’জন ইউরোপিয়ান
জাল পাসপোর্টধারী পর্যটক ছিল,
তারাই হয়ত ছিনতাই করেছে ”
আবার কেউ “
বিমানটি পাকিস্তানি জঙ্গীরা ছিনতাই
করেছে ” এমন বেঁফাস মন্তব্যও
করে বসেছে।
মোটকথা! বিমানটি নিয়ে কল্প-
কাহিনীরও কোন সমাপ্তি নেই।
পঁয়ত্রিশটি বড় বড় দেশের সামরিক
বিমান, জাহাজ, ডুবোজাহাজ, সহ
শক্তিশালী স্যাটেলাইটের
মাধ্যমে স্থল ও জলপথে তন্ন তন্ন
করে খোঁজা হয়েছে।
তল্লাশি থেকে বাদ
পড়েনি ভারত মহাসাগর
এবং বঙ্গোপসাগরও। তারপরও
বিমানটির কোন খোঁজ
পাওয়া যায়নি।
কিন্তু, বাস্তব কথা হচ্ছে মানুষ যখন
নিজের শক্তির উপড় ভরসা করতে শুরু
করে, বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উপর
আত্নবিশ্বাসী হয়ে উঠে, তখন
আল্লাহ
তা’আলা মানবজাতিকে এমন কিছু
ঘটিয়ে সতর্ক করে দেন,
যা দ্বারা মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে।
যাতে মানুষ তার চেষ্টার
মাত্রা ছাড়িয়ে প্রকৃতির উপর
তাদের আয়ত্ব রয়েছে এমন
ধারণা না করে বসে!!
মালয়েশিয়ার
হারিয়ে যাওয়া বিমানটি হয়ত
একদিন পাওয়া যাবে, তার
ধংসাবশেষ হলেও।
তবুও মানুষকে মনে রাখতে হবে,
বিশ্বাস করতে হবে, আল্লাহ
তা’আলাই একমাত্র পৃথিবীসহ
সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা। তার কোন
শরিক নেই। তিনিই একমাত্র
শক্তিশালী, । ছোট্ট এই পৃথিবীসহ
সমগ্র জগতের কোন কিছুই আল্লাহর
কাছে গোপন কিযবা অদৃশ্য নয়। তাঁর
শক্তি এবং কুদরতের কারিশমার
কাছে সকল জাতি সম্পুর্ণ অসহায়।।